
আজ রোববার এক বিবৃতিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, শনিবার আফ্রিকার সুদানের আবেই এলাকায় স্থানীয় সময় বিকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এতে ৬ জন শাহাদাত বরণ করেছেন এবং আরও ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। আমি এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সৈন্যদের আত্মত্যাগে আমরা বীরের জাতি হিসেবে গর্বিত।
জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সংঘাতপূর্ণ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠা ও বীরত্বের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে। কম্বোডিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর, সিরেরালিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদানসহ বিভিন্ন দেশে তারা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাদের সাহস, ধৈর্য ও বীরত্ব আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সুনাম আরও সুদৃঢ় করেছে। প্রকৃত অর্থেই, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’ এখন একটি ব্র্যান্ড নেম।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
জামায়াত আমির নিহতদের রূহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়া আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি বিশ্বশান্তি মিশনে নিয়োজিত সৈন্যদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান জামায়াত আমির।
সূত্র : অনলাইন