1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

বই কথা-৫ “বাংলা ভাষায় মুদ্রণ ও বই ব্যবসার সূচনা: ইতিহাসের প্রথম অধ্যায়”

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

বই কথা-৫
“বাংলা ভাষায় মুদ্রণ ও বই ব্যবসার সূচনা: ইতিহাসের প্রথম অধ্যায়”

বাংলা ভাষায় প্রথম বই লিখেছেন বাঙালি নয়– এক ইংরেজ লেখক!!
বাংলাদেশে বই ব্যবসার সূচনা এবং বাংলায় প্রথম বই রচনা নিয়ে ইতিহাস ঘাটলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। নিচে বিষয়টি নিয়ে একটি তথ্যভিত্তিক লেখা তুলে ধরা হলো:
বাংলায় বই ব্যবসার সূচনা
বাংলাদেশ তথা বাংলা ভাষার বই ব্যবসার সূচনা মূলত ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে ঘটে। উনিশ শতকের প্রথম ভাগে কলকাতা ছিল বাংলা বইয়ের মূল কেন্দ্র। তবে এর ভিত্তি গড়ে ওঠে ইউরোপীয় মিশনারিদের প্রচেষ্টায়। ১৭৭৮ সালে গেরহার্ড ফ্রেডরিক হগের প্রতিষ্ঠিত “ব্যাটিকাটা প্রেস” (Serampore Mission Press) থেকে বাংলায় বই মুদ্রণের শুরু হএই সময় থেকেই বাংলায় বাণিজ্যিক বই প্রকাশের ধারণা তৈরি হতে থাকে। তবে এ অঞ্চলে ব্যবসা হিসেবে বই প্রকাশনার ব্যাপক বিস্তার ঘটে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়দের মতো বিদ্বানদের লেখা বইয়ের জনপ্রিয়তার মাধ্যমে। ঢাকায় বই ব্যবসার সূত্রপাত: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বই ব্যবসার প্রকৃত শুরু হয় ঊনবিংশ শতকের শেষের দিকে। ১৮৭৪ সালে ঢাকায় “বইঘর” নামে একটি বই বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই বইঘর থেকেই স্থানীয় পাঠকদের মাঝে বইয়ের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। বাংলায় প্রথম বই রচনা
বাংলা ভাষায় প্রথম মুদ্রিত বই ছিল ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত “আগ্রা ও পিপীলিকা”, যা লেখেন নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ, এবং বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ সংকলনকারীও বটে।
তবে প্রকৃতপক্ষে একজন বাঙালি লেখকের লেখা প্রথম বই ধরা হয় রাজা রামমোহন রায়ের “বেদান্ত সার” (১৮১৫)। এটি ছিল সংস্কৃত ভাষার বেদান্তের বাংলা অনুবাদ, যা রামমোহন রায় নিজে সম্পাদনা করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
১. বাংলা মুদ্রণশিল্পের সূচনা:
বাংলা ভাষার প্রথম ছাপাখানা স্থাপন করেন উইলিয়াম কেরি, ১৮০০ সালে শ্রীরামপুর মিশনে। এখান থেকেই বাংলার বিভিন্ন বই মুদ্রিত হতে শুরু করে।
২. বাণিজ্যিক বই প্রকাশ:
বাংলায় বাণিজ্যিকভাবে বই প্রকাশের প্রথম উদ্যোগটি নেওয়া হয় কলিকাতায়। ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ” বাংলা বইয়ের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. বাংলাদেশে বইমেলা:
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম বইমেলা আয়োজন করা হয় ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এটি আজও বাংলাদেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির প্রতীক হয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে বই ব্যবসা এবং বাংলায় বই প্রকাশের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। প্রথম বই ব্যবসার পথিকৃৎ ইউরোপীয় মিশনারিরা হলেও বাঙালি লেখকদের হাত ধরে তা বাঙালি সমাজে ব্যাপক প্রসার লাভ করে। বাংলায় প্রথম বই মুদ্রণ এবং ব্যবসার সঠিক সূত্রপাত ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, যা আমাদের ভাষা ও সাহিত্যের উত্তরাধিকারের মূল ভিত্তি গড়ে তুলেছে। নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড (Nathaniel Brassey Halhed) ছিলেন একজন ব্রিটিশ পণ্ডিত, ভাষাতাত্ত্বিক, এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা। তিনি মূলত বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়ে বাংলা ভাষায় প্রথম মুদ্রিত বই “আগ্রা ও পিপীলিকা” রচনা করেন। হ্যালহেডের কাজ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে একটি মুদ্রণযন্ত্রে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।
হ্যালহেডের পরিচিতি এবং প্রেক্ষাপট জন্ম: ২৫ মে ১৭৫১, ইংল্যান্ডের মিঞ্চিনহ্যাম্পটনে।
শিক্ষা: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তিনি ক্লাসিকাল ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী হন। হ্যালহেড ১৭৭২ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মী হিসেবে ভারতে আসেন। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, এবং হিন্দু আইন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে তিনি ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ শুরু করেন। বাংলা ভাষায় আগ্রহ
ভারতে এসে হ্যালহেড বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হন। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থানীয়দের সাথে সহজে যোগাযোগের জন্য বাংলা ভাষাকে ব্যবহারের উপযোগী করা। সেই প্রয়াসে তিনি বাংলা ভাষার প্রথম মুদ্রিত বই “আগ্রা ও পিপীলিকা” (A Grammar of the Bengal Language) রচনা করেন। বইটি ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয়।
“আগ্রা ও পিপীলিকা” বইয়ের বৈশিষ্ট্য এটি বাংলা ভাষার প্রথম মুদ্রিত বই এবং বাংলা ব্যাকরণ নিয়ে লেখা প্রথম কাজ।
বইটির উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের বাংলা শেখানো, যাতে তারা স্থানীয়দের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে।
হ্যালহেড বইটি লিখতে বাংলা ভাষার শব্দতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব, এবং ব্যাকরণ বিশ্লেষণ করেন।
বইটির মুদ্রণের জন্য তিনি স্যার চার্লস উইলকিন্সের তৈরি বাংলা টাইপফেস ব্যবহার করেন।
একজন ইংরেজ হয়ে বাংলা বই লেখা কীভাবে সম্ভব হল?
হ্যালহেডের এই কৃতিত্বের পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল: সংস্কৃত ভাষার জ্ঞান: হ্যালহেড সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। সংস্কৃত শিখতে গিয়ে তিনি বাংলা ভাষার সঙ্গে পরিচিত হন। স্থানীয় পণ্ডিতদের সহযোগিতা: বাংলা ভাষার বিষয়টি গভীরভাবে বোঝার জন্য তিনি স্থানীয় পণ্ডিত ও ভাষাবিদদের সাহায্য নেন।
ঔপনিবেশিক উদ্দেশ্য: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনিক কাজে স্থানীয় ভাষার প্রয়োজন ছিল। তাই হ্যালহেড নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বাংলা ভাষা শেখা ও তা বিশ্লেষণ করার কাজ করেন।উদ্যম এবং গবেষণাপ্রবণ মনোভাব: হ্যালহেডের মতো পণ্ডিতরা নতুন সংস্কৃতি ও ভাষা নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী ছিলেন।
তার বাংলা ভাষায় অবদান
“আগ্রা ও পিপীলিকা” বাংলা ভাষার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি বাংলা ভাষা চর্চার প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এই বই বাংলা ভাষার ব্যাকরণগত বিশ্লেষণে পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করেছে।
তার কাজের মাধ্যমে বাংলার প্রতি ইউরোপীয় পণ্ডিতদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেডের “আগ্রা ও পিপীলিকা” কেবল একটি বই নয়; এটি বাংলা ভাষার মুদ্রণ ও প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার সূচনা হিসেবে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। যদিও তিনি একজন ইংরেজ ছিলেন, তার গভীর গবেষণামূলক মনোভাব এবং বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা তাকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমর করে তুলেছে।
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত “আগ্রা ও পিপীলিকা” (মূল ইংরেজি শিরোনাম: A Grammar of the Bengal Language) বইটি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ নিয়ে লেখা প্রথম বই। বইটির মূল বিষয়বস্তু ছিল বাংলা ভাষার ব্যাকরণ কাঠামো বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন। বইটির মূল বিষয়বস্তু:
বাংলা ব্যাকরণ: বাংলা ভাষার বর্ণমালা, শব্দতত্ত্ব, এবং বাক্যগঠন বিশ্লেষণ।
বাংলা ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব, যেমন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ এবং ব্যবহার। শব্দের প্রকৃতি, গঠন, এবং তাদের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা। বাক্যের গঠন ও নিয়ম: বাংলা বাক্যের গঠন প্রণালী এবং ইংরেজি ভাষার সঙ্গে তুলনা। বাংলা ভাষার বিশেষণ, ক্রিয়া, এবং বিভক্তি ব্যবহারের নিয়ম। অর্থ ও শব্দার্থ:
বাংলা শব্দগুলোর অর্থ এবং তাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার। ইংরেজদের জন্য শেখার সহায়ক পদ্ধতি:
বইটি মূলত ব্রিটিশ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বাংলা শেখার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।
সহজ ব্যাকরণগত উদাহরণ ও চর্চার জন্য বিভিন্ন অনুশীলনী যুক্ত করা হয়েছিল। মুদ্রণ এবং টাইপ: বইটি বাংলায় প্রথম মুদ্রিত বই হওয়ায় বাংলা টাইপফেস তৈরি এবং মুদ্রণ প্রক্রিয়ার বর্ণনাও এতে অন্তর্ভুক্ত। স্যার চার্লস উইলকিন্স বাংলা হরফ তৈরি করেন, যা এই বইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
বইটির উদ্দেশ্য:ব্রিটিশ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বাংলা ভাষা শেখানো, যাতে তারা স্থানীয় জনগণের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে।
বাংলা ভাষার একটি মানসম্পন্ন ব্যাকরণ প্রণয়ন, যা পরবর্তী গবেষকদের জন্য ভিত্তি স্থাপন করে। বাংলা ভাষার প্রমিত রূপ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।
বইটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
“আগ্রা ও পিপীলিকা” শুধুমাত্র বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ নয়, এটি বাংলা ভাষার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই বই বাংলা ভাষা শিক্ষার একটি কাঠামো তৈরি করেছিল এবং বাংলা ভাষার প্রতি ইউরোপীয় পণ্ডিতদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছিল। নিজেকে ঈশ্বরের দূত হিসেবে ঘোষণাকারী জনৈক Richard Brothers-কে সমর্থন করেন। এর ফলে প্রাচ্যবিদ হিসেবে তাঁর সামাজিক মর্যাদা অনেকাংশে ক্ষুণ্ণ হয়। ফরাসি বিপ্লবের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করার কারণে লন্ডনবাসীরা তাঁকে ঘৃণার চোখে দেখত। ফরাসি বিপ্লবের নীতির প্রতি তাঁর বিশ্বাস এতই গভীর ছিল যে, তিনি তাঁর সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ নিরাপত্তা ও অধিক লাভের আশায় ফ্রান্সে স্থানান্তরিত করেন। এটা তাঁর একটা নির্বুদ্ধিতার কাজ হয়েছিল, কারণ পরে তিনি তাঁর সব অর্থ হারান। বন্ধুবিবর্জিত ও অর্থশূন্য অবস্থায় হ্যালহেড ১৮৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসে হ্যালহেডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান তাঁর বাংলা ভাষার ব্যাকরণ। এর আগে পর্তু©র্গজ ধর্মযাজকরা তাঁদের নিজস্ব ভাষায় কিছু বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন বটে, কিন্তু সেগুলি ছিল সংক্ষিপ্ত ও বিক্ষিপ্ত এবং সেগুলি রচিত হয়েছিল তাঁদের ধর্মপ্রচারের কাজে ব্যবহারের জন্য। হ্যালহেডের কাজটি প্রকৃতপক্ষেই ছিল একজন নিঃস্বার্থ বুদ্ধিজীবীর কাজ। তিনি ইউরোপীয় যুক্তি ও বিজ্ঞান-মনস্কতার প্রভাবে বিশ্বাস করতেন যে, জ্ঞানের চর্চা কেবল জ্ঞানের প্রয়োজনেই করা উচিত। তাঁর ব্যাকরণেই সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের প্রকাশ ঘটে। বাংলা ভাষার প্রথম মুদ্রিত ব্যাকরণ  ভোকাবুলারিও পর্তুগিজ ভাষায় রচিত (লিসবন, ১৭৪৩), কিন্তু হ্যালহেডের ব্যাকরণ ইংরেজিতে রচিত এবং এতে বাংলায় প্রচুর উদাহরণ, উদ্ধৃতি ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। তবে হ্যালহেডের একটা দুর্বলতা ছিল এই যে, তিনি  বাংলা ভাষা ভাল করে না জেনেই বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন। তাই তাঁর প্রচেষ্টার সুদূরপ্রসারী কোনো ফল দেখা যায়নি, যদিও তাঁর মাধ্যমেই বাংলা ব্যাকরণ আধুনিকতার দিকে এগুতে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট