1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত নেজাম ও সালেক—অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত !

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

সাতকানিয়ার গণপিটুনিতে নিহত নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ সালেক দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। ব্যবসায়ীদের অস্ত্র প্রদর্শন, চাঁদাবাজি, ক্ষমতা বিস্তারের নামে ভয়ভীতি দেখানোসহ একাধিক অপরাধে লিপ্ত ছিল তারা।শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে নিহত নেজাম পুলিশের কাছ থেকে লুট করা একটি পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়েছিল, যা পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে নিহত নেজাম ও সালেক-গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা থেকে একটি পিস্তল লুট হয়। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাতকানিয়ার ঘটনাস্থল থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটিই সেই লুট হওয়া অস্ত্র। এর অর্থ, নিহত নেজাম ও সালেক শুধু সাধারণ অপরাধীই নয়, তারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবেও পরিচিত ছিল। ঘটনার দিন নেজাম তার লুট করা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়, যা কয়েকজনকে আহত করে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়মিত ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করত এই দুইজন। তারা সাতকানিয়ায় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিচালনা করত এবং স্থানীয় জনগণকে তটস্থ করে রাখত। পুলিশের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে, চার থেকে পাঁচ দিন আগেও তারা এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মেরেছিল, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল।
চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন-পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, নেজাম ও সালেক প্রায়ই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বহর নিয়ে বিভিন্ন বাজার ও ব্যবসায়ী এলাকায় গিয়ে অস্ত্র প্রদর্শন করত এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করত। ঘটনার দিনও তারা সাতটি অটোরিকশা নিয়ে সেখানে গিয়েছিল, যা স্পষ্টভাবে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। চাঁদার টাকা না দিলে হামলা চালানো হতো এবং এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রাখা হতো।গণপিটুনির কারণ—জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ- স্থানীয় জনগণের সহ্যসীমা পার হয়ে গেলে ঘটনার রাতে মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়, এবং জনতা জড়ো হয়ে তাদের ধরে ফেলে। গণপিটুনির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই নেজাম ও সালেক নিহত হয়।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন:
“এটা স্রেফ একটি গণপিটুনির ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনরোষের বিস্ফোরণ। স্থানীয় জনগণ তাদের অপরাধে অতিষ্ঠ ছিল।”
তিনি আরও বলেন:
“আমরা প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছি। কোনো অবস্থাতেই ভাবার সুযোগ নেই যে প্রশাসন নির্বিকার হয়ে আছে।”রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন-
কিছু মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, নিহতরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ছিল, কিন্তু পুলিশের তদন্তে এই অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন:
“আমরা তদন্ত করে দেখেছি, ঘটনাস্থলে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল না। এটি নিছক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে ঘটে যাওয়া এক প্রতিক্রিয়া।”
এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার সেক্রেটারি জায়েদ হোছেন দাবি করেছেন, নিহতরা জামায়াতের কর্মী ছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে সাতকানিয়া জামায়াতের আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, নিহত নেজাম ও সালেক জামায়াতের তালিকাভুক্ত সদস্য নন। সাতকানিয়ার এই ঘটনা কোনো সাধারণ গণপিটুনি নয়, বরং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধ। নিহত নেজাম ও সালেক দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল, এবং তারা অস্ত্র প্রদর্শন, গুলি চালানো, চাঁদাবাজি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হয়রানির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, পুলিশ বিচার বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা করছে এবং প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে বদ্ধপরিকর। সাতকানিয়ার জনগণ এখন সন্ত্রাসের ছায়া থেকে মুক্তি পাবে বলে প্রশাসন আশাবাদী। সাতকানিয়ায় নিহত নেজাম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তার গড়ে তোলা সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে পুরো এলাকাকে জিম্মি করে রেখেছিল। তার নেতৃত্বে সংঘটিত অপকর্মের তালিকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, অপহরণসহ নানা অপরাধ রয়েছে। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল দুবাই প্রবাসী মহিউদ্দিন, ওসমান ও রিয়াদ, যারা নিয়মিত নেজামের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহায়তা করত। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই বাহিনী প্রবাসী আফসারকে অপহরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জোরপূর্বক তার জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, প্রাণের ভয়ে আফসার রাতের আঁধারে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনার পর নেজাম বাহিনীর বিরুদ্ধে ডিআইজি আহাসান হাবিব পলাশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে নেজামের নেতৃত্বে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
নেজাম উদ্দিনের অপরাধ জগতের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস ছিল ছনখোলা থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও বাণিজ্য। এতে তার নিজের বাহিনীর মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দেয়, যা একাধিকবার সংঘর্ষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় সূত্র বলছে, নেজামের সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রেখেছিল, নিয়মিত চাঁদা আদায় করত এবং যারা তার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করত, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দমন করত। এই চক্রের অপকর্মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকা সত্ত্বেও নেজামের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এতদিন কীভাবে সক্রিয় ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বলছে, নেজাম শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, তার বিদেশি সহযোগীদের মাধ্যমে শক্তিশালী একটি চাঁদাবাজ চক্র পরিচালনা করত। তদন্তে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে। প্রশাসন এখন এই চক্রের পেছনের শক্তিগুলোর খোঁজে মাঠে নেমেছে, যাতে নেজামের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তার সহযোগীরা আর কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত হতে না পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট