মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তার চরিত্রে, তার কর্মে। সত্যনিষ্ঠ জীবন যাপনের মাঝে যে গভীর আত্মশুদ্ধি, মিথ্যাচার তার ঠিক বিপরীত—কলুষতা, সংকীর্ণতা আর নীচতার প্রতিচিত্র। সমাজে যখন কোনো মহৎ মানুষ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরেন, তখনই একদল অন্ধকারবাসী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এই অন্ধকারবাসীরা সরাসরি সামনে আসতে পারে না, কারণ তাদের নিজেদের পরিচয়ই অনিশ্চিত, নৈতিক ভিত্তিই নড়বড়ে। তাই তারা ফেইক আইডির আড়ালে মুখ লুকিয়ে রাখে, সম্মানিত মানুষদের হেয় করতে, বিভ্রান্তি ছড়াতে আর মিথ্যার জাল বিছিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করতে চেষ্টা করে।
কিন্তু তারা কি জানে? মিথ্যা কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সত্যকে দাবিয়ে রাখা যায় না।সম্প্রতি ‘সু-শীলসমজ’ নামের এক ফেইক আইডির অপকৌশল সামনে এসেছে, যার মোবাইল নম্বরের শেষ সংখ্যা ৯২। সেই আইডিটি এখন মুছে ফেলা হয়েছে, কারণ তারা বুঝতে পেরেছে, সত্যের শক্তি তাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কিন্তু শুধু একটি আইডি মুছে ফেলা মানেই কি তারা বাঁচতে পারবে? সত্যের অনুসন্ধান থেমে নেই। প্রশাসন তৎপর, দেশজুড়ে সাংবাদিকরা প্রস্তুত, এবং সমাজের বিবেকবান মানুষেরা এখন এই অপশক্তির বিরুদ্ধে একাট্টা।
আমরা যারা কলম হাতে তুলে নিয়েছি, তারা জানি—মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই সবসময়ই কঠিন। কারণ মিথ্যাবাদীরা নিজের পরিচয় আড়ালে রাখে, গোপন অন্ধকারে তাদের চক্রান্ত বোনে। কিন্তু ইতিহাস বলে, অন্ধকারের শক্তি যতই প্রবল হোক, সূর্য ওঠার আগ মুহূর্তেই তার মৃত্যু ঘটে।
কারা এই মুখোশধারী?
যারা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায়, সম্মানিত মানুষদের নামে অপবাদ রটিয়ে আনন্দ পায়, তারা কারা? এরা আসলে আত্মপরিচয়হীন একদল মানুষ, যাদের জন্ম ইতিহাসেই অনিশ্চয়তা লুকিয়ে আছে। সত্যকে দাবিয়ে রাখার জন্য যারা মিথ্যার আবরণ তৈরি করে, তারা নিজেরাই নিজেদের শেকড় নিয়ে সন্দিহান। যদি তাদের শরীরের রক্ত পরীক্ষা করা হয়, যদি ডিএনএ টেস্ট করা হয়, তাহলে হয়তো দেখা যাবে—তাদের বাবার সঙ্গে তাদের রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই।
এই ফেইক আইডির পেছনে যারা আছে, তারা জানে না যে তাদের প্রতিটি মিথ্যা প্রচার একসময় তাদের নিজেকেই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। সমাজের শুভবুদ্ধির মানুষরা আজ তাদের চিনে ফেলছে, প্রশাসনের চোখে তারা এখন ধরাছোঁয়ার মধ্যে।
সতর্কবার্তা—অপমানের শেষ নেই, কিন্তু প্রতিশোধও থেমে থাকে না-আমি কখনো হানাহানি চাইনি, কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করিনি। কিন্তু যারা মনে করছে, মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে দেওয়া যায়, তাদের জন্য স্পষ্ট করে বলছি—তোমাদের দিন ফুরিয়েছে। ফেইক আইডির আড়ালে যারা লুকিয়ে আছে, তারা আজ না হোক, কাল ধরা পড়বেই। আইন তাদের বিচার করবে, সমাজ তাদের মুখোশ খুলে দেবে।
আমার কলম থামবে না
আমি দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে সত্যের পক্ষে কলম চালিয়ে আসছি। কত শাসক এসেছে, কত প্রতিকূলতা পেরিয়ে গেছি, কিন্তু কখনো আপোষ করিনি, কখনো থামিনি। আমার কলমের কালি হলো ন্যায়ের রক্ত, সত্যের শপথ।
আজ যারা ফেইক আইডির পেছনে লুকিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বলছি—এখনো সময় আছে, নিজেদের ভুল স্বীকার করো। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাও, নাহলে তোমাদের নাম একদিন আইনের খাতায় কালো অক্ষরে লেখা থাকবে। সমাজ তোমাদের ঘৃণা করবে, ইতিহাস তোমাদের অপরাধীর কাতারে ফেলবে।
মিথ্যা দিয়ে সত্যকে দাবানো যায় না। কলমের শক্তি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আমি কলম সৈনিক, আমি আপোষহীন। সত্যের পক্ষে আমার কলম আজীবন চলবে, ইনশাআল্লাহ।