চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ ইমরান উদ্দিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি। হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী আব্দুল মালেক। তার সঙ্গে এই ন্যাক্কারজনক হামলায় সরাসরি অংশ নেয় তার ছেলে যুবলীগ নেতা এবং তাদের বাহিনীর সদস্য তারেক, আইমনসহ আরও ২০ জন।
হামলার পেছনের ষড়যন্ত্র ও অপরাধীদের পরিচয় হামলাকারী আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ভূমিদস্যু, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তিনি অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং মোহাম্মদ একরাম ও আনোয়ার হোসেন টিটু অপহরণ মামলার অন্যতম প্রধান হোতা। চট্টগ্রামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভূমি দখলের মতো কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা নতুন নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় থেকে সে দুর্বৃত্তায়ন ও অপরাধের অভয়ারণ্য তৈরি করেছে, যা নগরবাসীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা
এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেল ৪টায় বাকলিয়া এক্সেস রোডের ৫ স্টার ক্লাবের সামনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়েছে। এতে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা। সরকার ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান এই হামলা গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক কর্মীদের দমন-পীড়নের ধারাবাহিক অংশ। বিএনপি নেতারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন—
হামলাকারী আব্দুল মালেক ও তার বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ক্ষমতার দাপটে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
বিএনপি নেতারা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, চট্টগ্রামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় নেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে আরও রক্তাক্ত ঘটনা ঘটবে, যা শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয়, সমগ্র দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য ভয়াবহ