1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি-চুরি-ডাকাতিসহ একাধিক মামলার ২৩ আসামি গেপ্তার  ঝিনাইগাতিতে সেতুর অভাবে চরম দূর্ভোগ, ভোগান্তিতে গর্ভবতী ও শিক্ষার্থীরা মিথ্যা মামলা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চুরি ও উদ্ধার অভিযান: চক্রের সদস্য কায়ছার গ্রেফতার অস্ত্রসহ পটিয়ার দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার শেকড়ের সন্তান, সেবার প্রতিমা: ডা. হাশমত আলী মিয়া নজর মোহাম্মদ গোষ্ঠীর পৈতৃক কবরস্থান নিয়ে অপপ্রচার: ইতিহাস বিকৃতি ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা! প্রাক-কথন: সাংবাদিকতা সাহিত্যে – মো. কামাল উদ্দিনের অনন্য অবদান চুরুলিয়া অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন, নজরুলের শৈশবজীবন এবং সাহিত্যিক প্রেরণার উৎস”–২ চরণদ্বীপে গরু চোর, ক্যামেরা ও কমেডি: গরু সাংবাদিকতার গপ্পো”লাইভে লইচ্চে গরু চোর!

ঝিনাইগাতিতে সেতুর অভাবে চরম দূর্ভোগ, ভোগান্তিতে গর্ভবতী ও শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন যাবৎ চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পাগলামুগ বাজার থেকে মাদ্রাসার পাশ দিয়ে কামারপাড়া রোড ধরে প্রায় এক কিলোমিটার পথের মাঝখানে মাঝলি নদীর ওপর কোনো স্থায়ী সেতু না থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
হাতীবান্ধা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন ২০০২ সালে বিএনপি সরকার আমলে জননেতা মাহমুদুল রুবেল একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে সেটি কয়েক বছরের মধ্যেই ভেঙে যায়। এরপর থেকে এলাকাবাসী বারবার নিজ উদ্যোগে গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেছেন, কিন্তু প্রতিবারই বর্ষার পানিতে সেগুলো ভেঙে যায়।এই গ্রামে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ বসবাস করেন। প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী স্কুলে যেতে পারে না এই সেতুর অভাবে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, সেতুর অপর পাশে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও যাতায়াতের দুর্ভোগের কারণে স্কুলটি এখনও উন্নয়ন বঞ্চিত রয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের—ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের—কাছে বহুবার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা আশ্বাস দেওয়া ছাড়া আর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। সর্বশেষ বন্যায় নদীর ওপর থাকা সাময়িক কাঠের সাঁকো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়। পরে এলাকাবাসী আবারও নিজেদের অর্থায়নে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন, তবে সেটিও অস্থায়ী এবং খুব দুর্বল। বর্তমানে বন্যা বা ভারী বৃষ্টির সময় বাজারে যাতায়াত, চিকিৎসা গ্রহণ কিংবা শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
স্থানীয় যুবক রাকিব সিদ্দিক বলেন আমাদের গ্রামের সাধারণ মানুষ ঠিকমতো বাজারে যেতে পারে না। ছেলে-মেয়েরাও স্কুলে যাওয়া-আসায় অনেক কষ্ট করে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে আমাদের এলাকার কৃষকরা। যদি একজন কৃষক ১ মন ধান বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতে চান, তাহলে শুধু গাড়িভাড়াই দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এতে কৃষকরা লাভ তো দূরের কথা, উল্টো ক্ষতিতেই পড়ে যাচ্ছে।
তাই তাদের দাবী বর্ষার আগেই মাঝলি নদীর ওপর একটি টেকসই কাঠের বা সিমেন্টের সেতু নির্মাণ করে যেন এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ লাঘব করা হয়।
ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, জনগনের ভোগান্তি নিরসনে উপজেলা প্রসাশন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সমস্যা  দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট