1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

প্রতারক আকিজ ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে লা এরিস্টোক্রেসী রেস্টুরেন্টের মালিক নওরোজের অভিযোগ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

নাজমে নওরোজ, লা এরিস্টোক্রেসী রেস্টুরেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, এস আলম ও আকিজ গ্রুপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, এই দুটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে তার রেস্টুরেন্টের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। নওরোজের ভাষ্যমতে, তাদের প্রতারণা ও অসৎ কার্যকলাপের মাধ্যমে তার ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাঁয়তারা চলছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের কাছে এই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন, যাতে এ ধরনের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এস আলম ও আকিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ জনমনে নানা সন্দেহ ও প্রশ্ন তৈরি করেছে, যা বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে।
লা এরিস্টোক্রেসী রেস্টুরেন্টের প্রোপাইটর নাজমে নওরোজ ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি এলাকায় এই রেস্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে তিনজন অংশীদার মিলে রেস্টুরেন্টটি পরিচালনা শুরু হলেও দুই বছর পর ঢাকাস্থ দুই অংশীদার তাদের অংশ বিক্রি করার প্রস্তাব দেন। নাজমে নওরোজ পুরো মালিকানা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং এ লক্ষ্যে FSIBL-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান S. Alam সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন।
নাজমে নওরোজ তার পারিবারিক পরিচিতির সূত্র ধরে S. Alam সাহেবের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং তাদের মাধ্যমে লোনের আবেদন করেন। ২০১১ সালে সমস্ত লিগ্যাল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে FSIBL থেকে দুই কোটি টাকা লোন অনুমোদিত হয়। এর মাধ্যমে নাজমে নওরোজ রেস্টুরেন্টটির সম্পূর্ণ মালিকানা গ্রহণ করেন। পারিবারিক সম্পর্ক ও ব্যাংকিং লেনদেন
পরবর্তী সময়ে নাজমে নওরোজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হয়। ২০১৩ সালে FSIBL-এর প্রবর্তক মোড় শাখার মাধ্যমে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় এবং এগ্রো লোন নেওয়া হয়। সেই সময় শাখার ক্যাশিয়ার ছিলেন আকিজ উদ্দিন, যিনি বর্তমানে S. Alam সাহেবের ব্যক্তিগত সহকারী (P.S.) নাজমে নওরোজ জানান, আকিজ উদ্দিনের বিয়ের সময় তিনি এক লাখ টাকা উপহার দেন এবং এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। আকিজ উদ্দিন P.S. হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরও তাদের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। অভিযোগের সূত্রপাত পিএস পদে যোগ দেওয়ার পর আকিজ উদ্দিন নাজমে নওরোজকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জমি কেনাসহ আরও কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রমে তাকে সহায়তা করার জন্য বলেন। নাজমে নওরোজের অভিযোগ, আকিজ উদ্দিন তার রেস্টুরেন্টে প্রায়শই মিটিং করতেন এবং নানাভাবে তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আরও তথ্য উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন। ব্যবসায়িক সম্পর্ক থেকে শুরু হওয়া এই লেনদেন ও অভিযোগ এখন অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নাজমে নওরোজের বক্তব্যের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। লা এরিস্টোক্রেসী রেস্টুরেন্টের প্রোপাইটর নাজমে নওরোজ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় লোন গ্রহণ করে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে FSIBL মহিলা শাখা এবং ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার কার্যক্রম নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। নাজমে নওরোজের দাবি, FSIBL-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান S. Alam সাহেব এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী (P.S.) আকিজ উদ্দিন এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। আকিজ উদ্দিন তাকে মহিলা শাখা থেকে লোন সীমা ছাড়িয়ে টাকা তুলতে উৎসাহ দেন এবং ব্যাংকের ম্যানেজারকে চাপ প্রয়োগ করেন। লোন সীমা ও ক্ষমতার অপব্যবহার নাজমে নওরোজ জানান, তিনি তার ব্যবসার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট লোনের আবেদন করেছিলেন। তবে আকিজ উদ্দিন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়তি লোন তুলতে তাকে বাধ্য করেন। ম্যানেজার সাহেবা প্রথমে বাড়তি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও আকিজ উদ্দিন ফোনে নির্দেশ দিয়ে চেক পাস করান। তিনি ম্যানেজারসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের তার প্রভাবের অধীনে রাখতেন এবং কোনো কর্মকর্তা তার নির্দেশ অমান্য করলে S. Alam সাহেবকে মিথ্যা অভিযোগ জানিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেন।
২০১৯ সালে, নাজমে নওরোজের লোনের সীমা প্রায় ২৩-২৪ কোটি টাকা অতিক্রম করে। নতুন ম্যানেজার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি সরাসরি S. Alam সাহেবের নজরে আনেন। যদিও S. Alam সাহেব ম্যানেজারকে এ নিয়ে চিন্তা না করার পরামর্শ দেন, তবুও নাজমে নওরোজ বিষয়টি জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আকিজ উদ্দিনের সহায়তায় পরিস্থিতি সামাল দেন। বড় ব্যবসায় বিনিয়োগের চাপ ও কমিশন চুক্তি আকিজ উদ্দিন নাজমে নওরোজকে বড় ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চাপ দেন এবং বলেন যে মহিলা শাখা থেকে আরও টাকা তুলে দেওয়া হবে। তার পরামর্শে নাজমে নওরোজ মাছ ধরার জাহাজের ব্যবসায় শেয়ার কেনার পরিকল্পনা করেন, যার জন্য প্রয়োজন হয় ২৫-৩০ কোটি টাকা। তবে বিনিময়ে আকিজ উদ্দিন কমিশন হিসেবে ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। এতে ভীত হয়ে নাজমে নওরোজ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আকিজ উদ্দিনের সঙ্গে একটি এগ্রিমেন্ট করেন। এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী, নাজমে নওরোজ তাকে দেওয়া ২০ কোটি টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা চান। আকিজ উদ্দিন এ বিষয়ে একটি লিখিত চুক্তি তৈরি করে মূল কপি নিজের কাছে রাখেন এবং নাজমে নওরোজকে একটি ফটোকপি দেন।
অভিযোগ ও তদন্তের দাবি নাজমে নওরোজের অভিযোগ, আকিজ উদ্দিন তাকে জাহাজ কেনার বিষয়টি S. Alam সাহেবের কাছ থেকে গোপন রাখতে বলেন এবং তার প্রভাব ব্যবহার করে লোন সীমা বাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকাণ্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনা ব্যাংকিং সেক্টরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ব্যাংকিং দুর্নীতি: ৫৯ কোটি টাকার এগ্রিমেন্ট এবং সমাজে মানহানির অভিযোগ চট্টগ্রামের একটি প্রভাবশালী ব্যাংকের মহিলা শাখায় আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি বড় অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আর্থিক অনিয়মের ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন ও ব্যবস্থাপনার গাফিলতি ঘটেছে। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার প্রভাব ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আকিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, তার নির্দেশেই একাধিকবার শাখার ম্যানেজারকে সীমা ছাড়িয়ে অর্থ উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী জানান, ২০১৯ সালের শেষ রিনিউয়ালের পরেও তার নামীয় একাউন্ট থেকে আকিজ উদ্দিনের অনুমোদনক্রমে চার থেকে পাঁচবার অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করা হয়। ব্যবসায়ী আরও জানান, আকিজ উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট বন্ধ রাখতে তিন কোটি টাকা গ্রহণ করেন। তার ভাষ্যমতে, এ অর্থ ঘুষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়ার কথা বলা হয়। জাহাজ ব্যবসা ও দুর্নীতি অভিযোগকারী ব্যবসায়ী মাছের জাহাজ ব্যবসায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। এর মধ্যে দেড় কোটি টাকার ব্যাংক স্যানশনসহ আরও ২৮.৫ কোটি টাকা মহিলা শাখা থেকে উত্তোলন করেন। এই অর্থ ছাড়ের প্রক্রিয়ায় আকিজ উদ্দিনের অনৈতিক কমিশন দাবি ও জামানতের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩০ কোটি টাকার লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে আকিজ উদ্দিন তার কমিশন হিসেবে আট কোটি টাকা দাবি করেন। এই লোনটি ১০০ কোটিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়।
মানহানি ও ব্যবসায়িক ক্ষতি ব্যবসায়ী দাবি করেন, “আমাদের সময়” পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে তার মানহানি ঘটেছে এবং তিনি সামাজিকভাবে অপমানিত হয়েছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লা এরিস্টোক্রেসি রেস্টুরেন্ট এবং নওরোজ এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত আকিজ উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্ট থেকে তার অ্যাকাউন্টের অনিয়ম গোপন রাখতেন। তবে বর্তমানে ব্যাংকের নতুন পর্ষদ তার অ্যাকাউন্ট ক্লাসিফাইড করেছেন। সমাপ্তি ও নতুন পর্ষদের ভূমিকা অভিযোগকারী বর্তমানে ব্যাংকের নতুন পর্ষদের কাছে সব তথ্য প্রদান করেছেন এবং একটি ন্যায্য সমাধানের আশা করছেন। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত খারাপ সময় পার করছি এবং পুরো বিষয়টি নতুন পর্ষদকে জানিয়েছি। আমার বক্তব্য প্রদানের সময় শাখার ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।” এই ঘটনায় ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়মের বিষয়গুলো পুনরায় আলোচনায় এসেছে। এ ধরনের ঘটনা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সঠিক তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক। ব্যাংক ঋণ ও হুমকির অভিযোগ: আকিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর গুরুতর অভিযোগ
ব্যাংক ঋণসংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আকিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক ঋণের প্রক্রিয়ায় তাকে প্রতারণা, হুমকি এবং আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। ঋণ এগ্রিমেন্টের জটিলতা ও প্রতারণার অভিযোগ
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী জানান, আকিজ উদ্দিন তাকে সময়মতো ঋণের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এজন্য তিনি ব্যবসায়ীকে বারবার এগ্রিমেন্টে সই করতে বাধ্য করেন। আকিজ উদ্দিন তাকে আশ্বস্ত করেন যে, সময়মতো অর্থ পরিশোধের দায়িত্ব তিনি নিজে নেবেন এবং ব্যাংকের ক্লাসিফিকেশন থেকে রক্ষা করবেন। তবে বাস্তবে এর উল্টো ঘটেছে। ব্যবসায়ী যখন ১ কোটি ২০ লাখ টাকার উপরে অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হন, তখন আকিজ উদ্দিন শাখার ম্যানেজারকে নির্দেশ দেন তার নামে মামলা করে অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা করতে। হুমকি ও গুম করার চেষ্টা ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, এক পর্যায়ে আকিজ উদ্দিন তাকে চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেলের লবিতে ডেকে মিটিং করেন। সেখানে তিনি ব্যবসায়ীকে বাধ্য করার চেষ্টা করেন একটি নতুন এগ্রিমেন্টে সই করতে, যাতে উল্লেখ থাকবে যে, তাদের মধ্যে আর কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। ব্যবসায়ী এই এগ্রিমেন্টে সই করতে অস্বীকৃতি জানালে আকিজ উদ্দিন তাকে গুম করার হুমকি দেন। তিনি বলেন, “আধা মিনিটের মধ্যে গুম করা সম্ভব।” এই হুমকির ফলে ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন বলে জানান। প্রভাবশালীদের কাছে নালিশ ও আশ্বাসহীনতা ব্যবসায়ী আরও জানান, তিনি ঘটনাটি প্রভাবশালী ব্যক্তি এস. আলম সাহেবের মেয়ের জামাই বেলাল আহমেদের কাছে খুলশি এলাকায় গিয়ে জানান। তবে বেলাল আহমেদ বিষয়টি এস. আলম সাহেবকে জানানোর জন্য বলেন, কিন্তু নিজের অপারগতা প্রকাশ করেন। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি ও ভয়ভীতির সংস্কৃতি ব্যবসায়ী দাবি করেন, আকিজ উদ্দিন এবং তার সহযোগীরা ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং প্রভাবশালী অবস্থানকে ব্যবহার করে সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানি করছেন। এই ঘটনা চট্টগ্রামের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অনৈতিকতার আরেকটি উদাহরণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। অভিযোগ ও তদন্তের প্রয়োজনীয়তা এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ব্যাংকের নতুন পর্ষদের কাছে নিরপেক্ষ সমাধানের জন্য আবেদন করেছেন। তবে এ ঘটনা ব্যাংকিং খাতের নৈতিকতার প্রশ্নকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে। প্রতারক আকিজ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি,

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট