1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

বিশ্ব সাংবাদিকতার প্রেক্ষাপটে:-৪

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

“ভারত ওপাকিস্তানের মতপ্রকাশের অধিকার ও সীমাবদ্ধতার সংগ্রাম” এই শিরোনামে “বিশ্ব” শব্দটি যুক্ত করে ভারতের ও পাকিস্তানের সাংবাদিকদের পরিস্থিতিকে একটি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে আমি উদ্দেশ্যহীনভাবে সাংবাদিকতার উপর লিখছি, তবে মূলত আমার উদ্দেশ্য স্পষ্ট। কারণ, রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সাংবাদিকরা যে দুঃসহ হয়রানির শিকার হয়েছে, তার বহু উদাহরণ রয়েছে। বিশেষ করে, সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনার সরকারের সময়। কিছু চাটুকার সাংবাদিক ছাড়া, যারা তার পক্ষে তোষামোদ করেছে, বাকিদের জন্য ন্যায়ের পক্ষে লেখা ছিল প্রায় অসম্ভব। শেখ হাসিনা সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না; তাকে যত বেশি তেল মারা যেত, সেই সাংবাদিক তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠত। তবে, কিছু সত্য সাহসিকতার সুরে উচ্চারণ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে গিয়ে বহু সাংবাদিক তার রোষানলে পড়েছে। বিশেষ করে দৈনিক প্রথম আলোসহ অনেক পত্রিকা তার সরকারের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তারা কখনো নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে যায়নি। সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনা নানা দমন-পীড়নের আইন তৈরি করেছিলেন, যাতে সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমি সেইসব কালো আইনগুলোর বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলাম।

সম্প্রতি, ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতির উদ্দেশে ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি সাংবাদিকদের দমনকারী আইনগুলো বাতিল করে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ নেবেন। তার সেই বক্তব্য আমাকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। আমি আবার সাংবাদিকতা নিয়ে, এবং তার অসংগতি ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে লেখা শুরু করেছি।

দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আমি বিশদভাবে লিখতে শুরু করেছি। পাশাপাশি, কতজন সাংবাদিক কীভাবে নির্ভীকতার সাথে কাজ করেছে, সে বিষয়েও লিখছি। আজকের লেখার চতুর্থ পর্বে ভারত, পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশের সাংবাদিকতার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। চলুন, সেই সব গল্পের ভেতরে প্রবেশ করি—সাংবাদিকতা পেশা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ পেশা, যা গণতন্ত্র এবং তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক। সাংবাদিকরা অনেক সময় বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করেন এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা, হুমকি বা অন্যান্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এই কারণে অনেক দেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশের সুরক্ষা আইন এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. যুক্তরাষ্ট্র:

যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদান করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন এবং সংবিধানগত অধিকার রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো: প্রথম সংশোধনী (First Amendment): যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করে। এটি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রকাশ করার অধিকার দেয়। সরকারের ওপর এই আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা নিষিদ্ধ, যা সাংবাদিকদের স্বাভাবিক কাজের স্বাধীনতা দেয়।

Shield Laws: কিছু রাজ্যে শিল্ড ল’স (Shield Laws) প্রণয়ন করা হয়েছে, যা সাংবাদিকদের তাদের তথ্যসূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য না করার বিধান দেয়। এই আইন সাংবাদিকদের তাদের সোর্স সুরক্ষিত রাখার অধিকার নিশ্চিত করে, যা সংবাদ সংগ্রহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. ফ্রান্স:ফ্রান্সে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। ফ্রান্সের সংবিধান সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করে এবং সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করে। এছাড়াও:Press Law of 1881: ফ্রান্সে ১৮৮১ সালের প্রেস আইন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং সংবাদ পরিবেশনার সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এটি সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করে।Defamation Laws: সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার সুযোগ সীমিত করার জন্য ফ্রান্সের মানহানি আইন রয়েছে, যা তাদের কাজকে আরও নিরাপদ করে তোলে।

৩. নরওয়ে:

নরওয়ে,সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো বজায় রাখে। নরওয়ের গণমাধ্যম স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে উচ্চতর মান ধরে রেখেছে।

Norwegian Penal Code: নরওয়েজিয়ান পেনাল কোড সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের হামলা বা হুমকিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সাংবাদিকদের তাদের কাজের কারণে হুমকি দিলে বা আক্রমণ করা হলে কড়া শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। ৪.যুক্তরাজ্যে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন রয়েছে, যদিও সরাসরি কোনো “সাংবাদিক সুরক্ষা আইন” নেই। তবে সাধারণ আইনি কাঠামো এবং প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আইন রয়েছে:

Human Rights Act (1998): এই আইনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করা হয়েছে। সাংবাদিকরা এই আইনের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এবং তাদের মত প্রকাশে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা নিষিদ্ধ। Contempt of Court Act (1981): এই আইনটি সাংবাদিকদের তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা প্রদান করে, যাতে তারা আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে।

৫. মেক্সিকো:

মেক্সিকোতে সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ আছে, বিশেষ করে মাদক কারবারি ও সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে। তবুও, সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য কিছু আইন রয়েছে:

Mechanism for the Protection of Human Rights Defenders and Journalists: ২০১২ সালে মেক্সিকো সরকার সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষার জন্য একটি সরকারি ব্যবস্থা চালু করেছে। এটি সাংবাদিকদের তাদের জীবনের ঝুঁকিতে থাকলে বিশেষ প্রোটেকশন সরবরাহ করে, যেমন নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম। ৬. ভারত:

ভারতে সাংবাদিকদের জন্য সরাসরি কোনো সুরক্ষা আইন নেই, তবে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারার অধীনে মৌলিক অধিকার রয়েছে। এর বাইরে:

Press Council of India: প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের কাজের প্রতি স্বাধীনতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। এটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ বা হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে

সাংবাদিকরা নিরাপত্তা কীভাবে পান: ১. সরকারি সুরক্ষা: কিছু দেশে সাংবাদিকদের হুমকির মুখে পড়লে সরকার সুরক্ষা দেয়। যেমন, মেক্সিকোতে হুমকি পাওয়া সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য পুলিশি সুরক্ষা দেওয়া হয়।

৬. নিরাপত্তা সরঞ্জাম: সংঘাতপূর্ণ এলাকায় কাজ করা সাংবাদিকদের জন্য হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, স্যাটেলাইট ফোন, এবং অন্যান্য সরঞ্জাম প্রদান করা হয়, যাতে তারা নিরাপদে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে।

৭. মিডিয়া হাউসের সুরক্ষা: অনেক বড় গণমাধ্যম সংস্থা তাদের সাংবাদিকদের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখে। এ ধরনের নিরাপত্তা বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রযোজ্য।

৮. আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে, যেমন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (RSF), কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টস (IFJ)। এ ধরনের সংস্থাগুলো সাংবাদিকদের আইনগত সহায়তা এবং বিপদে সুরক্ষা প্রদানে কাজ করে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইনি কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সবখানেই তা কার্যকর হয় না। অনেক দেশে সাংবাদিকরা বিশেষ সুরক্ষা পেয়ে থাকেন, কিন্তু কিছু দেশে তাদের জন্য কাজের ঝুঁকি খুবই বেশি। সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত প্রস্তুতির পাশাপাশি, আইনগত সুরক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারত ও পাকিস্তানে সাংবাদিকদের অধিকার এবং তাদের স্বাধীনতা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা রয়েছে। দুই দেশেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তবে অবস্থান এবং স্বাধীনতার স্তর ভিন্ন। নীচে উভয় দেশের সাংবাদিকদের অধিকার ও বাস্তবতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো: ১. ভারতে সাংবাদিকদের অধিকার ও অবস্থা:

সংবিধান ও আইনি সুরক্ষা: ভারতে সাংবাদিকদের অধিকার সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারার অধীনে সুরক্ষিত, যা বাকস্বাধীনতার অধিকারের অংশ। তবে সরাসরি কোনো “সাংবাদিক সুরক্ষা আইন” নেই। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নির্ভর করে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের ওপর। ভারতের প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। স্বাধীনতা ও চ্যালেঞ্জ:

গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত: ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পায়। তবুও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর চাপ বেড়েছে, বিশেষ করে সরকারের সমালোচনা করলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা বা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হুমকি ও সহিংসতা: ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংবাদিকদের হুমকি, আক্রমণ, এমনকি হত্যা করা হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল, উগ্রবাদী গোষ্ঠী বা অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে সাংবাদিকরা বিপদের মুখোমুখি হন। ২০১৭ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে হত্যার ঘটনা এই ঝুঁকির একটি দৃষ্টান্ত।

ডিজিটাল সেন্সরশিপ: ইন্টারনেট সেন্সরশিপ এবং ডিজিটাল গণমাধ্যমের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা লক্ষণীয়। কিছু সংবাদমাধ্যমকে চাপের মুখে ফেলে সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিল ও আদালত:

ভারতের প্রেস কাউন্সিল একটি তদারকি প্রতিষ্ঠান যা সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। এটি প্রেসের স্বাধীনতা এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে কাজ করে, তবে এর ক্ষমতা সীমিত। আদালতও সাংবাদিকদের অধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে অবৈধ গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে।

স্বাধীনতার সূচক:

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স (Reporters Without Borders) অনুযায়ী, ২০২3 সালে ভারতের অবস্থান ছিল ১৬১তম, যা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় সরকার বা ক্ষমতাসীন দল থেকে চাপ আসে।

পাকিস্তানে সাংবাদিকদের অধিকার ও অবস্থা:

আইনি সুরক্ষা ও সংবিধান:পাকিস্তানের সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা বাকস্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষিত করলেও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। পাকিস্তানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, এবং রাজনৈতিক শক্তির চাপের মুখে থাকেন। স্বাধীনতা ও

চ্যালেঞ্জ:

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সীমিত: পাকিস্তানে সাংবাদিকরা সরকারের দুর্নীতি বা সেনাবাহিনীর নীতি নিয়ে সমালোচনা করলে তাৎক্ষণিক ভাবে বিপদের সম্মুখীন হন। সাংবাদিকদের হত্যা, গুম, বা জেল দেওয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীরের ওপর ২০১৪ সালে আক্রমণ করা হয়েছিল। হুমকি ও আক্রমণ: পাকিস্তানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও সহিংসতার শিকার হন, বিশেষ করে সেনাবাহিনী বা জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করলে। ২০২১ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক আবসার আলমকে গুলি করা হয়েছিল। গণমাধ্যমে সেন্সরশিপ: পাকিস্তানে সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশনা করলে অনেক সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে সরাসরি সেন্সরশিপ বা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয় এবং অনেক সাংবাদিককে চাপের মুখে কাজ করতে হয়।

ব্লাসফেমি আইন: পাকিস্তানে ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) আইন প্রায়ই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, যা তাদের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনে। সাংবাদিক সুরক্ষা উদ্যোগ:পাকিস্তান সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান ও আইনি ব্যবস্থা চালু করেছে, যেমন সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ কমিশন এবং ট্রাইবুনাল। তবে, এই উদ্যোগগুলো প্রায়ই কার্যকর হয় না এবং সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

স্বাধীনতার সূচক:

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ১৫০তম। এটা দেখায় যে পাকিস্তানে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সীমিত এবং সাংবাদিকদের কাজ করার পরিবেশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

ভারত: যদিও ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, তবুও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, বিশেষ করে যখন তারা সরকারের সমালোচনা করেন। কিছু ক্ষেত্রে হুমকি ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে আইনি সুরক্ষা বেশ শক্তিশালী।

পাকিস্তান: পাকিস্তানে সাংবাদিকদের পরিস্থিতি অনেকটাই সংকটপূর্ণ। বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও সরকারের সমালোচনা করলে সাংবাদিকদের জীবন বিপদাপন্ন হয়ে পড়ে। সেন্সরশিপ এবং সহিংসতা এখানে সাংবাদিকদের স্বাধীনতাকে ব্যাপকভাবে সীমিত করে।

লেখকঃ গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান- দৈনিক ভোরের আওয়াজ, The Daily banner –

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট