চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সেবা এবং সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণের পথ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে, চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য একটি আশার আলো। এখানে প্রত্যেকটি মা ও শিশুর সেবা প্রদান করা হয় বিশেষ যত্ন এবং পেশাদারিত্বের সাথে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ যেমন- গাইনী, নেপালি, শিশু বিশেষজ্ঞ সেবা, অপারেশন থিয়েটার, ন্যাচারাল ডেলিভারি রুম এবং আইসিইউ সহ, প্রত্যেকটি বিভাগে সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা কাজ করেন। তবে, হাসপাতালের ভেতরে বিভিন্ন সেবায় কিছু অনিয়ম এবং দুর্বলতার চিত্র দেখা যাচ্ছে, যার ফলে সাধারণ জনগণ তাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে বেশ কিছু সমস্যায় পড়ছেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের বর্তমান ব্যবস্থাপনা এবং এর সাথে জড়িত প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জীবন সদস্যদের সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালের উন্নত ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। সদস্যরা এখন একত্রিত হয়ে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন, যার মাধ্যমে তারা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন এবং স্বচ্ছ নেতৃত্ব চাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য হল- জনগণের স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে মায়েরা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা যেন আরও সুরক্ষিত এবং উচ্চমানের হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা হতে পারে যেখানে সঠিক নেতৃত্ব, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত নেতৃত্ব ভবিষ্যতে সকলের জন্য এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করবে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া তাই চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন-২০২৪-এর তফসিল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যা নিয়ে হাসপাতালের জীবন সদস্যদের মধ্যে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা নিয়ে বিভিন্ন সদস্যের নানা প্রশ্ন রয়েছে, বিশেষত নির্বাচনের স্বচ্ছতা, আপত্তি জানানোর সুযোগ, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে। এই নিবন্ধে আমরা তফসিলের বিস্তারিত বিশ্লেষণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। নির্বাচন সংক্রান্ত তফসিল ও কার্যপ্রণালী:
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ১২ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে দৈনিক আজাদী পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের কার্যক্রম একের পর এক নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়িত হবে, যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্পন্ন হতে পারে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশদ: ১. খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও আপত্তি গ্রহণ: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর পর, ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ করা হবে। যদি কোনো সদস্য তালিকা নিয়ে আপত্তি জানান, তবে আপত্তি শুনানির মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হবে।
2. চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, যার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ভোটারদের পরিচিতি।
3. মনোনয়নপত্র বিক্রি ও দাখিল: মনোনয়নপত্র বিক্রি হবে ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা এই সময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন এবং পূর্ণাঙ্গ মনোনয়নপত্র ২০ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০০০/- টাকা ফি গ্রহণ করা হবে। 4. মনোনয়নপত্র বাছাই: ২১ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। নির্বাচনী কমিশন এই সময় প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করবে এবং প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণ করবে।
5. প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে, এবং ২৫ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ করা হবে। আপত্তি শুনানি ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
6. বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে, যার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী শেষ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারিত হবে।
7. মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ: ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ থাকবে। এই সময়ে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। 8. চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণা করা হবে। 9. নির্বাচন: সর্বশেষ, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ:
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্রের মূল্য হবে ২০০০/- টাকা (অফেরৎযোগ্য)। প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ মনোনয়নপত্র নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জমা দিতে হবে।
নির্বাচনের জন্য পদসমূহ: চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত পদগুলো হল:
1. প্রেসিডেন্ট: ১ জন 2. ভাইস প্রেসিডেন্ট: ৪ জন
3. জেনারেল সেক্রেটারি: ১ জন
4. জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি: ২ জন
5. ট্রেজারার: ১ জন 6. জয়েন্ট ট্রেজারার: ১ জন
7. অর্গানাইজিং সেক্রেটারি: ১ জন
8. স্পোর্টস এন্ড কালচারাল সেক্রেটারি: ১ জন
9. ডোনার মেম্বার: ২ জন
10. মেম্বার: ১০ জন এছাড়া, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ ও সমস্যা:
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর জীবন সদস্যদের মধ্যে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, বিশেষত নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং আপত্তি জানানোর সুযোগ নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন যে, নির্বাচনের সময়সীমা কিছুটা সংকুচিত হওয়ায় প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া যেতে পারে। কিছু সদস্য মনে করছেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরও আরো উন্মুক্ত ও প্রকাশ্য হওয়া উচিত, যাতে সকল সদস্য তাদের মতামত দিতে পারেন। তবে, নির্বাচন কমিশন আশা করছে যে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হতে পারে এবং জীবন সদস্যরা তাদের মতামত ও আপত্তি স্বচ্ছভাবে তুলে ধরতে পারবেন। এই নির্বাচন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, এবং আশা করা যায় যে, এটি প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে।
জীবন সদস্যরা আরো মতামত উপস্থাপনের মাধ্যমে বলেন-এই স্বল্প সময়ে যথাযথভাবে আপত্তি জানানোর সুযোগ সীমিত, ফলে সঠিকভাবে তাদের অভিযোগ উত্থাপন এবং তদন্তের সুযোগ ব্যাহত হচ্ছে। অবহেলার আশঙ্কা: অনেক সদস্য মনে করছেন যে, এই সংক্ষিপ্ত সময়সীমা একটি সংগঠিত নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিপরীত। যেহেতু নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, তাই এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তির মতামত, অভিযোগ এবং আপত্তি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত। তবে, এই স্বল্প সময়ের কারণে প্রকৃত সমস্যা ও অনিয়মগুলোর পর্যাপ্ত যাচাই হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। প্রথমিক তালিকা প্রকাশ এবং চূড়ান্ত তালিকার মধ্যে সামঞ্জস্য: প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার মধ্যে যথাযথ পরিবর্তন ও আপডেটের প্রয়োজন রয়েছে। প্রাথমিক তালিকার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন এবং আপত্তির ভিত্তিতে চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত। অনেক সদস্য মনে করছেন, এ বিষয়ে আরও সময় এবং সুযোগ দিলে প্রক্রিয়াটি আরো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি জীবন সদস্যদের প্রত্যাশা এই প্রক্রিয়াকে আরও গ্রহণযোগ্য এবং সকলের কাছে সুষ্ঠু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবন সদস্যদের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে, যা নির্বাচন কমিশনের জন্য সহায়ক হতে পারে: আপত্তি জানানোর সময় বৃদ্ধি: আপত্তি জানানোর জন্য কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিনের সময় বরাদ্দ করা উচিত, যাতে প্রতিটি প্রার্থী এবং সদস্য তাদের আপত্তি যথাযথভাবে উত্থাপন করতে পারেন। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে এবং প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। বিস্তারিত তথ্য প্রচার: নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবার কাছে পরিষ্কার ধারণা পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রচার এবং অবহিতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। এতে সদস্যরা নির্বাচনের নিয়মাবলী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান লাভ করবেন এবং সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও পক্ষপাতিত্ব কিংবা অন্যায় আচরণ যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের নিযুক্ত করা যেতে পারে। এভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জীবন সদস্যদের উদ্বেগ কমানো যাবে এবং নির্বাচনের ওপর আস্থা স্থাপন করা সম্ভব হবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিচালনা: নির্বাচন কমিশনের উচিত নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, যাতে সকল অংশগ্রহণকারী সদস্য সুষ্ঠুভাবে তাদের প্রার্থিতা উপস্থাপন ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। জীবন সদস্যদের পরামর্শ
জীবন সদস্যরা মনে করছেন যে, নির্বাচনের সময়সীমা এবং প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনলে এটি সবার জন্য উপযোগী হবে। তাদের মতে, নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও সময় এবং সুযোগ বরাদ্দ করে, তবে এতে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি জীবন সদস্যদের আহ্বান, তারা যেন এই নির্বাচনকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করেন এবং সদস্যদের মতামত ও উদ্বেগ যথাযথভাবে বিবেচনায় নেন। উপসংহার: চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন, যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংগঠনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল এবং সময়সীমা নিয়ে জীবন সদস্যদের অসন্তোষ তুলে ধরছে যে, আরও সুষ্ঠু ও সঠিক প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন। জীবন সদস্যদের এই প্রত্যাশা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা বজায় রাখতে এবং সমিতির প্রতি সকলের আস্থা স্থাপন করতে সাহায্য করবে।