গাইবান্ধার ঘাগোয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে অবৈধ বালু ব্যবসা চালাচ্ছেন। অভিযোগ, তিনি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে এবং নদী ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলন ও পরিবহন করছেন, যা আইন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রভাব খাটিয়ে মামুন কয়েক বছর ধরে একটি শক্তিশালী বালু সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। ঘাগোয়া ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর বাঁধের সুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় উত্তোলিত বালু শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে তিনি মিয়াপাড়া থেকে গিদারি পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ ব্যবহার করে অবৈধ বালু উত্তোলন চালাচ্ছেন।
এতে নদী, পরিবেশ এবং সরকারি খাস জমি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বাঁধের অবনতি ও বিশৃঙ্খলার কারণে আশপাশের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারছেন না।
প্রকাশ্যে অভিযোগের জবাবে ইউপি সদস্য মামুন বলেন, এখানে শুধু আমি নই, আরও দু’জন ব্যবসা করছেন। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সইএনের অনুমতি নিয়ে কাজ করছি। আপনারা তাদেরও দেখুন, তারা ও ব্যবসা করছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমাদের জানা গেছে। তদন্তের জন্য অফিস স্টাফ পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবিধা নিয়ে মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে আইন ভঙ্গ করছেন, কিন্তু প্রশাসন এখনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সচেতন মহল বলছে, নদী ও পরিবেশের ক্ষতি রোধে প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ অপরিহার্য।
স্থানীয়রা আরও মন্তব্য করেছেন, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সব নদী রক্ষা উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com