চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন সভায় আবারও সেরা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন। মহানগরীর ১৭টি থানার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মান অর্জন করে তিনি শুধু নিজের দক্ষতাই নয়, বরং পুরো থানার পেশাদারিত্বকেও আরও একধাপ উঁচুতে নিয়ে গেছেন।
পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই মূল্যায়ন সভা, যেখানে মহানগর পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অপরাধ দমন, তদন্ত দক্ষতা, জনসেবা ও সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন বিবেচনায় ওসি আফতাব উদ্দিনকে আবারও ‘সেরা’ হিসেবে মনোনীত করা হয়।
৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণ থেকে তিনি চান্দগাঁও থানায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা, পুলিশের হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধার এবং জনগণের আস্থার জায়গা তৈরি করতে নিরবিচারে কাজ করে যাচ্ছেন। ওসি আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দস্যুতা থেকে শুরু করে খুন, ডাকাতি এবং রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক—সবই কঠোরভাবে দমন করা হয়েছে।
তার সময়েই চান্দগাঁও থানা একটি ‘মডেল থানা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মিথ্যা মামলা, জমি দখল কিংবা অনৈতিক পুলিশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নেই বললেই চলে। বরং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চব্বিশ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে থানার প্রতিটি সদস্য।
এতসব অর্জনের পেছনে শুধু ওসি আফতাব উদ্দিন নন, তার সহযোগী ওসি (তদন্ত), সেকেন্ড অফিসার, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, “এই সম্মান আমার একার নয়। এটি চান্দগাঁও থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ স্যারের দিকনির্দেশনা ও উৎসাহ আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।”
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ স্যারের নেতৃত্বে যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, তাতে প্রকৃত কর্মদক্ষতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, যা পুলিশের মনোবল ও দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে তুলছে। ওসি আফতাব উদ্দিনের মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তাকে পুনরায় পুরস্কৃত করার মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার প্রমাণ করেছেন—যোগ্যতার জায়গায় প্রাপ্য সম্মান কখনও অনুপস্থিত থাকে না। চান্দগাঁও থানার ওসিকে সাংবাদিকদের ভাষায় ‘হিরো নম্বর ওয়ান’ বললে অত্যুক্তি হয় না।
এই সম্মান শুধু তার ব্যক্তি অর্জন নয়—এটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পেশাদারিত্বেরও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শেষ কথায় বলা যায়, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এবং ওসি আফতাব উদ্দিন—এই দুইজন কর্মকর্তার সৎ নেতৃত্ব, পেশাগত দায়বদ্ধতা এবং অপরাধ দমনে কঠোর ভূমিকা আজ চান্দগাঁও থানাকে নাগরিক নিরাপত্তার আদর্শ ঠিকানায় পরিণত করেছে। ওসি আফতাব উদ্দিন এমন এক পুলিশ কর্মকর্তা যিনি শুধু আইন প্রয়োগকারী নন, বরং জনগণের বিশ্বাস অর্জনকারী এক বাস্তব মানুষ। তার কাজের পরিধি থানা ভবনের দেয়াল পেরিয়ে সাধারণ মানুষের ঘরের আঙিনায় পৌঁছেছে। একজন সাংবাদিক হিসেবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আমি দেখেছি—চান্দগাঁও থানায় আজ আর সেই পুরনো পুলিশি অহঙ্কার নেই, নেই অব্যবস্থা কিংবা গাফিলতির ছায়া। বরং যে কোন সমস্যায় মানুষ সরাসরি থানায় গিয়ে ওসির সাথে কথা বলতে পারছেন, বিচার পাচ্ছেন, এবং পুলিশকে বন্ধু হিসেবে পাশে পাচ্ছেন।
অপরাধ দমনে তার কৌশল যেমন বাস্তবভিত্তিক, তেমনি অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা প্রভাব-প্রতিপত্তি তার জন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। তিনি বিশ্বাস করেন—পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তাহলে মানুষ আবার আইনকে সম্মান করতে শেখে। তাকে দেখলে বোঝা যায়, একজন ওসিও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের নিয়ামক হতে পারেন, যদি তার মধ্যে থাকে সততা, সাহস এবং মানবিকতা। আমি মনে করি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের অন্যান্য থানার জন্য ওসি আফতাব উদ্দিন একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তার নেতৃত্বের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে, চান্দগাঁও থানা কেবল মডেল থানা হিসেবেই নয়—বরং দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে। পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ স্যারের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সঠিক মূল্যায়ন এই সফলতার বড় সহায়ক। এমন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া আমাদের পুলিশ প্রশাসনে ইতিবাচক সংস্কৃতির সূচনা করছে—যেখানে প্রশংসা যেমন প্রাপ্যর জন্য সংরক্ষিত, তেমনি দায়মুক্তিও অসম্ভব।
ওসি আফতাব উদ্দিনকে দেখলে মনে হয়, এখনও আশার আলো জ্বলে; পুলিশ বাহিনীতেও আছে ত্যাগী, নিষ্ঠাবান ও জনমুখী কিছু মুখ, যারা রাতদিন পরিশ্রম করে সত্যিকার অর্থে 'জনতার পুলিশ' হয়ে উঠতে পেরেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com