1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

শেরপুর পাহাড়ী জনপদে হাতির আক্রমণ: ফসল ও জীবন রক্ষার লড়াই

সাফিজল হক,
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে
শেরপুর সীমান্তে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছে। সীমান্তের গ্রামগুলোতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নামা বন্য হাতির দল মানুষের বাধা পেয়ে ফসলের ক্ষেত ও বসতবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। এ সময়ে হাতির আক্রমণে মানুষের জীবনহানির ঘটনাও ঘটছে, হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বা শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় দেওয়ায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
ধানের পাকা মৌসুমে এই দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। পাহাড়ে খাবারের সংকটে থাকা হাতির পাল ধানক্ষেতে নেমে আসে, আর এ সময় ফসল রক্ষা করতে কৃষকরা মশাল, বল্লম ও পটকা নিয়ে পাহারায় থাকে। ফলে হাতি ও মানুষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনেক সময় হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু হয়, আবার ক্ষেত রক্ষার জন্য বসানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে হাতির মৃত্যু ঘটে।গারো পাহাড় এলাকায় খাদ্যের সংকট থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই দ্বন্দ্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহসপ্রতিবার (২১ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায় বন্যহাতির দল সন্ধার দিকে  ফসলী জমি লক্ষ করে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে  লোকালয়ের ফসলী জমির দিকে এগোতে থাকে, ১ দল হালুয়াটি গ্রামের দিকে বাকি ২ দল মালাকোচা ও সিংগিজানি গ্রামের দিকে এগোতে থাকে। গ্রাম্য লোকজন মশাল জ্বালিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ও হাতির দলকে ধাওয়া করে পাহাড়ের টিলায় নিয়ে যায়। পুনরায় হাতির দল রাত ৮ টার দিকে আবার আক্রমন করে, এই ভাবে ধাওয়া পালটা ধাওয়া করে, বন্য হাতি ও মানুষের দ্বন্দ চলে সারা রাত। এই ভাবে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার জনগন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষক এরা জানান, বন্য হাতি নিরসনে প্রসাশনিক কোন ব্যবস্থা নেই, আগে টর্চ লাইট ও কেরোসিন তেল দিলেও এই বছরে সেটাও জোটে নি, হাতির দল নিশব্দে আক্রমন করে, সব সময় সজাগ না থাকলে প্রানহানির শংকা থাকে। স্থানীয় জনগনের দাবী হালুয়াহাটি ও মালাকোচা এলাকায় বন্য হাতির উপদ্রব বেশী তাই এই এলাকায় বেদ্যুতিক তার দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিলে জানমাল ও ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।
স্থানীয় কৃষক রাকিব মিয়া বলেন, আমরা কৃষক আমাদের বেদ্যুতিক নিরাপত্তা বেষ্টনী দিলে আমাদের জান মাল রক্ষা হবে। ও পাহাড়ের দুই ধারে কাটা যুক্ত বেতের বাগান করলে হাতি সহজে বেতের বাগানে যাতায়াত করবেনা।
মালাকোচা গ্রামের ভোক্তভুগি কৃষক বারিক বলেন,  আমি গরিব মানুষ প্রতি মৌসুমে হাতি আমার ধান খেয়ে পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে। এবার ও হাতি আমার ধান খেত খেয়ে নষ্ট করেছে। আমি খুব অসহায় অবস্থায় দিন পার করেছি ।
আরেক ভোক্তভুগি ফুরাইদ মিয়া বলেন, বন্য হাতির তান্ডবে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাতির আক্রমন থেকে বাচতে  মাঝে মাঝে কাচা ধান কেটে নিয়ে আসতে হয়। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
আরো তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রায় ৪০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে বিস্তৃত গারো পাহাড়। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া মেঘাদল, দীঘিলানা, হারিয়াকোনা, বাবেলাকোনা, চান্দাপাড়া, মালাকোচা, হালুহাটি, বড়ইকুচি, বালিজুরি, খ্রিস্টানপাড়া, খারামোরা, রাঙাজান, তাওয়াকোচা, দুদনই, গজনী, বাকাকোড়া, আদর্শগ্রাম, রাংটিয়া, গান্ধীকুড়া, হলদীগ্রাম, নকশী, নলকুড়া, কুশাইকুড়া, মধুটিলা, ঝোকাকুড়া, আন্ধারুপাড়া, খলচান্দা, বাতকুচি, বারোমারী, নৌকুচি, নাকুগাঁও, পানিহাতা, বৈশাখীবাজার, গারোকোনা, সন্ধ্যাকুড়াসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম এ দ্বন্দ্বের শিকার।
১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব গ্রামে হাতির আক্রমণে ৬০ জন মানুষের মৃত্যু এবং শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, বিদ্যুতের ফাঁদসহ বিভিন্ন কারণে ৩০টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি হাতি হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ হাতির মৃত্যু ঘটেছে বৈদ্যুতিক ফাঁদ বা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে।হাতির আক্রমণের এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা এখন গ্রামবাসীর জন্য এক বড় বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে।
ময়মনসিংহ বনবিভাগের বালিজুড়ি বিট অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, বন্যহাতি ও মানুষের দ্বন্দ নিরসনে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি, ও আগাম সতর্ক বার্তা দিয়ে বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করে সকলকে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করার পরামর্শ দেন তিনি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট