ফিরে দেখা ইতিহাসঃ
কে এম ওবায়দুর রহমান আমার নেতা ছিলেন-মো. কমাল উদ্দিন
আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে, আমার জীবনে ঘটে গিয়েছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আজও আমি স্মৃতির পাতায় জীবন্তভাবে ধারণ করে আছি। সে সময়, আমার জেঠাতো ভাই জানে আলমের বদৌলতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে ফুল দেওয়ার সুযোগ এসেছিল। সেই দিনটি ছিল আমার জন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা। ১৯৭৯ সালের দিকে, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদের বোয়ালখালী উপজেলার চৌধুরী হাটে জনসভা করতে আসেন। এম পি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। সেই সভায়, ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি ও আমার সহকর্মীরা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। সে দিনটির স্মৃতি আজও আমার মনে গেঁথে আছে। তখনকার কথা মনে পড়লে আমি বুঝি, কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই মুহূর্ত, যেটি আমাকে রাজনীতির প্রতি এক ধরনের গভীর আগ্রহ ও ভালোবাসা তৈরি করতে সাহায্য করেছিল। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রামে হত্যা করার পর বিএনপির পক্ষে বিচারপতি আব্দুর সাত্তার এর নির্বাচন- সেই নির্বাচনে সাত্তারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষে
ছিলেন ড. কামাল হোসেন, সেই নির্বাচনে সাত্তারের ধানের শীষের
পক্ষে এবং নৌকা মার্কার বিপক্ষে আমার স্কুল জীবনের রাজনীতির প্রচার- বিশেষ করে শ্লোক দিয়ে শ্লোগানের কথা এখনো মনে পড়ে ” পরবর্তীতে এরশাদ বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের অঙ্গনে আমরা তখন সক্রিয় ছিলাম এবং এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছিলাম। তখন, আমরা যে রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের অংশ ছিলাম, সেই বাংলাদেশ ছাত্র দল, ছিল আমাদের অঙ্গীকারের মঞ্চ, যেখানে আমরা ন্যায় ও সমতার জন্য সংগ্রাম করতাম। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন শক্তিশালী নেতা, যিনি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
ছাত্র দল হয়ে উঠেছিল একটি প্রভাবশালী সংগঠন। আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল তার নেতৃত্বের অধীনে কাজ করা। সেই জিয়াউর রহমানের আস্তা বাজন কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত জনতা দলের অঙসংগঠন-বাংলাদেশ ছাত্র দলের
চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিবেদিত রাখি। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এবং তার রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলাম। বিশেষ করে কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে
এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।
তবে, আমার রাজনৈতিক জীবন শুধুমাত্র রাজনীতির সঙ্গে সীমাবদ্ধ ছিল না। একই সঙ্গে আমি লেখালেখির মধ্য দিয়েও একটি নতুন পথ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। রাজনৈতিক জীবনে যে সংগ্রাম ছিল, লেখালেখির জীবনে তেমনই এক ধরনের চেতনা ও আদর্শের পথ অনুসরণ করতে চেয়েছি। আমি রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং লেখার মধ্যে কখনোই কোনো পার্থক্য রেখেছি না, বরং লেখালেখির মাধ্যমে আমি নিজের রাজনৈতিক ও আদর্শিক চিন্তা প্রকাশ করেছি।
আমি কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলাম না, তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ছিল এবং সেই শ্রদ্ধা থেকেই আমি তার উপর একাধিক লেখা লিখেছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম করেছিলেন, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যদিও আমার রাজনৈতিক পরিচয় কখনোই আওয়ামী লীগ ছিল না, তবুও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আমার হৃদয়ে অটুট ছিল।
এদিকে, শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রতি আমি কখনোই দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে পারিনি এবং এখনো করি না। তবে, ভবিষ্যতে কী হবে, তা বলতে পারি না। আমি একজন পেশাদার লেখক, সাংবাদিক এবং গবেষক হিসেবে আমি লেখা লেখি করেছি। যেখানে আমি কখনোই আমার রাজনৈতিক পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে লেখালেখি করি না। আমি সময়োপযোগী ও অবিচলিতভাবে সত্যের পথে চলি, এবং আমার লেখাগুলো মানুষকে সচেতন করে, সমালোচনার সুযোগ তৈরি করে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে।
আমি সবসময় বিশ্বাস করি, রাজনীতি একটি পথ, যেখানে নেতৃত্বের মূল্য অনেক বেশি। আমি জিয়াউর রহমান ও কে এম ওবায়দুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলাম এবং আজও আছি। তাদের নেতা হয়ে আমরা কাজ করেছি, দেশের জন্য সংগ্রাম করেছি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি রাজনীতির মাঠে কাজ করেছি এবং তাদের আদর্শের পক্ষে প্রতিনিয়ত কথা বলেছি। এই দুই নেতার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে এবং তাদের নেতৃত্বের স্মৃতি চিরকাল আমাদের কাছে থাকবে। আজকের এই স্মৃতিমধুর লেখাটির মাধ্যমে আমি একটি রাজনৈতিক সত্যকে তুলে ধরতে চেয়েছি এবং সেই সময়গুলোর মূল্যায়ন করতে চেয়েছি, যখন আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্যে রাজনীতি, আদর্শ, কর্মনীতি, সংগ্রাম এবং নেতৃত্ব ছিল একসাথে মিশে।
এটি শুধু একটি ইতিহাসের অংশ নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট সময়ের স্মৃতিচিহ্ন, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষা হতে পারে। এই লেখার মাধ্যমে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও কে এম ওবায়দুর রহমানসহ জাতীয় নেতারা আজীবন আমার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। আজকের এ লেখাটি পড়ে হয়তো অনেকেই ভাববেন, ‘‘কী বলছি?’’ তবে আমি যা বলছি তা একান্ত সত্য। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বড় পরিবর্তন ঘটেছিল, তার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বহু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, যার মধ্যে একজন ছিলেন কে এম ওবায়দুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনের পথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম এবং বাংলাদেশ ছাত্র দল ও বিএনপির অনেক সংগ্রামের অংশীদার ছিলাম।
আজ, যখন আমি বইমেলার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আছি, তখন এক অদ্ভুত আনন্দ কাজ করছে। কারণ, উপস্থিত আছেন সেই সময়ের সাহসী নারী নেত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (BNP) সুপরিচিত নেতা, শামা ওবায়েদ। একজন সফল, দৃঢ়, আদর্শিক, এবং প্রাজ্ঞ নেতা, যিনি তার পিতার রাজনৈতিক পথ ধরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই দিনটি আমার জন্য অত্যন্ত বিশেষ, কারণ এই বিশেষ মুহূর্তে আমি স্মৃতির পাতায় ফিরে যাচ্ছি। শামা ওবায়েদ হচ্ছে আমার পিতৃতুল্য নেতা, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা কে এম ওবায়দুর রহমানের একমাত্র যোগ্য উত্তরসূরি, যিনি তার রাজনৈতিক ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন।
কে এম ওবায়দুর রহমান ছিলেন বিএনপির প্রভাবশালী মহাসচিব, একজন যিনি রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য সংগ্রাম ও সফলতার সাক্ষী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবদান এক কথায় অবিস্মরণীয়। আমি আবারও বলছি-
তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা, যার নেতৃত্বে বিএনপি এবং এর শরিক দলগুলো একত্রিত হয়ে এক বিপুল আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলছিল, তখন তিনি তার নেতৃত্বের মাধ্যমে আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। এই সময়ে, আমি ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে একজন হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। তাঁর কাছ থেকে আমরা শুধু রাজনৈতিক শিক্ষা নয়, মানবিক শিক্ষা পেয়েছি। তিনি আমাদের রাজনৈতিক চেতনা ও আদর্শিক মূল্যবোধ শেখাতে সাহায্য করেছিলেন।
কী এম ওবায়দুর রহমান ছিলেন সেই রাজনৈতিক নেতা, যিনি জাতীয় আন্দোলনের এক শক্তিশালী শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যখন বিএনপি দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়েছিল, তখন তিনি তার দলের জনগণের মনোভাব ও দলীয় ঐক্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার রাজনৈতিক চেতনা ও সাহসী নেতৃত্ব বিএনপির ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শামা ওবায়েদ, কে এম ওবায়দুর রহমানের একমাত্র কন্যা, যিনি তার পিতার পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ এক সুপরিচিত নেতা। তার মধ্যে রয়েছে পিতার রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মনিষ্ঠা, এবং দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। যখন তিনি দেশের রাজনীতিতে অংশ নেন, তখন তিনি আমাদের কাছে প্রমাণ করেন, একজন নারীর নেতৃত্ব কেবল সম্ভাবনাময় নয়, বরং তা দেশ ও সমাজের উন্নতির জন্য অপরিহার্য।
শামা ওবায়েদ যখন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন, তখন তার পিতা ছিলেন এক দৃঢ় নেতারূপে তার পাশে। তিনি তার পিতার রাজনৈতিক শিক্ষাগ্রহণ করেছেন এবং সেই আদর্শের মাধ্যমে আজকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে একজন সাহসী, দক্ষ এবং প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বের ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ক্ষমতা তাকে একটি বিশেষ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
শামা ওবায়েদ, যার কাছে একসময় আমাকে অনেক দিকনির্দেশনা ও সাহস পেয়েছি, আজ বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী হয়ে উঠেছেন। তিনি তার রাজনৈতিক জীবন ও পথচলা দ্বারা প্রমাণ করেছেন, নারীরা যে কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান ভূমিকা পালন করতে পারে। তার নেতৃত্বে বিএনপি এখনো রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা চিরকাল অটুট থাকবে।
১৯৮৬ থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত কে এম ওবায়দুর রহমান বি এনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরশাদের পতনের পিছনে বড় ধরনের আন্দোলনের নেতৃত্ব কে এম ওবায়দুর রহমান দিয়েছিলেন, তখন এরশাদ কে এম ওবায়দুর রহমানকে চাপপ্রয়োগ করে বিএনপির মহাসচিব থেকে সরে গিয়ে জনতা দল গঠন করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিশেষত ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে, আমরা যেভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম, শামা ওবায়েদ পিতার রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা, মেনে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে কাজ করে আসছেন। আজ আবারও পুনরায় মনে পড়লো আমি যে চট্টগ্রাম মহানগরের- বাংলাদেশ ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম এবং অনেকবার আমি ওবায়দুর রহমানের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে নানা দিকনির্দেশনা ও প্রেরণা দিয়েছেন। তার কাছ থেকে রাজনৈতিক জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি, যা আজও আমার সঙ্গে রয়ে গেছে।
শামা ওবায়েদ, তার পিতার আদর্শে চলতে গিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক চেহারায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তার রাজনৈতিক দক্ষতা এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসা তাকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। তিনি শুধু বিএনপির নেত্রী নয়, বরং দেশের উন্নয়নে তার বিশাল অবদান রাখছেন।
শামা ওবায়েদ আজ বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম পরিচিত মুখ। তার নেতৃত্বের ক্ষমতা এবং গভীর রাজনৈতিক বোঝাপড়া তাকে জনগণের আস্থাভাজন নেতা বানিয়েছে। তিনি ন্যায়ের পক্ষে এবং জনগণের কল্যাণে এক নতুন প্রজন্মের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। আজকের দিনটি আমার জীবনে বিশেষ অর্থ বহন করে, কারণ, আমি যখন তাকে সামনে দেখলাম, তখন মনে হলো আমি আবারো ফিরে এসেছি আমার সেই রাজনৈতিক গুরু কে এম ওবায়দুর রহমানের কাছে।
এমনকি, শামা ওবায়েদ যখন আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন, তখন আমি অনুভব করেছি যে, এই ঘটনা শুধু একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন নয়, বরং এক একটি রাজনৈতিক আদর্শের পুনর্জাগরণ। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শামা ওবায়েদকে, যিনি তার রাজনৈতিক দলের একঝাঁক নেতা-কর্মী নিয়ে সময় বের করে আমাকে সম্মানিত করেছেন। তিনি আজ রাজনীতির এক দীপ্তমান নক্ষত্র, যিনি তার পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করছেন।