1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

ফকিরহাটের ইয়াবা ও অনলাইন জুয়া কারবারি সাজিন প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে

মুহাম্মদ ইব্রাহিম
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪০ বার পড়া হয়েছে

ফকিরহাট, চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড থানার অন্তর্গত ফকিরহাটের শাহারিয়ার তানভীর সাজিন, যাকে এলাকার ইয়াবা ও অনলাইন জুয়া কারবারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কিত, তবে প্রশাসন এখনও তার বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
শাহারিয়ার তানভীর সাজিনের অপরাধের শেকড় স্কুল জীবন থেকেই শুরু। বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় সে কিশোর গ্যাং-এর সাথে জড়িত হয়ে বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করে। একপর্যায়ে, সে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এর মাধ্যমে তার গা ঢাকা দেওয়া শুরু হয় এবং সে গোপনে একটি বড় অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
শাহারিয়ার তানভীর সাজিন প্রথমদিকে কেবল কিশোর গ্যাং-এর সদস্য হিসেবে পরিচিত হলেও সময়ের সাথে সাথে তার অপরাধের পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। সে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা এবং অনলাইন জুয়া চালানোর জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, সে নারী ব্যবসাতেও জড়িত, বিশেষত প্রবাসী নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করার কাজ করে। তার এই কার্যকলাপ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এবং কেউ প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
ফকিরহাটের স্থানীয় বড় ভাইদের সাথে তার সখ্যতা ছিল, যা তাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সহায়তা করেছে। এলাকাবাসী জানায়, তার বড় ভাইরা তাকে পুরো এলাকা শাসনের জন্য সহযোগিতা প্রদান করে। সাজিন এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তার কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা এবং স্থানীয়দের অভিযোগ সত্ত্বেও, প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এটি মূলত স্থানীয় ভয় এবং সামাজিকভাবে স্টিগমা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পায়নি। বর্তমানে সাজিন ফের এলাকায় ফিরে এসে আগের মতো অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাজিন বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে। সেই সাংবাদিক তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাজিন অশ্লীল ভাষায় তাকে গালাগাল করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সাজিনের মোবাইল নম্বর থেকে সাংবাদিকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে তাকে ভয় দেখানো হয়। তার এই হুমকি এবং নোংরা ভাষার কারণে সাংবাদিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এঘটনায় সাংবাদিক মো. রাইসুল ইমলাম আলাদ (রনি) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং: ১০৭০, তারিখ: ২১/০২/২০২৪) দায়ের করেছেন, যাতে সাজিনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন, প্রাণনাশের হুমকি প্রদান, এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হলেও এখন পর্যন্ত সাজিনকে গ্রেফতার বা কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সাজিনের পিতা মোহাম্মদ রিপন, ফৌজদারহাট বিদ্যুৎ বিভাগের একজন লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত। তার পরিবার ফকিরহাট বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থান করছে। যদিও তার পিতার পরিচয় রয়েছে, তবে তার প্রতি কোনো আইনগত পদক্ষেপের ব্যাপারে আপাতত কিছুই স্পষ্ট হয়নি। এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি, কিন্তু স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে সাজিন আবারও তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং এলাকাটিতে আরো ত্রাস সৃষ্টি করবে, এক্ষেত্রে, প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সাজিনের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া প্রয়োজন, যাতে অন্যরা
এই ধরনের অপরাধে জড়ানোর সাহস না পায়। এমনকি একজন সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, যিনি সাজিনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রস্তুত করছিলেন। তার নিরাপত্তাহীনতা বিষয়টি প্রশাসনের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, কারণ সাংবাদিকরা যদি নিরাপদ না থাকেন, তবে সমাজের অন্য যে কোনো সদস্যও নিরাপদ থাকতে পারবে না। রাইসুল ইসলাম রনি, দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ রিপোর্টার, বর্তমানে জীবন-মরণের ঝুঁকির মধ্যে আছেন এবং তার নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপের প্রয়োজন
এটা স্পষ্ট যে, যদি প্রশাসন এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে ফকিরহাটের সাধারণ জনগণ এবং সাংবাদিকরা আরও বড় বিপদে পড়তে পারে, যার পরিণতি অনেকটাই ভয়াবহ হতে পারে। জনগণের আশঙ্কা, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে সাজিন তার আগের মতো অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাবে এবং এলাকা আরও বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট