1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

সাবেক মেয়র রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

“চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন ভবন: সাবেক মেয়র রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ”

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজারের চট্টেশ্বরী রোডে অবস্থিত ‘হারুনুর রশীদ চৌধুরী ভিলা’ নামে পরিচিত একটি ছয়তলা ভবন নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ভবনটি নির্মাণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কোনো অনুমোদন নেই, এমনকি মালিকানার সঠিক কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। প্রায় ১৮ বছর ধরে এই ভবনটি দখলে রেখে নিয়মিত ভাড়া তুলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম চৌধুরীর পরিবার।
ভবনটির প্রভাব ও বিতর্কিত মালিকানা ভবনটি স্থানীয়দের কাছে রহস্যময় হিসেবে পরিচিত। ছয়তলা ভবনে বর্তমানে ১২ থেকে ১৫টি পরিবার বাস করছে এবং ভবনের নিচতলায় রয়েছে একাধিক দোকানপাট। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভবনটি পারিবারিক সম্পত্তি বলে দাবি করেন এবং নিয়মিত ভাড়া আদায় শুরু করেন। ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আলমগীর জানিয়েছেন, আগে ভাড়ার টাকা রেজাউল করিম চৌধুরীর লোকজন এসে সংগ্রহ করত। তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সাবেক মেয়র পলাতক হয়ে পড়েন। বর্তমানে ভাড়ার টাকা সংগ্রহ করছেন তার ভাই নজরুল করিম চৌধুরী। স্থানীয়দের সন্দেহ ও প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি রেজাউল করিম চৌধুরীর পরিবারের দখলে রয়েছে। কিন্তু এটি আসলে কার সম্পত্তি বা বৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য নেই। ভবনের কয়েকজন ভাড়াটিয়া বলেছেন, ১৮ বছর ধরে ভবনটি সাবেক মেয়রের পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর আগে ভবনটির প্রকৃত অবস্থা কী ছিল, তা কারো জানা নেই। সিডিএর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। সিডিএর অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী তানজির জানিয়েছেন, ভবনটির বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন তদন্তে কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। সিডিএ মাঠ কর্মকর্তা বিধান বড়ুয়াও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভবনটির মালিক পক্ষের দাবি, কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে ভবনটির অনুমোদন বা মালিকানার সঠিক কোনো নথি সিডিএর কাছে নেই।
সিডিএর বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি বলেন, “ভবনের মালিক যেই হোক না কেন, আইনত অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ বেআইনি। বিষয়টি পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপন করা হবে এবং নিয়মতান্ত্রিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাবেক মেয়রের পরিবারের দাবি
সাবেক মেয়রের ভাই নজরুল করিম চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের বাবা ১৯৫৬ সালে জায়গাটি কিনে সন্তানদের নামে আমমোক্তারনামা করেছিলেন। তবে ভবনটির বর্তমান মালিকানা ও ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তার বক্তব্য অস্পষ্ট। তিনি জানান, ২০০৭-০৮ সালের দিকে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়, যা পরবর্তীতে বাতিল হয়।
সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাড়িতে লুটপাট এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই তিনি পলাতক। ফলে ছয়তলা ভবনটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভবনটি বর্তমানে নজরুল করিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে থাকলেও এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দাবি করেছেন, অবৈধভাবে নির্মিত এই ভবনটি নিয়ে সিডিএ যেন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। ভবনটি নিয়ে যে রহস্য এবং দুর্নীতি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। সিডিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, ভবনের অনুমোদন নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে, তা গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে এবং ভবিষ্যতে তদন্তের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চকবাজারের এই বহুতল ভবনটি অবৈধভাবে নির্মাণ এবং ব্যবহারের যে অভিযোগ রয়েছে, তা কেবল নগরের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন নয়, বরং সুশাসনের জন্য হুমকিস্বরূপ। সিডিএর সুষ্ঠু তদন্ত এবং যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার মেয়াদকালে এবং পরবর্তীকালে তিনি নগর উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, বালু উত্তোলন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বাহিনীকে অর্থায়ন পর্যন্ত তার কার্যক্রম নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। বালু কামাল ও বালুচুরি: দুর্নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রেজাউল করিম চৌধুরী বালু উত্তোলন ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় বালু মাফিয়া চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করেছিলেন বলে অভিযোগ। বালু উত্তোলনের জন্য সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোনো বৈধ লিজ ছাড়াই ‘বালু কামাল’ নামে পরিচিত এক প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা হয়। অবৈধ লেনদেন: বালু উত্তোলনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সুবিধা: স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে এই অর্থ বিতরণ করা হয়েছে, যাতে প্রভাবশালী চক্রকে আড়াল করা যায়। রাউজানে ফজলে করিমের বাহিনীকে অর্থ যোগান রাউজানের প্রভাবশালী রাজনীতিক ফজলে করিম চৌধুরীর বাহিনীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রে। অভিযোগ রয়েছে, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে এই বাহিনীকে অর্থায়ন করা হয়েছে।
রাজনৈতিক চাপ: বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ফজলে করিমের বাহিনীকে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
অর্থায়নের উৎস: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তহবিল এবং বালুচুরি থেকে অর্জিত অর্থ এই বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি রেজাউল করিমের সময়ে সিটি করপোরেশনের বাজেটের বরাদ্দকৃত তহবিলের সঠিক ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া প্রকল্প: একাধিক প্রকল্পের নামে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে সেসব কাজ সম্পন্ন হয়নি।
টেন্ডারবাজি: নিজের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সহযোগীদের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্প বিলম্ব: প্রায় প্রতিটি বড় প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়নি, যার ফলে অতিরিক্ত বরাদ্দ নেওয়া হয়। জনমতের প্রতিক্রিয়া এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। জনমনে ক্ষোভ: এই দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে আওয়াজ তুলছেন। প্রশাসনিক তদন্ত: দুর্নীতির এই অভিযোগগুলো যাচাই করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। কী প্রয়োজন এখন?
স্বচ্ছ তদন্ত: সকল অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।
আইনি ব্যবস্থা: দোষী প্রমাণিত হলে রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।
জনপ্রশাসনের জবাবদিহিতা: সিটি করপোরেশনের অর্থায়ন এবং প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই দুর্নীতির বিষয়ে আপনার আরো তথ্য বা বিশেষ কোনো দিক যুক্ত করার প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন। আমি আপনার জন্য নিউজটি আরও বিস্তারিত করতে পারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট