
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নাইজেরিয়ায় অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলছে। দুই সপ্তাহ আগে ৩০০-র বেশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনাটি আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিকে নাড়িয়ে দেয়।
অপহরণের ঘটনা হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু নিরাপত্তা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং অতিরিক্ত কয়েক হাজার পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
কন্ডুগার স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান আব্বা আব্বারি এএফপিকে বলেন, স্থানীয় সময় মধ্যরাতের দিকে (২৩০০ জিএমটি) ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মালারি গ্রামে হামলা চালায় এবং ১৪ জন পেঁয়াজচাষীকে অপহরণ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের একজন পরে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।’
কৃষকরা ফসলে পানি দেওয়া এবং গবাদিপশুর দেখভালের জন্য রাতভর মাঠে থাকা অবস্থায় তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্নো রাজ্যের রাজধানী মাইদুগুরি থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার (২২ মাইল) দূরে কন্ডুগার স্থানীয় সরকার এলাকা অবস্থিত।
২০০৯ সালে বোকো হারাম বিদ্রোহ শুরুর পর থেকেই বর্নো রাজ্য নাইজেরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি জিহাদি সহিংসতার কেন্দ্রস্থল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সশস্ত্র ‘ডাকাত’ চক্রের মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণমূলক কর্মকাণ্ড নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বেশি দেখা গেলেও, সম্প্রতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
কন্ডুগায় জিহাদি-বিরোধী মিলিশিয়া গ্রুপ সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের প্রধান তিজানি আহমেদ বলেন, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করেছে।
সূত্র: খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।