1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামের নাগরিক আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা মঈনউদ্দীন মহসিনের স্মরণে অশ্রুসিক্ত শোকসভা প্রবাসী সাংবাদিকতা য়সাইফুল ইসলাম তালুকদারকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করলো প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদ কালিহাতীতে ১১ বছরের শিশুর বাল্যবিবাহ ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ সাতক্ষীরায় ৭১ টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত চট্টগ্রামে এলএনজি সংকটে গ্যাস বিপর্যয়- আগাম প্রস্তুতির ঘাটতি প্রশ্নবিদ্ধ! হুমকি-ধমকির ছায়ায় কাটানো এক সাংবাদিকের অভিজ্ঞতা–১ গণমানুষের সাহসী কণ্ঠের বিদায়: মঈনউদ্দীন মহসিনকে স্মরণ! ইরান-ফিলিস্তিনের প্রতিরোধে ইসরায়েলের পতনের ঘণ্টা বাজছে! বাকেরগঞ্জের ব্যবসায়ী মোঃ আমির হোসেন(মেকার) ইন্তেকাল করেছেন কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা!

চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুতে বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

গত১ নভেম্বর, ২০২৪: চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুতে (শাহ আমানত সেতু) আজ পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক। দীর্ঘ ১৪ বছর পর এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেন তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলমগীর নূর, যিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নামফলক পুনঃস্থাপনের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ১২টায়, কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের টোল বক্সের পার্শ্ববর্তী স্থানে। এই অনুষ্ঠানটি বিএনপির জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরকার ২০১০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ফলকটি ভেঙে ফেলেছিল। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে এই সেতুর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে কুয়েতের আমীরের সাথে বৈঠক করে তিনি সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করেন, যার ফলে বিএনপির শাসনামলেই সেতুর ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। এই সেতুর নির্মাণ কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছিলো আওয়ামী লীগ, যারা বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে এর বিরোধিতা করতে চট্টগ্রামে হরতাল ডেকেছিলো। এমনকি, বেগম খালেদা জিয়া যখন চট্টগ্রামে এসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তখন আওয়ামী লীগের সমর্থনে একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়। কিন্তু, শত বাধার মুখেও তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্যোগ থেকে পিছিয়ে যাননি।
নামফলক পুনঃস্থাপন অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের জন্য বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত, গুম ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের জন্যও প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা নুরুল ইসলাম রিপন, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জান্নাতুন নঈম চৌধুরী রিকু, বাকলিয়া থানা বিএনপির নেতা তাহের জামাল চৌধুরী, সংগঠনের দক্ষিণ জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, যুবনেতা হান্নান রহিম তালুকদার, গবেষণা কেন্দ্রের বাকলিয়া থানা কমিটির সভানেত্রী কামরুন্নেছা, মোঃ ফারুক, ইকবাল হোসেন, মোঃ মুছা, সালাউদ্দিন এবং খোরশেদ আলমসহ বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এই উদ্যোগটি স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম ও অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছে। তারা মনে করেন, এটি শুধু একটি নামফলক পুনঃস্থাপন নয়; বরং স্বাধীনতার চেতনায় দেশগঠনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন। আজকের এই পুনঃস্থাপন কর্মসূচী, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার বার্তা বহন করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট