টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড হয়েছে ৫২.৩৩ মিটার, যা বিপদসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ১৮ সেন্টিমিটার বেশি। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল, পরে তা নেমে আসে ৪ সেন্টিমিটারে। তবে রাতের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার আবারও তা বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়। পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার বাম তীরবর্তী এলাকায় তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক, বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও গবাদি পশুর খামার। এলাকাবাসির একজন বলেন, গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, “পানি ঢুকেছে ধীরে ধীরে। রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে, বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারছে না। অসহায় হয়ে পড়েছি।” নিচু এলাকায় পানি ঢুকে ফসলি জমি ও পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রশাসনের দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন। মহিষখোচা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, “এমন পানির মধ্যে কথা বলারও অবস্থা নেই। সকাল থেকে খাবার পাইনি। বারবার বন্যায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।”
চরাঞ্চলের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, “নদীর পানি বেড়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আকাশের পানি আর নদীর পানি এক হয়ে গেছে। মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।” পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার এর জবানিতে জানা যায়, “ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com