ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আজ শনিবার মায়ামিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো আলোচনায় বসবেন বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে বাস্তব অগ্রগতি রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করতে কতটা প্রস্তুত তার ওপর নির্ভর করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনের প্রধান আলোচক রুস্তম উমেরভ এবং কিয়েভের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি হ্নাতভের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনে উইটকফ এবং কুশনার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের পর এই আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় সংঘাতের অবসানের জন্য মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে মস্কো প্রস্তাবের কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান করে।
মায়ামি বৈঠকের শুক্রবার উইটকফ এক্স-এ দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে কোনো চুক্তির দিকে বাস্তব অগ্রগতি নির্ভর করে রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি শান্তির প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকারের ওপর, যার মধ্যে উত্তেজনা কমানো এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাঠামোতেও একমত হয়েছেন এবং টেকসই শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
ওয়াশিংটনের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হতে পারে, যা তারা যুদ্ধক্ষেত্রে পুরোপুরি দখল করতে পারেনি, বিনিময়ে ইউক্রেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাবে, যা ন্যাটোর সদস্যপদের চেয়ে কম হলেও, রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার একটি বিকল্প পথ হতে পারে।
তবে ইউক্রেন কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক পরিকল্পনায় শুধু বলা হয়েছে, কিয়েভকে রক্ষা করার জন্য জন্য পোল্যান্ডে যুদ্ধ বিমান রাখা হতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com