ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার জায়লস্কর ইউনিয়ন এর নুরুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো: সোলায়মান গত কাল ১৭,১০,২৪ ইং বাদী হয়ে তার জায়গা দখল ও হামলার বিবরন দিয়ে ৮ জনকে আসামী করে দাগনভূঞা থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন ১। নুর আলম সবুজ (২৮) ২। নুর করিম (২৫) উভয় পিতা নুরুল হক।
৩। নুর জাহান (৫৫) স্বামী নুরুল হক, ৪। নাছিমা আক্তার (৩৮), স্বামী সাহাব উদ্দিন, ৫। নুরুল হক (৬০) পিতা মৃত আবদুল আজিজ, ৬। মুন্নি, স্বামী ইসমাইল ৭। রোজিনা আক্তার (৩০) ৮। মো ইসমাইল (৩২), পিতা মৃত আবদুর রব। বাদী ও পুলিশ তদন্ত সূত্রে জানা যায় বিগত অনেক বছর থেকে বাদী ও বিবাদী পরিবারের মধ্যে জায়গা জমিন নিয়ে মারা মারি, হামলা, দখল ইত্যাদি জোর জবরদস্তি চলে আসছিল।
যৌক্তিক সমাধানের জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিগত ২৪.০৮.২০১১ ইং সালে জায়গার মূল মালিক আবদুর সত্তার বাদী হয়ে ফেনী সিনিয়র জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন যার নাম্বার ১৩০/১১ইং এতে বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক বার জোর করে দখল ও বাদী পক্ষের উপর হামলা চালায়। বার বার হামলার শ্বিকার হয়ে গত ১৭.০৯.২০২৪ ইং সালে আবদূর সাত্তারের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে দাগনভূঞা থানায় সাধারন ডায়েরী করে।
উক্ত ডায়রীর তদন্ত প্রতিবেদন কর্তব্যরত এস আই নাজমূল হাসান গত ৭.১০.২৪ ইং তারিখে কোর্টে পেরন করলে আগামী ১৮.১১.২৪ ইং ধার্য তারিখে আসামীদের কোর্টে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেন।
এর মধ্যে আসামীদ্বয় গতকাল ১৭.১০.২৪ ইং তারিখে পূনরায় জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে বাদী পক্ষ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘর নির্মানে বিরত থাকার কথা বললে তাদের উপর দেশীয় বাশ, লাঠি, রড ও কুড়াল দিয়ে হামলা চালিয়ে মহিলা সহ প্রায় ৭ জনকে আহত করে, আহত অবস্থায় হাসপাতলে গেলে পূনরায় বিবাধীর আত্বীয় পরিচয়ে মহিপাল ছাত্র হত্যার আসামী মো: বেচু মিয়া (২৮), পিতা, আবদুল মালেক, গ্রাম, বেতুয়া, দাগনভূঞা, হামলা করে, ছাত্র হত্যার আসামী হিসাবে চিনতে পারলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে হাসপাতলে চিকিৎসা নিয়ে থানায় এসে গত কাল ১৭.১০.২৪ ইং দ্বিতীয় বার মো: সোলায়মান বাদী হয়ে সাধারন ডায়রী করেন, এবং পুলিশ তদন্তে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিবাদীদের জিজ্ঞেস করলে তারা দায় অস্বীকার করে, পুলিশ উভয় পক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্বাশীল থেকে কোর্টের চুড়ান্ত রায় আসা পর্যন্ত উক্ত জায়গা দখল করার চেষ্টা না করে শান্ত থাকার আহবান জানান।