1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা: নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার অপরিহার্যতা!

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

বলার কথাঃ
“জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা: নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার অপরিহার্যতা”

চট্টগ্রাম শহরের এক ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল আকাশের নিচে গতকাল এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হলাম। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করেন। স্থানীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, ঘোষণা করেন—এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) পরিষেবা যেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নতুন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত না হয়। এই কর্মসূচির পেছনে ছিল একটি গভীর উদ্বেগ, কারণ তাঁদের মতে, এই পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার অপচেষ্টা নয়, বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও এক ধরনের শূন্যতায় নিমজ্জিত করার ষড়যন্ত্র।
ইতিহাসের দিকে পেছন ফিরে তাকালে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কখনোই কোনো অযথা দায়িত্ব পালন করে নি। বরং, এটি একটি সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সঠিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটাধিকার সুরক্ষা এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখার কাজ নির্বাচন কমিশনই সুনিপুণভাবে করে আসছে।


তবে, বর্তমানে এই কমিশনের অধীনে থাকা এনআইডি সেবাকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা, একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের আভাস দেয়। এ ধরনের ষড়যন্ত্র, যা ‘রাতের ভোট’-এর কুশীলবদের দ্বারা ষড়যন্ত্রের ফলস্বরূপ, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং জনগণের আস্থা ভেঙে ফেলবে। প্রতিটি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে এই কমিশন বহু বছর ধরে এক বিরাট শক্তির পুঞ্জীভূত করেছে, যা দেশের ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সঠিকতা নিশ্চিত করে।

এনআইডি পরিষেবা যদি নির্বাচন কমিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হয়, তবে তা একদিকে যেমন রাজনৈতিক পুঁজি ব্যবহারের হাতিয়ার হতে পারে, তেমনি জনগণের জন্য সঠিক সেবা প্রদানে বড় একটি বাধা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সেবা প্রদান করে আসছেন। প্রত্যেকটা ভোটার, প্রতিটি নাগরিক যখন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তখন তারা শুধু একটি ভোট প্রদান করছে না, তারা অংশ নিচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে—এমন এক সিস্টেমে, যেটি তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে, তাদের অধিকার রক্ষা করে।
বক্তারা আরও দাবি করেন, একটি স্বাধীন এবং শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই পারে সকল তথ্যভাণ্ডারকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও উন্নত করতে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনই ভোটার তালিকা প্রণয়ন, এনআইডি প্রদান এবং অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য একমাত্র সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। একাধিক নির্বাচনী কমিশনারের নিয়োগ ও পরিবর্তন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী করবে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, যখন কোনো সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিয়ে সঠিকভাবে পরিচালিত করা হয়, তখন তা শুধু দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকেই শক্তিশালী করে না, বরং পুরো জাতির আত্মবিশ্বাস ও ঐক্যও বৃদ্ধি পায়। সঠিকভাবে পরিচালিত নির্বাচন ব্যবস্থা একটি দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করে, যার ফলে জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিটি শুধুমাত্র একটি কর্মসূচি নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষার চূড়ান্ত আহ্বান।
এ প্রেক্ষাপটে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা আরও বলেন, জাতির উন্নতির জন্য নির্বাচন কমিশনের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করা অপরিহার্য। দেশের জনগণের আস্থা অর্জন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনকে তার সাংবিধানিক স্বকীয়তায় অব্যাহত রাখতে হবে।আমরা যদি আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ও ভোটার তালিকাকে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রক্ষা করতে চাই, তাহলে নির্বাচন কমিশনই হবে সেই প্রতিষ্ঠান, যা নিশ্চিত করতে পারবে জনগণের সঠিক পরিচয়, তাঁদের নির্বাচনী অধিকার এবং দেশের গণতান্ত্রিক সিস্টেমের সুরক্ষা।এ নীতি অনুসরণ করলেই, আমরা নিশ্চিত করতে পারব যে, আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা থাকবে সুশৃঙ্খল, স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী, যাতে প্রতিটি নাগরিক পাবে তার স্বীকৃত অধিকার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা: এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক–
চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন কমিশনের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে নিবেদিত, সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একটি মানববন্ধন কর্মসূচি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গতকাল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে, তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জন্য জোরালো দাবি জানান।মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী এই আন্দোলনের মূল মুখপাত্র হিসেবে উঠে আসেন, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করার উদ্যোগ দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি একটি বিশ্বাসঘাতকতা। তাঁর নেতৃত্বে, চট্টগ্রামের নির্বাচন কমিশন সব সময়ই জনগণের সেবা এবং অধিকার রক্ষা করার জন্য কাজ করে আসছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং এনআইডি সেবা প্রদান একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব, যা নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া কখনোই দেশের স্বার্থে হবে না।
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গভীর সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে, তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে জানিয়েছেন: ‘যদি এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে চলে যায়, তবে এর ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অস্থিরতা ও অস্বচ্ছতা সৃষ্টি হবে।’ তাঁর এই দাবি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সুসংগঠিত রাখার লক্ষ্যে ছিল। মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী শুধু এক একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, বরং তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মর্যাদা রক্ষায় এক সাহসী নেতার ভূমিকা পালন করছেন।চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন, তাঁর নেতৃত্বে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা বজায় রাখতে এবং জনগণের প্রতি আস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। আজকের কর্মসূচি, যা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তা প্রমাণ করে যে, তিনি শুধু একজন কর্মকর্তার ভূমিকায় সীমাবদ্ধ নন, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্বাচনী সিস্টেমের একটি মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁর অবিচল অবস্থান এবং কর্তব্যপরায়ণ মনোভাব, এই আন্দোলনকে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক স্বার্থে এক অমূল্য সোপান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন সময় এসেছে, নির্বাচনী ব্যবস্থার অটুট ভিত্তি রাখতে এবং দেশের জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে, মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী ও তাঁর সহকর্মীদের এই সাহসী দাবির প্রতি আমরা সম্মান প্রদর্শন করি।
লেখকঃ যুগ্ম সম্পাদক-দৈনিক ভোরের আওয়াজ

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট