ফটিকছড়ি শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত”
বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা গতকাল ১৪ মে (মঙ্গলবার) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল বারেক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাতিজা, বিশিষ্ট প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, “শান্তিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় শুধু ফটিকছড়ির গর্ব নয়, এটি একটি আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে যদি সকলে মিলে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে পাশে থাকবো।”
অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত অতিথি ও নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক নুরুল ইসলাম রিপন বলেন, “এই বিদ্যালয়ের অগ্রগতির পেছনে রয়েছে অনেক মানুষের শ্রম, ভালোবাসা ও ত্যাগ। আমরা চাই এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুক। সকলের সহযোগিতায় আমরা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করবো।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন বিপ্লব, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মো. ইউনুছ এবং দাতা সদস্য আব্দুল করিম সওদাগর। তাঁরা সবাই বিদ্যালয়ের অতীত ইতিহাস স্মরণ করে আগামী দিনে একে একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অভিভাবক প্রতিনিধি মো. জয়নাল আবেদীন, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান খান, শাহ মাছুম, সেলিম উদ্দিন, আবুল খায়ের, হারাধন মহাজন, সরওয়ার হোসেন, সন্তোষ কুমার শীল, দিদারুল আলম চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন, বিদ্যুৎ কুমার এবং এম. এ. কাদের প্রমুখ।
বক্তারা বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন, পাঠদান পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এবং উপস্থিত সবার অংশগ্রহণে এক প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
এই পরিচিতি সভা একদিকে যেমন বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির প্রতি আস্থা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটায়, অন্যদিকে স্থানীয় জনগণের ঐক্যবদ্ধ চেতনা ও শিক্ষা উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধতাও প্রকাশ করে।