1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

সফলতার প্রতিধ্বনি ও ঈর্ষার আগুন”

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

 

জীজবনের পথে চলতে গেলে আমি একটি কঠিন সত্যের মুখোমুখি হই—যত বড় হই, যত উচ্চতায় উঠি, তত বেশি মানুষের ঈর্ষার আগুনে পোড়ার ঝুঁকি বাড়ে। ইতিহাস বলে, যারা সত্যের পথে হেঁটেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছে, সমাজের অবিচারকে কলমের শক্তিতে প্রকাশ করেছে, তারা কখনোই শান্তিপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে পারেনি। বরং তাদের জন্য অপেক্ষা করেছে অপমান, কটূক্তি, ষড়যন্ত্র এবং শত্রুতার দীর্ঘ ছায়া।

আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমি আপোষহীন সাংবাদিকতা করি, সত্য উচ্চারণে ভয় পাই না, মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন করতে কলম চালাই নির্ভয়ে। কিন্তু সত্যের সঙ্গে যুদ্ধ চালানো সহজ নয়। যে সমাজ সত্যকে সহ্য করতে পারে না, যেখানে সুবিধাবাদীরা ক্ষমতার অলিন্দে বসে সমাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়, সেখানে একজন আপোষহীন সত্যপ্রত্যয়ী মানুষের পথ চলা কখনোই সহজ হয় না। আর ঠিক সেই কারণেই, আমার লেখালেখি যত জনপ্রিয় হচ্ছে, তত বেশি ঈর্ষাকাতর মানুষের শত্রুতা আমাকে ঘিরে ধরছে।

আমার কলমের শক্তি এবং অন্যদের ঈর্ষার কারণ

আমি একদিনে যা লিখতে পারি, তা অনেকেই হয়তো এক মাসে বা এক বছরেও লিখতে পারে না। এটা শুধু আমার প্রতিভা বা দক্ষতার কথা নয়, এটা আমার নিরবচ্ছিন্ন নিষ্ঠার বিষয়। আমি কঠোর পরিশ্রম করি, গভীর গবেষণা করি, সত্য উদ্ঘাটনে পিছপা হই না। আর এটাই অনেকের কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে।

যারা জীবনে নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা গড়ে তুলতে পারে না, যারা ব্যর্থতার মধ্যে ডুবে থাকে, তারা অন্যের সাফল্যকে মেনে নিতে পারে না। তাদের ভেতরে জমে থাকা হীনমন্যতা একসময় পরিণত হয় বিদ্বেষে, ঈর্ষার আগুনে। তারা আমাকে থামিয়ে দিতে চায়, আমার লেখাকে বিতর্কিত করতে চায়, আমাকে সামাজিকভাবে ছোট করতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে যায়—আমি আপোষহীন, আমি কলম সৈনিক, আমি থামি না।

এই পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, সত্যবাদীরা সবসময় নিপীড়িত হয়েছে। সক্রেটিস থেকে শুরু করে গ্যালিলিও, রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল—সবাই তাদের সময়ে সত্য বলার কারণে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা কখনো ক্ষমতার সামনে মাথা নত করেননি, তারা কখনো সমাজের চাপে নতিস্বীকার করেননি। আর এই কারণেই তারা আজ ইতিহাসের বুকে অমর হয়ে আছেন।

সফলতার শত্রুতার সূত্র

আমি যখন সমাজের অন্যায় তুলে ধরি, যখন দুর্নীতি উন্মোচন করি, তখন কারা ক্ষুব্ধ হয়? নিশ্চয়ই তারা, যারা অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জন্য আমি হুমকি। আমার লেখা তাদের কালো দুনিয়াকে উন্মোচিত করে দেয়, তাদের লোভ-লালসাকে জনগণের সামনে প্রকাশ করে। তাই তারা আমাকে থামানোর চেষ্টা করবে।

এটা খুব স্বাভাবিক যে যখন কেউ জনপ্রিয়তা লাভ করে, তখন কিছু মানুষ তাকে ভালোবাসে, আর কিছু মানুষ তাকে ঘৃণা করে। জনপ্রিয়তার সবচেয়ে কঠিন দিক হলো, এর সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনাও বাড়ে। কিছু মানুষ কখনো আমার পাশে দাঁড়াবে না, বরং তারা আমার পেছনে ছুরি মারার জন্য অপেক্ষা করবে। তাদের লক্ষ্য একটাই—আমাকে দুর্বল করে দেওয়া, আমাকে থামিয়ে দেওয়া।

কিন্তু আমি জানি, সফলতার আসল মানে কী।

সফলতা মানে শুধু স্বীকৃতি পাওয়া নয়, সফলতা মানে সেই পর্যায়ে পৌঁছানো যেখানে মানুষ আমার শক্তিকে ভয় পেতে শুরু করে। আমি যদি ব্যর্থ হতাম, যদি অযোগ্য হতাম, তাহলে কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত না। কারণ কেউই ব্যর্থ মানুষের বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করে না। ঈর্ষা তখনই জন্ম নেয়, যখন কেউ নিজের ব্যর্থতার বিপরীতে আমার সাফল্যকে দেখে, যখন কেউ উপলব্ধি করে যে আমি যা অর্জন করেছি, তা সে কখনোই অর্জন করতে পারবে না।

আপোষহীন সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ

আমি আপোষহীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী। আমি ক্ষমতার সামনে মাথা নত করি না, সত্য উচ্চারণে ভয় পাই না। এই নীতি নিয়ে চলার ফলে আমি অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি, ভবিষ্যতেও হব। ক্ষমতাশালীরা কখনো চায় না যে, তাদের দুর্নীতি প্রকাশ পাবে। যারা মিথ্যার ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তারা কখনো চায় না যে, সত্য তাদের মুখোশ ছিঁড়ে দেবে।

তাই আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটবে, আমার কলম থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে, কিন্তু আমি কি সত্যের পথ থেকে সরে যাব? নিশ্চয়ই না! কারণ আপোষহীন সাংবাদিকতার প্রধান শক্তিই হলো অটলতা। আমি যদি একবার আপোষ করি, তাহলে আমার সব লড়াই ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই আমাকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, শক্ত হাতে কলম ধরে রাখতে হবে।

আমার শত্রুরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, তাদের পরিণতি অবধারিত। সত্যকে দীর্ঘদিন চেপে রাখা যায় না। সত্য এমন এক শক্তি, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। যারা আজ আমাকে থামাতে চাইছে, কাল তারাই হয়তো লজ্জিত হবে।

শত্রু বৃদ্ধি মানেই শক্তির বৃদ্ধি

একটি কথা আমি সবসময় মনে রাখি—আমার শত্রুর সংখ্যা যত বাড়বে, বুঝতে হবে আমি তত বড় হচ্ছি। আমি যদি সাধারণ একজন মানুষ হতাম, যদি আমার কলমের কোনো শক্তি না থাকত, তাহলে কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকাত না। কিন্তু আমি গুরুত্বপূর্ণ, আমার লেখা সমাজকে নাড়া দেয়, আমার কণ্ঠস্বর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে—এ কারণেই ঈর্ষাকাতর মানুষের দল আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

এটাই প্রকৃতির নিয়ম—যারা সত্যের পথে চলে, তারা একা হয়; কিন্তু তাদের শক্তি অমোঘ। ইতিহাস সাক্ষী, সত্য কখনো হার মানেনি, বরং প্রতিবার আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে।

আমার লেখনী চলবে, আমার কণ্ঠস্বর বজায় থাকবে, এবং শত্রুরা ধ্বংস হবে তাদের নিজেদের বিদ্বেষের আগুনে। আমি এগিয়ে যাব—সফলতার আরও উঁচু শিখরে, যেখানে শত্রুরা কেবল অসহায় দর্শক হয়ে দেখবে আমার বিজয়ের কেতন উড়ছে সত্যের আকাশে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট