1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

কক্সবাজারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত দুর্নীতি অভিযোগ: শাহাজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে দুর্নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে শাহাজাহানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাজাহান সম্প্রতি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এলেও, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। অভিযোগ উঠেছে যে, শাহাজাহান নিজেই এসব অপকর্মের হোতা এবং তার নেতৃত্বে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে। মূলত দুর্নীতির অভিযোগ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে , তিনি প্রকল্পগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন এবং এর ফলস্বরূপ সরকারি অর্থের ব্যাপক অপব্যবহার ঘটছে। কক্সবাজারের যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, “সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে না, যা সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।” স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কোথায় যাচ্ছে? সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য তারা পাচ্ছেন না।প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে অনিয়ম বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শাহাজাহানের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজনীয় তদারকির অভাব দেখা দিচ্ছে। তার দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পগুলোর সঠিক নথিপত্র নেই এবং কাজের মানে ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী এবং শ্রমিকদের বেতন সম্পর্কে অসঙ্গতি প্রকাশ পেয়েছে, যা সরকারি অর্থের অপব্যবহার নির্দেশ করে। এই কারণে, এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা অভিযোগ তুলছেন যে, শাহাজাহানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনগণের প্রতিক্রিয়া স্থানীয় সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, শাহাজাহানকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে এবং যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় যুব সংগঠনের সভাপতি বলেন, “সরকারি প্রকল্পের নামে যে লুটপাট চলছে, তা আমরা মেনে নেব না। আমাদের এলাকায় উন্নয়ন হলে জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল
এদিকে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শাহাজাহানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, “প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।” তবে প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে শাহাজাহানের মত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তা নিয়ে।পরবর্তী পদক্ষেপশাহাজাহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্তের দাবি উঠেছে। এলাকার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ তদারকি ব্যবস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা জরুরি। অভিযোগের তদন্তের মাধ্যমে যদি প্রমাণিত হয় যে, শাহাজাহান ও তার সহযোগীরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে
শাহাজাহানের বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য। জনগণের সঠিক দাবির প্রতি সাড়া দিতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।আরো অধিক সূত্রে জানাযায়,চট্টগ্রাম গণপূর্ত জোনের সিন্ডিকেট: ঘুষ ও দুর্নীতির অন্ধকার চিত্র দেখার দরকার, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম গণপূর্ত জোনের আওতায় নৈব্য জে. কে শামীমের অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে। গত সরকারের আমল থেকেই এই সিন্ডিকেটের উত্থান ঘটে, যা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এদের মূল ব্যক্তি হলেন বর্তমান চট্টগ্রাম জোনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আসিফ ইমরুল, যিনি নানা বিতর্কিত কার্যকলাপের কারণে কুখ্যাত হয়ে উঠেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তিনজন নির্বাহী প্রকৌশলী: শাহজাহান চৌধুরী (বর্তমানে কক্সবাজার গণপূর্তের দায়িত্বে), শাহরিয়ার নেওয়াজ এবং রক্ষাণাবেক্ষণের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈনুল সাহেব।এই সিন্ডিকেটের অন্তর্গত ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, যা তাদেরকে একত্রিত করে সিন্ডিকেট পরিচালনায় সাহায্য করছে। তদন্ত করলে দেখা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলীদের অধীনে যেসব ডিভিশন রয়েছে, সেইসব ডিভিশনের সিংহভাগ কাজ ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনুকূলে যাচ্ছে। বর্তমানে, এই নির্বাহী প্রকৌশলীদের অধীনে হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর নামে। সর্বশেষ ৭-১০-২০২৪ তারিখে কক্সবাজারে প্রকাশিত দরপত্রে দেখা যায়, ১ম, ২য় ও ৩য় সর্বনিম্ন দরদাতারাও এই সিন্ডিকেটের সদস্য। এর অর্থ হলো, প্রকল্পগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়া পুরোপুরি এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত দুই-তিন মাসে যে সকল টেন্ডার হয়েছে, সেগুলোতে সিন্ডিকেটের ঠিকাদার সদস্যদের বাইরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় পত্রিকাতে খবর প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে সিন্ডিকেটটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
বিশেষ করে, এই সিন্ডিকেটের চাকরি জীবনের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, এরা সবসময় চট্টগ্রামেই থাকে এবং বাহিরে কোথাও বদলি হয় না। এই পরিস্থিতি সিন্ডিকেটের কার্যকলাপকে আরও শক্তিশালী করেছে। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই নির্বাহী প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের অগ্রিম বিল প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করে, যা সরকারী অর্থের অপব্যবহারকে বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, এই সিন্ডিকেটের নির্বাহী প্রকৌশলীদের অবৈধ ঘুষের অর্থ ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যা অব্যাহতভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতি করছে।
এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে একমাত্র উপায় হল, এই ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তাদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করা। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর উচিত অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাষ্ট্রের সচ্ছতা রক্ষার জন্য এটি অতীব জরুরি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা সংকট সৃষ্টি হবে। সাধারণ জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যবহার এবং প্রকল্পগুলোর সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের উচিত সিন্ডিকেটগুলোকে চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। শাহাজাহান বর্তমানে প্রায় তিন বছর ধরে কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে আছেন। এক সময় তিনি চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, তবে এখন সরকারের পরিবর্তনের সুযোগে শাহাজাহান আবারও চট্টগ্রামে বদলি হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাকে যেন কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম না দিয়ে চট্টগ্রামের বাইরে অন্য কোথাও বদলি করার প্রয়োজন বলে সচেতন মানুষরা মনে করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট