1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আইনের শাসন চাই, দোসর খোঁজার নামে নৈরাজ্য নয়’! মদের গন্ধ, অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ে চরণদ্বীপে ওয়াসীমের অপরাধ সাম্রাজ্য! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন-তৃতীয়বারের মতো সেরা অফিসার! আমরা যখন জীবন দিই, তখন তোমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাও — পুলিশের পোশাকে এক মা ছোট্ট এক জীবন, অগণিত শিশুর মুক্তির স্বপ্ন: ইকবাল মাসিহ’র গল্প” এই বাংলাদেশ গোলাম আজমের নয়- শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর হবে পূর্ণাঙ্গ ঐতিহাসিক জাদুঘর: সংস্কৃতি উপদেষ্টা বাংলা টিভি’র নবম বর্ষে চট্টগ্রামের স্মৃতি পটভূমি ও শুভকামনা বাংলাদেশ দূতাবাস, বাহরাইনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাপেসাস-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মো. কামাল উদ্দিন

আইনের শাসন চাই, দোসর খোঁজার নামে নৈরাজ্য নয়’!

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের দোসরদের ধরিয়ে দেওয়ার নামে মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না জানিয়ে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেছেন, কারো বিষয়ে তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাতে পারবেন। পুলিশ যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে। বুধবার (২১ মে) রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে হাজারীবাগ এলাকায় দুটি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে একটি বাড়ি ঘেরাও করার ঘটনায় মোহাম্মদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ তিনজনকে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় আটককারীদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় যাওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি।গুঞ্জন রয়েছে, ধানমণ্ডিতে ‘চাঁদা না পেয়ে’ রাতে বাড়ি ঘেরাও করা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘চাঁদা দাবির বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবো। ৫ আগস্ট বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ— মব সৃষ্টি করে কাউকে যেন কিছু না করা হয়। গত পরশু রাতে যা দেখেছেন, এখন থেকে তেমনটাই হবে। কোনো বাড়ি ঘেরাও বা কাউকে ধরিয়ে দেওয়ার নামে সবাইকে পুলিশ হওয়ার সুযোগ নেই।আওয়ামী লীগের বড় পদ বা তাদের সহযোগী কারো বিষয়ে তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু এভাবে বাড়ি ঘেরাও করার সুযোগ নেই। আমারা কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দিবো না।’ আটককারীদের ছাড়িয়ে আনতে হান্নান মাসুদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হস্তক্ষেপ না। আসলে ঘটনা ঘটার আগেই যেহেতু তাদের আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাই মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছি। মুচলেকাতেও বলা হয়েছে, এটাই শেষবার। এরপরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বাংলাদেশে বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের নানা অভিযোগ উঠেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, প্রশাসনে দলীয়করণ হয়েছে, এবং মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিপর্যস্ত হয়েছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অরাজকতার পেছনে একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল—এটা এখন আর অজানা কিছু নয়। কিন্তু এই বাস্তবতা মানলেও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে—আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি, যার সঙ্গে কয়েক কোটি মানুষ বিশ্বাস, আদর্শ বা পরিবেশগত কারণে যুক্ত আছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে সব কর্মী বা সমর্থকের সম্পর্ক একরকম নয়। অনেকে আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্ত হয়েছেন, অনেকে শুধুই নাগরিক বা সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কারণে সংশ্লিষ্ট। তাই কারও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি বা সামাজিক হয়রানির মতো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটানো ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অপরাধীদের বিচার অবশ্যই প্রয়োজন, এবং সেটি হতে হবে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক। কিন্তু সেই বিচার হতে হবে আইনের ভিত্তিতে, তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা আবেগের বশবর্তী হয়ে নয়।
যদি নিরীহ মানুষ শুধুমাত্র একটি দলের সদস্য বা সমর্থক হওয়ার অপরাধে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা পায় এবং তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়—তা হলে তা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সাধারণ জনগণ বুঝে ফেলবে, এই বিচার রাজনৈতিক প্রতিশোধ—ন্যায়বিচার নয়। এতে সরকারের প্রতি জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
রাষ্ট্র যদি সত্যিকার অর্থে দুর্নীতির বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে তাকে সবচেয়ে আগে বেছে নিতে হবে আইনের নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়বিচারের সর্বজনীন মানদণ্ড। কারও দলীয় পরিচয় নয়, অপরাধই হোক বিচারযোগ্য অপরাধের একমাত্র ভিত্তি। রাষ্ট্রকে প্রয়োজন অপরাধী চিহ্নিত করা—দল নয়। দলীয় পরিচয়, ব্যক্তিগত আক্রোশ, বা মবের উত্তেজনা দিয়ে যদি আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে দেশ আরও বিশৃঙ্খলায় যাবে, সামগ্রিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত হবে। সুতরাং অপরাধীর বিচার চাই—কিন্তু তা হতে হবে আইনানুগ, নিরপেক্ষ ও মানবিকতার ভিত্তিতে। নইলে গণতন্ত্র নয়, প্রতিশোধ আর অরাজকতার দ্বার খুলে যাবে।
লেখকঃ যুগ্ন সম্পাদক– দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও The Daily Banner-
সহসভাপতি-বাংলাদেশ পেশাজীবী সাংবাদিক কো-আপারেটিভ সোসাইটি লিঃ (বাপেসাস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট