1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর এডহক কমিটির আত্মপ্রকাশ আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালে অরাজকতা!

বিপ্লব দাশগুপ্ত,
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে দুই চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক অরাজকতা ও অর্থ লুটের ঘটনা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৫ই অক্টোবর ২০২৪ থেকে হাসিনা গংদের নেতৃত্বে হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণের পর থেকেই হাসপাতালের বিভিন্ন সম্পদ লুটপাটের অভিযোগ উঠে আসছে। সূত্র মতে, হাসপাতালের ড্রাইভার শাওন, দারোয়ান হাবিব, এবং রিসিপশনিস্ট রবিউলের নেতৃত্বে হাসপাতালের একাউন্টস বিভাগের রক্ষিত ১,২৭,০০০/- টাকা এবং ক্যাশ বিভাগের ৮,৬৬,০০০/- টাকা, সর্বমোট ৯,৯৩,০০০/- টাকা লুট করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ভোল্টের চাবি পর্যন্ত খোয়া গেছে, যা সন্দেহ সৃষ্টি করেছে যে লুটপাটের এই পরিকল্পনা অত্যন্ত সুচিন্তিত ভাবে করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রাক্তন কর্মচারী হাসিনা আক্তারের নির্দেশে শাহাব উদ্দিন ও বোরহানের নেতৃত্বে শাওন, হাবিব, ও রবিউল প্রতিদিন রাতে অফিস সময় শেষে হাসপাতালের বিভিন্ন রুম থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন ফাইল সরিয়ে নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং রেকর্ড ঘাটতির কারণে ভবিষ্যতে হাসপাতালের প্রশাসন সমস্যায় পড়তে পারে।
হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ও স্টাফদের মধ্যে এক চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। লুটপাটকারী এই চক্রটির কারণে হাসপাতালের পরিবেশ অরাজক হয়ে উঠেছে। কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং প্রতিদিন এক জিম্মি পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সবাই দ্রুত এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে জনমনে। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালে ষড়যন্ত্রের কালো ছায়া: সাবেক কর্মচারী শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ চরমে। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে সাবেক এই কর্মচারী হাসিনা আকতার লিপি ও শাহাব উদ্দিন।
হাসপাতালের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ভাষ্যমতে, শাহাব উদ্দিন সরল ও নিরীহ কর্মচারীদের ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত অপকর্ম আড়াল করতে চাইছে। সাহাব উদ্দিন এই হাসপাতালে চাকরি করাকালীন বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন, সেই সময়ে সাহাব উদ্দিন এর বিরুদ্ধে হাসপাতালে চাকরিরত নারীদের অসংখ্য অভিযোগ ছিল, সেই সাহাব উদ্দিন অর্থ আত্মসাতে অভিযোগের মামলায় আসামি হাসপাতাল থেকে চাকরিচ্যুত হাসিনা আকতার লিপির সাথে মিলে আমাদের তিলে তিলে শ্রম দিয়ে গড়া হাসপাতালের সৎ ও সোজাসাপ্টা কর্মচারীদের ভুল পথে পরিচালিত করে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে এনে এক ধ্বংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী আরো অভিযোগ করেন যে , শাহাব উদ্দিন ও তার সহযোগী চক্রটি, বিভিন্ন সম্পদ লুটপাটের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়। তার লক্ষ্য হাসপাতালের সুনাম ক্ষুণ্ন করে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত এক চাপা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ জরুরি যাতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায় এবং হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।অন্য দিকে জাহাঙ্গীর চৌধুরী পত্রিকার প্রতিবেককে বলেন হাসিনা আকতার লিপি ও সাহাব উদ্দিন গংরা আমাকে হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করার পাশাপাশি আমাকে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে, সরল সোজা কর্মচারিদের সাথে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে মিলিয়ে দিয়েছে, আমি যেন হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারি, আমি সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে বাঁধার মুখোমুখিতে পড়েছি, তাদের লালিত সন্ত্রাসীরা আমি হাসপাতালে গেল তাদের নির্দেশে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করতে পারে বলে আশংকা করছি। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী একাধারে একজন উদ্যমী আইন কলেজের শিক্ষক ও মানবতাবাদী নেতা,
তিনি একজন ফটিকছড়ির বুনিয়াদি পরিবারেরবসন্তান, তাদের বাপদাদার ব্যবসা রয়েছে চট্টগ্রাম চাকতাইতে, সেই তার ঐতিহ্যেরবাহী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় না দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন বছর ধরে ধরে নিরলসভাবে সময় হাসপাতালটিকে একটি জরাজীর্ণ অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় মানের এক সেবামূলক হাসপাতালে পরিণত করেছেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী হাসপাতালের উন্নয়নে তার জীবনের সোনালী সময় ব্যয় করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের জনগণের সহযোগিতা এবং হাসপাতালের নিবেদিত কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে হাসপাতালটিকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। তার নেতৃত্বে, হাসপাতালটি আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে।
কিন্তু বর্তমানে, হাসপাতালটির সুনাম ও উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হয়েছে। সাবেক কর্মচারী হাসিনা আকতার লিপি ও শাহাব উদ্দিন নামক দুজন ব্যক্তি এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা ভুল তথ্যের মাধ্যমে হাসপাতালের বর্তমান প্রশাসন এবং অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বার বার অভিযোগ করেছেন যে, এই দুজন সাবেক কর্মচারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। তারা হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহাব উদ্দিন ও তার সহযোগীরা হাসপাতালের গোপন তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েব করে হাসপাতালের কার্যক্রমের
ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। হাসপাতালের বেশিভাগ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা এখন আতঙ্কিত। তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং একজন সম্মানিত আইনের শিক্ষকে নেতৃত্বে গঠিত হাসপাতালের পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশে দুঃখ করে বলেন, “এই অরাজকতা হাসপাতালের উন্নয়নের স্বার্থে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।” তিনি বলেন, “আমাদের সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মচারীদেরকে বিপদগামী যারা করেছে সেই দোষীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন , যাতে হাসপাতালের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।”
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী মনে করেন , হাসপাতালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বার্থান্বেষী মহল সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলা চালানোর লক্ষ্যে আমাকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাব এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকব।” এদিকে, হাসপাতালে বেশিরভাগ কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীরা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নেতৃত্বে একতাবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কাজ করছেন বলে প্রতিয়মান। তারা সবাই মিলিতভাবে বলছেন, “আমরা এই হাসপাতালের উন্নয়নে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব, এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।”
চলবে—

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট