চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা পুলিশের দক্ষ অভিযানে চুরি হওয়া একটি মিনি ট্রাক উদ্ধার এবং আন্তঃজেলা ট্রাক চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে। চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ছিলেন অপারেশন অফিসার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মোমিনুল হাসান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মুহাম্মদ আলম খান।
ঘটনার বিবরণ:
বাদী মোঃ মহি উদ্দীন (৪৪) এবং তার ব্যবসায়িক পার্টনার মোঃ আবুল বশর (৬৫) যৌথভাবে চট্টগ্রাম মেট্রো-ড-১১-৩৬৭৬ নম্বরের মিনি ট্রাকটি কিস্তিতে ক্রয় করেন। আসামি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ দৈনিক চুক্তির ভিত্তিতে ট্রাকটি ভাড়ায় চালাতেন। গত ২৭ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন এককিলোমিটার নুর নগর হাউজিং সোসাইটির মাঠ সংলগ্ন গ্যারেজের সামনে ট্রাকটি পার্ক করা অবস্থায় ছিল। অভিযোগ অনুসারে, আসামি মজিদ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সহায়তায় গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাদী মোহাম্মদ মহি উদ্দীন চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৫(১১)২৪)।
অভিযান ও গ্রেফতার:
মামলা দায়েরের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ জোন) দিক নির্দেশনায় চান্দগাঁও থানার একটি টিম অভিযান শুরু করে। ৮ নভেম্বর রাতে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তার হেফাজত থেকে সূত্রোক্ত মামলার চুরি হওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের বিবরণ: ট্রাকের ধরণ: মিনি ট্রাক রেজিস্ট্রেশন নম্বর: চট্টগ্রাম মেট্রো-ড-১১-৩৬৭৬
গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিচয়: নাম: মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ (৩২) পিতা: মৃত ওসমান গণি. মাতা: আন্তরাজ বেগম
ঠিকানা: ছোট কুলার পাড়া, উলাইয়ার বাপের বাড়ি, ৬নং ওয়ার্ড, মহেশখালী, কক্সবাজার। বর্তমানে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক, মীর ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম।
পুলিশের বক্তব্য:
চান্দগাঁও থানা পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ট্রাক চুরির মতো অপরাধ প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃত আসামি মোহাম্মদ মজিদের কাছ থেকে চুরির কৌশল এবং তার সহযোগী অন্যান্য অপরাধীদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে পুলিশ আশাবাদী। পুলিশ আরও জানায়, ট্রাক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং চক্রটি পুরোপুরি নির্মূল করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের অপরাধে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে পুলিশ অপরাধ দমন এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনগণের আস্থা অর্জনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।