বিস্তারিত পরে লিখবো, আজকে আপাতত বক্তা ও বক্তৃতা কাহাকে বলে কিভাবে বক্তব্য রাখতে হয়, তা একটু বলার প্রয়োজন মনে করছি। প্রথমে জানার দরকার আপনি যেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য গিয়েছেন তাতে সেই অনুষ্ঠানের বিষয় আপনার জানার আছে কিনা? আপনি ভালো বক্তব্য দিতে হলে আপনার প্রচুর পরিমাণ পড়াশোনা করতে হবে, না-জেনে না শুনে আন্দাজের মনগড়া অনুমান ভিত্তিতে বক্তব্য দিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই, আপনি অবশ্যই বক্তব্য দেবেন তবে জেনেশুনে দেবেন। সস্তা বক্তব্য দিতে পারেন তার থেকে কিছু শিকার থাকবেনা, তাহলে এই বক্তব্য দিয়ে কি লাভ? তাই আজ থেকে আমি বক্তব্যের উপর কিছু পরামর্শ আকারে লেখা উপস্থাপন করছি যদি ভালো গালে আমার সফলতা খারাপ লাগলে আমার ব্যার্থতা, চলুন মুল কথায় চলে যায় ---
১. বক্তৃতা কী?
২. ভালো বক্তা হওয়ার উপকারিতা ৩. ভালাে ও গ্রহণযােগ্য বক্তব্য দেয়ার কিছু বৈজ্ঞানিক কৌশল ৪. বক্তৃতাকে প্রাণবন্ত করতে কিছু অতিরিক্ত বৈজ্ঞানিক কৌশল ৫. বক্তৃতা হতে ভীতি কাটানাের কিছু বৈজ্ঞানিক উপায়
৬. বিভিন্ন ধরনের বক্তৃতার নমুনা, আলােচনা সভায় বক্তৃতা,ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা,ছাত্র সমাবেশে বক্তৃতা,রাজনৈতিক ময়দানে,বক্তৃতা,
সামাজিক কাজে উদ্বুদ্ধকরণ বক্তৃতা,
তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, অন্যায়ের প্রতিবাদে বক্তৃতা, সংগঠন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বক্তৃতা,
বিতর্কমূলক বিষয়ে বক্তৃতা, উত্তেজক বক্তৃতা, পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মন্ডলী সভায় বক্তৃতা
৭. দুনিয়া কাঁপানাে কিছু জনপ্রিয় ভাষণ বা বক্তৃতা দক্ষতা বৃদ্ধি প্রফেশনাল, জার্নাল ও রেফারেন্স:বিবিধ বহুভাষী সাঁটলিপি সাংবাদিকতা প্রকৌশল ও স্থাপত্য বিদ্যা এনজিও কারিগরি শিক্ষা ও হস্তশিল্পতথ্য প্রযুক্তিভাষণ দেওয়ার নিয়ম – আজকাল প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষ ভাষণ দিয়ে থাকে। যদি আপনিও এরকম একজন ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনাকে ভাষণ দেওয়ার জন্য কল আসে, তাহলে আপনাকেও কিভাবে ভাষণ দিতে হয় বা ভাষণ দেওয়ার নিয়ম কি এই সম্পর্কে জানতে হবে।
ভাষণ দেওয়ার নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব সহজে যে কোন একটি বক্তব্যকে দর্শকদের সামনে পেশ করতে পারবেন। যদি আপনিও ভাষণ দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান এবং বক্তব্য শুরুতে ও শেষে কি বলতে হয় – এই সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটা পড়তে থাকুন।ভাষণ দেওয়ার নিয়ম
এখানে ভাষণ দেওয়ার সাত টি
পয়েন্ট দেওয়া হল। সুন্দরভাবে ভাষণ দেওয়ার জন্য আপনি এই সাতটি জিনিস ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিন।
১. অনুশীলন করে নিন
যেকোনো ভাষণ দেওয়ার সময় অনেক বক্তা আছেন যারা অস্থির বোধ করে থাকে। এই অস্থিরতা দূর করার জন্য ভাষণ দেওয়ার আগে সমস্ত লেখাটি অনুশীলন করে নিন। বারবার অনুসরণ করার পর আপনার মধ্যে থেকে থেকে অস্থির বোধটা চলে যাবে।
২. বিষয়বস্তু সাজিয়ে নিন
আপনি যে বক্তব্যটি রাখতে চাচ্ছেন সেই বক্তব্যের বিষয়বস্তু যদি সাজানো থাকে তাহলে স্টেপ বাই স্টেপ আপনি বক্তব্যটি রাখতে পারবেন। এবং ভাষণ দিতে আপনার কোন অসুবিধা হবে না।
অনেক বক্তা আছেন যারা স্টেজে গিয়ে মেকআপ দেয়। এই কারণে তাদের অনেক ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়। তবে এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনি এই ভুলটি করবেন না। এইজন্য সর্বপ্রথম আপনি যে বক্তব্যটি দিতে চাইছেন সেটি এক জায়গায় লিখে নিয়ে সেটিকে সাজিয়ে নিন।
৩. শ্রোতা বুঝে ভাষণ রাখুন
আপনি যে জায়গায় ভাষন রাখতে যাচ্ছেন সেই জায়গায় শ্রোতারা কেমন সেটি আগে থেকে অনুমান করে নিন। এবং তারপর আপনার ভাষণের স্ক্রিপটি সাজিয়ে গুছিয়ে নিন।
সেখানে কি ধরনের বক্তব্য রাখতে হবে এবং তার জন্য ভাষা কি থাকবে এবং কি কি শব্দ ও বাক্য সেখানে বলা
উচিত এই সমস্ত কিছু সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করে নিন।
৪. না দেখে বক্তব্য রাখুন
অনেক ব্যক্তি আছেন যারা স্লাইড এবং কাগজ দেখে দেখে বক্তৃতা দিয়ে থাকে। এই কারণে নির্দিষ্ট বক্তার সাথে দর্শকদের একটি যোগাযোগের ব্যাঘাত ঘটে।
এইজন্য যে ভাষণে রাখতে চাইছেন সেটিকে প্রথমে মুখস্ত করে নিন বা নিজের মন থেকে গুছিয়ে নিন এবং তারপর সেটিকে নিজের মতো করে দর্শকদের সামনে পেশ করুন। যার ফলে দর্শকরাও খুশি হবে।
৫. স্বরভঙ্গির ঠিক ব্যবহার
বক্তব্যটি রাখার সময় কখন গলা উঁচু করে এবং কখন গলা নিচু করে কথা বলা দরকার সেটি আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
৬. দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন
বক্তব্য শুরু করার আগে সরাসরি বক্তব্যে না গিয়ে তার আগে কিছু জনপ্রিয় ব্যক্তির উক্তি বা মোটিভেশনাল কোন গল্প দিয়ে ভাষণ শুরু করুন।
৭. গল্প ও কৌতুক যোগ করুন
ভাষণ যাতে দর্শকদের বোরিং না লাগে তার জন্য ভাষণের মাঝে কিছু ইন্সপায়ারিং গল্প এবং মজার কৌতুক যোগ করতে পারেন।
বক্তব্য শুরুতে
কি বলতে হয়?
আমি হলাম বলে আপনার ছোট একটি ইন্ট্রো দিন। তারপর – সালাম, আসসালামু আলাইকুম, নমস্কার, আমার প্রিয় ভাই বোন দের ভালোবাসা এবং মায়েদের প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করছি।
এই কথাটি বলার পর আপনি বক্তব্য শুরু করতে পারেন।
বক্তব্য শেষে কি বলতে হয়?
মূল বক্তব্য বিষয়টির সংক্ষিপ্ত সার প্রদান করে, শ্রোতাদের প্রসংসা করে এবং যদি পারেন অল্প হাসিয়ে, শ্রোতারা চাইবার আগেই বক্তব্য শেষ করে ফেলুন।
একটি ভাষণের উদাহরণ
আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজ এই সভা উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি, পরিচালক, উপস্থিত অভিভাবকবৃন্দ ও সকল শিক্ষার্থীদেরকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমি আজ প্রিয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলতে চাই।
এরপর মূল বক্তব্য রাখুন। এখন মূল বক্তব্য বিষয়টির সংক্ষিপ্ত সার প্রদান করে, শ্রোতাদের প্রসংসা করে এবং যদি পারেন অল্প হাসিয়ে, শ্রোতারা চাইবার আগেই বক্তব্য শেষ করে ফেলুন।
উপসংহার
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে ভাষণ দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি সম্পর্কে এখনও কিছু জানার থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
চকবে--
লেখকঃ সাংবাদিক, গবেষক,টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com