নির্বাহী সম্পাদকের পদমর্যাদায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন মো. কামাল উদ্দিন-
বাংলাদেশের বহুলপ্রচারিত জাতীয় দৈনিক ভোরের আওয়াজ ও আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা- The Daily BANNER এ-র- নতুনভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি আগের থেকে জাতীয় দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বের পাশাপাশি চট্টগ্রামে চারাটি দৈনিক এবং পাঁচটির অধিক অনলাইনে চলমান সমস্যা নিয়ে তথ্য ও ইতিহাস মূলক লেখা-লেখি অব্যাহত আছে।
স্বাগত জানিয়ে আমি কামাল উদ্দিনকে নিয়ে কিছু সকলের অবগতির জন্য তুলে ধরা হল.
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক, দৈনিক কালের কণ্ঠের চট্টগ্রামের দায়িত্বরত সিনিয়র সাংবাদিক লেখক বিপুল বড়ুয়া কর্তৃক মো. কামাল উদ্দিন এর উপর গুগুলে লেখা থেকে জানা যায়, সাংবাদিক, লেখক ও সংগঠক মো. কামাল উদ্দিন এর পরিচিতি। অসংখ্য গ্রন্থের লেখক, সাংবাদিক ও জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের তারুণ্যের প্রতীক, উন্নয়ন সংগঠক, দেশ বিদেশে যথেষ্ট সুপরিচিত, সমাজসচেতন ব্যক্তিত্ব মো. কামাল উদ্দিন এর জন্ম ১০ মে। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম চরণদ্বীপ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নজর মোহাম্মদ বাড়িতে। মো. কামাল উদ্দিন এর পরিবারে তারা সাত বোন, তিন ভাই। মো. কামাল উদ্দিন সাত বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন এবং ভাইদের মধ্যে সবারনবড়। মো. কামাল উদ্দিন এর মা বাবা ও বড় তিন বোন ইতোমধ্যে মারা গেছে। ছোট ভাই আকতার ১৯৯৭ সালের ১১ আগস্ট নিখোঁজ হওয়ার পর হতে এখনো তার খোঁজ পায়নি পরিবার। মো. কামাল উদ্দিন দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে, দুই মেয়ে, দুই নাতি, এক নাতনি এবং আদর্শবান স্ত্রী। তিনি বিয়ে করেছেন লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদের ঐতিহ্যবাহী মহুরি পাড়ার নুরুল আলমের ২য় কন্যা সেলিনা আকতারকে। মো. কামাল উদ্দিন লেখালেখি শুরু করে ১৯৮৮ সাল থেকে। তখন তিনি সখের বসত: লেখালেখি করলেও পুরোদমে লেখালেখি করে আসছেন নব্বই থেকে । এখনো তিনি নিয়মিত সাহসিকতার সাথে আপোষহীন লিখে যাচ্ছেন সমকালীন বিষয়ের উপর। সেই বিগত ৮৭ সাল
হতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন তিনি। তার আন্দোলনের বয়সও প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি চলছে। তিনি সাংবাদিক পরিমণ্ডলে সম্পৃক্ত থেকেও দীর্ঘদিন ধরে কৌশলী লেখালেখিতে ব্যাপৃত রয়েছেন। তার লেখালেখির মূল উপজীব্য বিষয়াদি হচ্ছে সমাজনীতি, জনগুরুত্ববহ বিষয় আশয় নিয়ে। তার অনুসন্ধানী প্রতিবাদী লেখালেখি তাকে ইতোমধ্যে সমাজে একজন ব্যতিক্রমী লেখকের মর্যাদা এনে দিয়েছে। তার লেখালেখিতে উঠে এসেছে আপোসহীনতার কথকতা, প্রতিবাদের সোচ্চারতা, কখনো ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রণোদনা বা স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতি কুণ্ঠাহীন দায়বদ্ধতা। পেশাগত ও বৈষয়িক দেশ-বিদেশে ভ্রমণের সুবাদে নানা বৈপরীত্য-অনুকরণীয় বিষয়াবলীকে মো. কামাল উদ্দিন তার লিখনীতে ধারণ করেছেন। যা প্রকাশিত হয়েছে নানা পত্র পত্রিকায় ও সাময়িকীতে। তারই সার্থক রূপায়ন প্রথম গ্রন্থ ‘বাঁকা কথা’ (২০০৮)। এছাড়াও তার লিখিত গ্রন্হগুলোর মধ্যে উল্লখযোগ্য হচ্ছে – সমাজের নির্যাতিত সুবিধা বঞ্চিত নারীদের জীবনমুখী কাহিনী ‘নারীকথা’ (২০০৯), দেশের বাস্তবতার নিরিখে রচিত ‘টক টক কথা’ (২০০৯) গ্রন্থের মাধ্যমে। এছাড়াও ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও নির্বাচনী তথ্য-উপাত্ত’, ২০১১ সালে তথ্য নির্ভর প্রবন্ধ গ্রন্থ সমকথা, ২০১৪ সালে নির্মম নিয়তি, তাহাদের কথা, মেঘের ভেতর জল, সারকথা, দেশের চলমান সমস্যার উপর রম্য কাহিনীমূলক গ্রন্থ ‘ঠাট্টাকথা’, কর্ণফুলী নদীর ইতিহাসভিত্তিক গ্রন্থ ‘কর্ণফুলী কথা’, গবেষণা গ্রন্থ ‘পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ’, গবেষণা গ্রন্থ বঙ্গবন্ধুর কথা, জীবণ কথা, শোক কথা, বিদেশকথা, প্রেম কথা। তিনি প্রবন্ধ লিখার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে গবেষণা ও তথ্যভিত্তিক কলাম লিখে আসছেন দৈনিক শাহআমানত, দৈনিক চট্টগ্রামর পাতা, দৈনিক সাতনদীসহ চট্টগ্রামের একাধিক পত্র-পত্রিকায় এবং জাতীয় মাসিক মৌচাক এ । বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে আছেন জাতীয় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায়। মো. কামাল উদ্দিন ভিন্ন ধারার আধুনিক রুচিশীল তথ্য উপাত্ত নির্ভর সাপ্তাহিক ‘সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও। তার রয়েছে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা ও নির্ভরতা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক সংগঠনের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিবেকের তাগিদে লিখলেও জীবনের তাগিদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করে থাকেন।
কর্ম, কীর্তি ও কাজের স্বীকৃতিতে মো. কামাল উদ্দিন ঢাকার ওশান সিটি সাহিত্য পুরস্কার ২০০৯, সুপ্রভাত রাউজান ট্রাস্ট গবেষক আবদুল হক চৌধুরী স্মৃতি পদক ২০১০, মহাকবি নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্য পুরস্কার ২০১১ এবং বোয়ালখালী প্রেসক্লাব সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার লাভ করেছেন। মো. কামাল উদ্দিন ভারত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মিলন ও বিভিন্ন কনভেনশনে যোগদানের জন্য রাশিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, থাইল্যান্ড, দুবাই, কাতার, চীন, কোরিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ২২টির মতো দেশ সফর করেছেন। ২০০৪ সালে কাতার থ্রাটি ফাস্ট নাইটে সৌদিয়া আরবের বিদ্রোহী রাজকন্যা সুরাইয়ার একক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কোরিয়াতে মো. কামাল উদ্দিন এর লিখা ১০ বইয়ের প্রদর্শনীও হয়েছিল। “নারী কথা ” গ্রন্হের জন্য প্রশংসা করেছিল বিশ্বের আগত বরেণ্য লেখকরা। মো. কামাল উদ্দিন এর লিখিত নির্বাচনের উপর গবেষণা গ্রন্হ ” বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচনি তথ্য-উপাত্ত গ্রন্হটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে রেফারেন্স হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। উক্ত বইটি জাতীয় সংসদের লাইব্রেরীতে রেফারেন্স হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। মো. কামাল উদ্দিন এর যৌন কর্মিদের উপর একহাজার বছরের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা মূলুক গ্রন্হ “তাহাদের কথা ” ইতোমধ্যে দেশবিদেশে বেশ আলোচনায় এসেছে।
২০১১ সালে তিনি হজ্জব্রত পালন করেছেন। তিনি ২০১২ সালে, কোরিয়াতে ৭৮তম বিশ্ব লেখক (PEN) সম্মেলনে যোগদান করেন, সেখানে বিশ্বখ্যাত নোবেলজয়ী সাহিত্যিক যথাক্রমে ১৯৮৬ সালে নাইজেরিয়ার প্রথম সাহিত্যের নোবেল জয়ি Wole Soyinka, ২০০৮ নোবেল জয়ী ফ্রান্সের সাহিত্যিক le clezio, International PEN President John Ralston Saul এবং কোরিয়ার জাতীয় কবি Ko,Un ও কুরিয়ার গর্ভনর Kwan-yong kim এর সরাসরি সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। তিনি পৃথিবীর প্রায় ২০টির মত দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি বাংলাদেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের কবির ও জাতীয় নাট্যব্যক্তিত্ব আল নোমান এর সাথে ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ড জেনেভাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন। (The Commission of the Churches on International Affairs (CCIA) of the World Council of Churches is pleased to invite you to attend a Round Table Meeting on Human rights and Human Security in Bangladesh which will be hald from 24 to 28 March 2014 at the Ecumenical Centre, the headquarters of the World council of Churches (Route de Ferney 150, 1218 Grand- Saconnex, Geneva). মো. কামাল উদ্দিন লেখা লেখির পাশাপাশি বহু সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছে। তার সাংগঠনিক অবস্থানসমূহ উপস্থাপক- বাংলা টিভি “চট্টগ্রাম সংলাপ ও সচিত্র চট্টগ্রাম”, প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক- সাপ্তাহিক সময়ের আলো পত্রিকা, কলাম লেখক- দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা, ঢাকা প্রেস ক্লাবের প্রভাবশালী সদস্য এবং ঢাকা জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, মহাসচিব- চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব- বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি, মহাসচিব- বাংলাদেশ বন্ধু পরিষদ, সদস্য- পেন ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ সেন্টার, সদস্য- চট্টগ্রাম একাডেমি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী-বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল, সাধারণ সম্পাদক- চট্টগ্রাম গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ, জীবন সদস্য- চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা, জীবন সদস্য- চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি, জীবন সদস্য- রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম, জীবন সদস্য- চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ানম্যান- বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি, মহাসচিব- বাংলাদেশ চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও মাদক দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক-সাদা কালো মাল্টিমিডিয়া, পরিচালক- বরুমতি বহুমুখী এগ্রো ফার্মিং লিঃ সত্ত্বাধিকারী- সাদা কালো মাল্টিমিডিয়া, ট্রেড ইমপেক্স, সদস্য- অবসর (সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন), সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি- বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন ছাত্র সংগ্রাম কমিটি, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বেকারি মালিক সমিতি, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি- বাংলাদেশ বেকার পুর্নবাসন সংগ্রাম পরিষদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক- এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ছাত্র ঐক্যোর নেতা,
সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্র দল চট্টগ্রাম মহানগর(কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে)
সাবেক সভাপতি- বাংলাদেশ যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর। কামাল উদ্দিন ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন পালনসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের অবস্থানকারী হিসেবে পরিচিত,
যার দরুন তিনি বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সম্মেলন করে দেওয়ার জন্য আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন,
তার প্রণীত গ্রন্থ সমূহ ১. বাঁকা কথা, ২. টক্ টক্ কথা, ৩. নারী কথা ৪. সমকথা, ৫. কথার কথা ৬. কথার মতো কথা, ৭. চোর কথা, ৮. ঠাট্টা কথা, ৯. বাংলাদেশে নির্বাচন ও নির্বাচনী তথ্য-উপাত্ত, ১০. জানা-অজানা কথা, ১১. সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের কথা, ১২. পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ, ১৩. তাহাদের কথা, ১৪. বঙ্গবন্ধু কথা, ১৫. কর্ণফুলী কথা, ১৬. জীবন কথা, ১৭. শোক কথা, ১৮.মেঘের জল,১৯. নির্মম নিয়তি ২০. আদিবাসী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক, ২১. সর্বনাশা আগস্ট ও বঙ্গবন্ধু, ২২. রোহিঙ্গাদের ইতিকথা, ২৩. সমকালীন কথা, ২৪. অবশেষে, ২৫. মনের কথা, ২৬. বঙ্গবন্ধুর কথা, ২৭. চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্যোর কথা, ২৮. কথা সমগ্র-১ অন্যদিকে ইতিহাস গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ দীন কর্তৃক রচিত একাধিক গ্রন্হে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের বিশেষগুনি ব্যক্তিদের উপর জীবন ভিত্তিক লেখা রয়েছে। মো.কামাল উদ্দিন ইতিহাস ও প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি অসংখ্য জীবনমুখী কবিতা ও গান রচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতিহাস ভিত্তিক ‘বঙ্গবন্ধুকে দেশের কথা জানান’ নামিয় একটি গান প্রকাশিত হয়েছে, গানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলা টিভিতে একাধিকবার প্রচারিত হয়েছে। মো. কামাল উদ্দিন বাংলা টিভিতে তার রচিত ও উপস্থাপনায় টকশো চট্টগ্রাম সংলাপ, সচিত্র চট্টগ্রাম, কিছু কথা কিছু গান এবং কথার কথা নামিয় জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানসহ প্রায় হাজারো বেশি প্রোগ্রাম করেছেন। এরমধ্যে এটিএন বাংলাতে চট্রল এক্সপ্রেস নামে বেশ কয়েকটি টকশোতে উপস্থাপনা করেছেন, তবে লন্ডন থেকে প্রচারিত সি সি এফ টেলিভিশন ও কথা টিভিতে বহি বিশ্বের প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশে অবস্থানরত চট্টগ্রামের সফল মানুষ ও প্রনবাসে চট্টগ্রাম সমিতির দায়িত্বরতদের নিয়ে প্রবাসে চট্টগ্রাম নামিয় নিয়মিত ভাবে হাজারো অধিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছেন। এখনো বিভিন্ন টেলিভিশনে নিয়মিত টকশোতে উপস্থাপনা করে থাকেন। মো. কামাল উদ্দিন এর লেখা উপন্যাসের অবলম্বনে একাধিক টেলিফিল্ম ও নাটক নির্মিতহয়েছে। মো. কামাল উদ্দিন বিভিন্ন সেমিনার ও মিটিং তথ্য ভিত্তিক গবেষণামূলুক বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি একজন ইতিহাস জানা সাবলীল বাংলায় অনর্গল বক্তব্য দেওয়ার বক্তা হিসেবে সুপরিচিত লাভ করেছেন। মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আন্দোলনের ফসল হিসেবে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডসহ অসংখ্য স্হাপনা রয়েছে। তিনি বেকারি মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রামের বেকারি শিল্পকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে ধাবিত করেছেন। বেকারি শিল্পকে পুর্ণাঙ শিল্প রুপান্তর জন্য উনার নেতৃত্বে আন্দোলনের ইতিহাস বেকারি মালিকদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি লেখালেখি ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বেকারির আন্দোলনের মাধ্যমে বেকারি মালিকদের প্রিয় প্রাণ পুরুষ নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলন ও চট্টগ্রাম বেকারি মালিক সমিতির আন্দোলনের ইতিহাস লিখতে হলে মো. কামাল উদ্দিন অগ্রভাগে থাকবে।কামাল উদ্দিন এর রচনা ও উপস্থাপনায় তথ্য ভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মিত হয়েছে, যেমন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর, কর্ণফুলী নদী,পাহাড়, মাইজভান্ডার দরবার, চট্টগ্রামের ইতিহাস, চট্টগ্রামের নামের, চট্টগ্রাম সৃষ্টির মুল স্হান চেরাগি পাহাড় এবং জলাবদ্ধতার উপর। মো. কামাল উদ্দিন ছোট বেলা থেকেই বই পাঠের পোকা ছিলেন, তার বাসা ও অফিস দেখলে মনে হবে তা মিনি লাইব্রেরী। তার গ্রন্হভান্ডারে প্রচুর পরিমাণ দুর্লভ বই রয়েছে। তার বই সংগ্রহ চমৎকার। মো. কামাল উদ্দিন ১৯৯৭ সালে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় হার্ভাট নামে একটি আধুনিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ছিলেন এই স্কুলের চেয়ারম্যান। তিনি বেকারত্ব সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে “আর্থ” নামে একটি রেজিষ্ট্রেশনকৃত এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
পাশাপাশি বহদ্দারহাট মোড়ে বেকার যুবকদের আশ্রয় ও কর্ম সংস্হান সৃষ্টির লক্ষ্য ১৯৯৭ সালে গোল্ডেন হোম সার্ভিস নামীয় একটি অনলাইন ব্যবসাবাজার নিয়ন্ত্রণের সেবামূলক কার্যক্রমে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে হৈ চৈ পেলে দিয়েছিলেন, তাতে যথেষ্ট সফলতা এসেছিল। প্রতিষ্ঠানটি সেবামূলক ব্যবসার ধরন ছিলো আধুনিক ও বিশ্ব মানের প্রযুক্তিগত – বুদ্ধি ভিত্তিক। এই প্রতিষ্ঠান ছিলো বাংলাদেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে একমাত্র প্রতিষ্ঠান। মো. কামাল উদ্দিন ও গোল্ডেন হোম সার্ভিস নিয়ে তৎকালীন দৈনিক প্রথম আলো প্রথম প্রকাশে প্রতিবেদন করে ছিল। বর্তমান ৭১ টিভিতে চট্টগ্রামের দায়িত্বরত মাঈন উদ্দিন দুলাল তখন দৈনিক ঈশান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন তখন এই হোম সার্ভিস নিয়ে বিশাল একটি প্রতিবেদন করেছিল। হোম সার্ভিস দেখতে ও সেবা নিতে প্রতিদিন শত শত মানুষ বহদ্দারহাট মোড়ে গোল্ডেন হোম সার্ভিস অফিসে ভিড় করতেন। এখন যারা অনলাইন ব্যবসা করছেন প্রায় কিন্তু মো. কামাল উদ্দিন এর প্রযুক্তি নিয়েই কাজ করছেন। এই হোম সার্ভিস নিয়ে মো. কামাল উদ্দিন একটি লিফলেট লিখেছিলেন, ইংরেজি – বাংলায়। তা পাঠ করে মো. কামাল উদ্দিন এর সাথে দেখা করেনি এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম আছে। হোম সার্ভিসে একঝাঁক শিক্ষিত কর্মি ছিল, তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো কাজ করতো। তখন মো. কামাল উদ্দিনের তারুণ্যের প্রভার বিস্তর ছিল, একদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও বেকার যুবকদের কর্মের দাবীতে বেকার পূণর্বাসন সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন, অন্যদিকে সাংবাদিকতা ও লেখালেখি, স্কুল পরিচালনা এবং কালুরঘাট শিল্প এলাকায় শ্রমিক নিয়ন্ত্রণ, এনজিও এবং হোম সার্ভিস পরিচালনাসহ একাধিক কাজ নিয়ে মহাব্যস্ততার মাঝে দিন অতিবাহিত করেন। মো. কামাল উদ্দিন ২০০১ সালে ফটোগ্রাফির কোর্স গ্রহণ, ২০০২ সালে শৈলী প্রকাশনার উদ্যোগে লেখক কর্মশালায় অংশ নেন এবং তিনি লেখালেখিতে পাস করেছিলেন।
মো. কামাল উদ্দিন এর উপর লিখতে গেলে এই অল্প লেখাতে শেষ করা যাবে না। কলকাতার
বিশিষ্ট লেখিকা, সাহিত্যিক ড. দেব কন্যা সেনের সম্পাদনায় মো. কামাল উদ্দিন এর উপর রচিত জীবনী ভিত্তিক গ্রন্হ প্রকাশিত হচ্ছে কলকাতা থেকে। কামাল উদ্দিন বলেন বিশেষ করে আমার প্রাণ প্রিয় সংগঠন হলো চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম এবং প্রিয় নেতা হচ্ছে ফোরামের চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন,আমি উনার নেতৃত্বে সাংগঠনিকভাবে আরো সুসংগঠিত করবো। চট্টগ্রামের চলমান সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য সোচ্চার হয়ে এগিয়ে যাবো। বিশেষকরে সাংগঠনিক নিয়মনীতি মেনে – পরিশেষে বলবো, কলম সৈনিক কামাল উদ্দিন দুটি পত্রিকার দায়িত্ব নিয়ে আরো এগিয়ে যাবেন এবং তার লেখালেখি ও সাংবাদিকতা এবং প্রতিবাদি আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। তা আশা রাখি, পাশাপাশি তার সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন,
দৈনিক ভোরের আওয়াজ
The Daily Banner,