চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান সাহেব সম্প্রতি পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদাপূর্ণ আইজিপি ব্যাজ—যা তাঁর নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং জনসম্পৃক্ততার এক রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। এ ব্যাজ শুধুমাত্র কোনো প্রতীক নয়, বরং তাঁর ধারাবাহিক সাফল্য, সততা এবং মানবিক নেতৃত্বের দলিল।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহরুল আলম কর্তৃক এই সম্মাননা প্রদান করা হয় তাঁদের, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসামান্য ভূমিকা পালন করে, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী থাকেন, এবং পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ওসি সোলাইমান সেই গুটিকয়েক গর্বিত কর্মকর্তার একজন, যিনি এই মূল্যবান স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তাঁর সততা, মানবিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য।
অপরাধ দমনে দৃশ্যমান সাফল্য
ওসি সোলাইমানের অধীনে পাঁচলাইশ থানা এলাকা অপরাধ দমনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে। মাদকবিরোধী অভিযান, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ দমনে তিনি গেছেন সর্বোচ্চ গভীরে। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় সংঘটিত হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং বেআইনি কার্যকলাপ রোধ।
মানবিক পুলিশিংয়ের রোল মডেল
আইনের প্রয়োগে যেমন তিনি কঠোর, তেমনি মানুষের কষ্টে তিনি সহানুভূতিশীল। থানাকে তিনি পরিণত করেছেন এক 'জনবান্ধব পরামর্শকেন্দ্র'-এ, যেখানে অভিযোগকারী হয়রানির শিকার হন না, বরং পান সমাধান ও সম্মান।
প্রতিদিন থানায় সরাসরি সেবা গ্রহণকারী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, পরামর্শ দেন, তাঁদের সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
তিনি বিশ্বাস করেন—“একটি অভিযোগ মানে একটি পরিবার, একটি আশা।”
জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম
ওসি সোলাইমানের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর সমাজমুখী ও অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ। তিনি নিয়মিত স্কুল-কলেজে গিয়ে মাদক, সাইবার অপরাধ ও নারী নির্যাতনবিরোধী সচেতনতা তৈরিতে বক্তব্য রাখেন।
পাড়ায় পাড়ায় উঠান বৈঠক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয়, ইমাম ও ধর্মগুরুর মাধ্যমে বার্তা প্রচার—এসবই তাঁর কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত।
সহকর্মী ও জনসাধারণের সম্মান
থানার প্রতিটি সদস্য তাঁর নেতৃত্বে পায় দিকনির্দেশনা ও প্রেরণা। তিনি কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখে একজন বন্ধুর মতো সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করেন। ফলে পুরো থানায় একটি পেশাদার, দায়িত্বশীল ও মানবিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে জনগণ তাঁর প্রতি ভরসা রাখেন। তাঁকে ফোন করলে তিনি সাড়া দেন, উপস্থিত হন ঘটনা স্থলে, এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন—যা আজকের দিনে অনেকটাই বিরল।
আইজিপি ব্যাজ: সোলাইমানের এক সাফল্যময় প্রতীক
আইজিপি ব্যাজ তাঁর একক অর্জন নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে থানার প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত পরিশ্রম, জনগণের সহযোগিতা এবং তাঁর পরিবারের ত্যাগ।
ব্যাজ প্রাপ্তির পর তিনি বলেন—
“এই সম্মান আমার নয়, এটি আমার থানার প্রতিটি সদস্যের, পাঁচলাইশ এলাকার জনগণের এবং আমার পরিবারের। আমি এই ব্যাজকে দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করছি—আরও ভালো কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে।”
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গর্ব
ওসি সোলাইমানের এই অর্জন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্যও গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে—সততা, পরিশ্রম এবং মানবিকতাই একটি পুলিশ কর্মকর্তাকে শুধু সম্মানই নয়, মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দেয়।
যদি প্রতিটি থানায় এমন নেতৃত্ব থাকে, তবে পুলিশের ভাবমূর্তি পরিবর্তিত হবে, এবং একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে আরও দৃঢ়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com