অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সফলতার এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি তার নেতৃত্বের দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। ওসি আফতাব উদ্দিনের নির্দেশনায় পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে, বিশেষত মাদক, সন্ত্রাসবাদ এবং চোরাচালান প্রতিরোধে।
তার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অভিযানে সফলতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করেছে। তিনি তার টিমকে শক্তিশালী ও একত্রিত রাখার মাধ্যমে প্রতিটি অভিযানকে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করেছেন। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে এবং জনগণের মাঝে পুলিশ বিভাগের প্রতি আস্থা বেড়েছে।
ওসি আফতাব উদ্দিনের সফল অভিযান শুধু অপরাধ দমনে নয়, বরং সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি নতুন উদাহরণ তৈরি করেছে। তার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী আরও দক্ষ ও সাহসী হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংঘঠনের দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। এই অভিযানে আরও ১০ জনকে আটক করা হয়েছে, যারা জুলা খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা সহ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ ফয়সাল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংঘঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়, তারা হলেন:
১. রুপক কান্তি নাথ (৪৫), পিতা: মৃত নিকুঞ্জ বিহারী নাথ, মাতা: মৃত পাখি বালা নাথ, বর্তমান ঠিকানা: উত্তর চান্দগাঁও, বড় বাড়ী, নাথপাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম।
২. ইসরাত আশরাফি অপি (২৪), পিতা: আশরাফ আলী, মাতা: পারভিন আক্তার, বর্তমান ঠিকানা: চর পাথরঘাটা, খাঁন বাড়ী, ৩নং ওয়ার্ড, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম।
এদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা নং-১১, তারিখ-১৪/১১/২০২৪ইং, ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৪/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ সহ বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনের ৩-ক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে, একই দিন রাতে চান্দগাঁও থানার এক অভিযান আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে ৫টি জেলা থেকে আসা লোকজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা জুলা খেলা এবং নগদ টাকার সাথে আটক হয়। আটককৃতরা হলেন:
১. নুরুল ইসলাম (৪৫), পিতা: মৃত করম আলী, মাতা: মৃত সামা খাতুন, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-চট্টগ্রাম কক্সবাজার রোডের হানিফ গাড়ীর সুপার ভাইজার।
২. শাহারাজ (৫০), পিতা: ওহেদুল্লাহ, মাতা: শামসুন্নাহার, থানা-হাতিয়া, জেলা-নোয়াখালী, বর্তমানে-হামিদচর, আজিজ কলোনী, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম।
৩. রুবেল শীল (৩৫), পিতা: সাধন শীল, মাতা: পটু রাণী শীল, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম।
৪. মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৮), পিতা: মৃত আলিফ খান, মাতা: ছালেহা বেগম, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাঘেরহাট, বর্তমানে-শাপলা ক্লাব, থানা-চান্দগাঁও।
৫. মোহাম্মদ বাবুল শরীফ (৪৮), পিতা: মৃত আঃ হাকিম শরীফ, মাতা: সাফিয়া বেগম, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, বর্তমানে-চান্দগাঁও।
৬. মোহাম্মদ আবু তাহের (৩৯), পিতা: মৃত মোঃ আব্দুল খালেক, মাতা: মৃত বিবি সাহেরা খাতুন, থানা-সেনবাগ, জেলা-নোয়াখালী।
৭. নাজিম উদ্দীন (৪৪), পিতা: মৃত নুরু আহম্মেদ, মাতা: নূর জাহান, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-চান্দগাঁও।
৮. আনিসুল হক (২৪), পিতা: জাফর আলম, মাতা: হাসিনা বেগম, থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমানে-চট্টগ্রাম কক্সবাজার রোডে হানিফ গাড়ীর হেলপার।
৯. মেহেরাজ (১৯), পিতা: মোঃ নাজিম উদ্দিন, মাতা: কহিনুর আক্তার, থানা-লোহাগাড়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-চান্দগাঁও বাস টার্মিনাল।
১০. সৈয়দ ছালাম (৪০), পিতা: নজু মিস্ত্রি, মাতা: নুর বাহার, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমানে-চট্টগ্রাম কক্সবাজার রোডে হানিফ গাড়ীর হেলপার।
এই গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সিএমপি অধ্যাদেশ ৯৪ ধারায় চান্দগাঁও থানায় অধর্তব্য মামলা রুজু করা হয়েছে। সিএমপি এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেয়া হবে।