সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নে বাড়ী এবং বাস্তহারা ও ছিন্নমূল সংগঠনের নামে গরীব দুঃখী মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎকারি চিহ্নিত প্রতারক, রিকশা চোর সিন্ডিকেটেট হোতা, তথাকথিত শ্রমীকলীগ নেতা আকতার হোসেনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র আইনগত নয়, বরং নৈতিকতারও চরম লঙ্ঘন। মুজিব কোট পড়ে তিনি যখন সাধারণ মানুষের কাছে আসেন, তখন তিনি যেন জনগণের দুর্ভোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের একটি নতুন কৌশল তৈরি করছেন। তাঁর চেহারার আড়ালে লুকানো অপরাধের গোপনীয়তা ও Manipulation-এর পেছনে রয়েছে একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য: গরিবের পকেট থেকে টাকা চুরি করা। আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি একটি শক্তিশালী রিকশা চোর সিন্ডিকেটের নেতা, যারা এলাকায় বিভিন্নভাবে মানুষের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। রিকশা চালকরা যে রক্ত, ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জন করে, আকতার সেই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। কথিত শ্রমীকলীগের সভাপতি হিসেবে তিনি রিকশা চালকদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করেন, অথচ বাস্তবে তিনি তাঁদের দুর্দশাকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
কেবল তাই নয়, আকতার হোসেন একটি গভীর গরুচোর সিন্ডিকেটেরও অংশ। গরু চুরি থেকে শুরু করে এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টির নেপথ্যে তাঁর হাত রয়েছে। এইসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। জনসাধারণের আর্থিক সংকটকে বাড়িয়ে তুলতে তিনি বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে নিজের পকেট ভারী করছেন। আকতার হোসেনের কার্যকলাপ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ রয়েছে। তাঁর নাম নিয়ে গঠন করা বিভিন্ন অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি গরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি প্রতারণা করে তাঁদের সান্ত্বনা ও বিশ্বাস ভেঙে ফেলেছেন। আকতার কেবল নিজের স্বার্থে অন্যায় ও অন্যায়ের পথে হেঁটেছেন; তিনি মুজিব কোট পরে মানবতার নামে যে প্রতারণা করছেন, সেটি এক কথায় ন্যক্কারজনক। এখন সময় এসেছে আকতার হোসেনের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার। তাঁর বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে, যা এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর চরম অবিচারের চিত্র তুলে ধরবে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনগণ জানবে যে, যে ব্যক্তি মুজিবের আদর্শের কথা বলে জনগণের কাছ থেকে ভোট চাইছে, সেই ব্যক্তি আসলে তাদের শত্রু।
গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা এই ব্যক্তি যে আসলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে, সেটি প্রমাণিত হলে এটি এক ধরনের সমাজের জন্য বিপদজনক ঘটনা। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আকতার হোসেনের মতো প্রতারকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আপনার যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয়, তাহলে জানাতে পারেন!