বাজুয়া- দ্বীগরাজ খেয়াঘাটে অনিয়ম -অব্যবস্থাপনায় চলছে খাস কালেকশন, খাস কালেকশনের নামে লুটপাট হচ্ছে সরকারি অর্থ স্থানীয়দের অভিযোগ
দাকোপ উপজেলার বাজুয়া বাজার থেকে মংলার দ্বীগগরাজ পারাপারের দ্বীগগরাজ বাজুয়া খেয়া ঘাটটিতে দীর্ঘ মাস যাবত খাস কালেকশন চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ খাস কালেকশনের নামে এই খেয়া ঘাটে রীতিমতো সরকারি অর্থ লুটপাট চলছে। প্রতিদিন ঘাট দিয়ে প্রায় ৪ থেকে৫ হাজার লোক পারাপার হয় ।সাথে বিভিন্ন রকম মালামাল ও পণ্য পরিবহন হয় । একপার থেকে অন্য পারে যাওয়ার সময় জন প্রতি ঘাটে ৫ টাকা ও খেয়াতে ১০ টাকা এছাড়া মালামালও বিভিন্ন পণ্যের জন্য ঘাটে ও খেয়াতে আলাদা টাকা নেওয়া হচ্ছে । ঘাটটি যখন ইজারাদারের অধীনে ছিল তখন একপার থেকে অন্য পারে যাওয়ার জন্য জন প্রতি মোট ১০ টাকা নেওয়া হতো । বর্তমানে ঘাটটিতে অনিয়ম অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে ।ইতপূর্বে ঘাটে ১০টাকা কালেকশন করলে খেয়ায় কোন টাকা নিতো না। বর্তমানে ঘাট ও খেয়া দুটোতেই আলাদাভাবে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে । এতে করে ঘাটটিতে চরম অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। ঘাটতিতে কোন রেট চার্ট নেই ।ফলে ইচ্ছামতো জনগণের থেকে অর্থ আদায় করছে আদায় কারীরা। তারা আরো জানায় অনেক সময ছোট , বড় লাগেজ চালের বস্তা , বাজারের ব্যাগের জন্য ও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এতে করে চরম অস্বস্তিতে আছে দুই পাড়ের নিয়মিত পারাপারের যাত্রীরা। সরে জমিনে ঘাটে আদায়কারীদের সাথে কথা বললে জানা যায় ,খালিদ নামে এক ব্যক্তি ঘাটটি ইজারা নিয়েছে। তিনি দু -এক দিন পর পর আসে। আমরা আদায়কৃত টাকা তাকে বুঝিয়ে দেই।ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে খালিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন খেয়া ঘাটটি দাকোপ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি )এর দায়িত্বে রয়েছে ।তিনি আমাদের মাধ্যমে ঘাট টি পরিচালনা করছে এবং আমরা দুই মাসে সরকারি কোষাগারে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা প্রদান করব। খালিদের কাছে আরো জানতে চাওয়া হয় ৬লক্ষ৫০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করবেন এই মর্মে আপনার প্রতি সরকারি কোন নির্দেশনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন আপনি সকল বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি )এর সাথে যোগাযোগ করেন। দাকোপ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জুবায়ের জাহাঙ্গীর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন রেটচার্ট নেই বিষয়টি আমার জানা নেই অবশ্যই চার্ট দেওয়া হবে। খালীদের ভাষ্যমতে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে এমন কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘাটে যা কালেকশন হবে সেই টাকাই সরকারি কোষাগারে জমা হবে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন জোর জবরদস্তি হচ্ছে কিনা এটাও আমার জানা নেই। সরকারি অর্থ গত ১৫দিনে কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিদিন এই টাকা জমা প্রদান করা সম্ভব না ।একটা নির্দিষ্ট
সময় পরে সরকারি কোষাগারে অবশ্যই জমা দেওয়া হবে।স্থানীয় সরকারের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃহূসাইন শওকত এর সাথে মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন ঘাটের রেট চার্ট না থাকাটা ও জোর জবরদস্তি করে অতিরিক্ত টোল আদায় করা কোনভাবেই কাম্য নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com