
মার্কিন বাহিনী জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বরের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক মার্কিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে তারা আইএস-এর ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলাকে ‘খুবই কঠোর প্রতিশোধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এটি ছিল গত বছর ডিসেম্বর মাসে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রথম এমন ঘটনা। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, (১৩ ডিসেম্বরের) হামলাকারী ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য ছিল, যাকে তার ‘চরমপন্থি ইসলামী মতাদর্শের’ কারণে চাকরিচ্যুত করার কথা ছিল।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রধান রামি আবদেল রহমান এএফপি-কে বলেন, ‘পূর্ব সিরিয়ার দেইর এজ-জর প্রদেশে চালানো হামলায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন একটি সেলের নেতা, যিনি ওই এলাকায় ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে, এক সিরীয় নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, মার্কিন হামলাগুলো সিরিয়ার বিস্তীর্ণ বাদিয়া মরুভূমিতে অবস্থিত আইএস সেলগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসব হামলা হোমস, দেইর এজ-জর ও রাকা প্রদেশে হয়েছে এবং এতে কোনো স্থল অভিযান অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
সূত্র: দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।