ফটিকছড়ি থানার আজাদী বাজার, চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ততম বাজারগুলোর একটি। এখানে ব্যবসা করা যেমন লাভজনক, তেমনি চ্যালেঞ্জিংও। দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারের একটি বিশাল অংশের মালিকানা প্রবাসী ব্যবসায়ী নাছিম ও তার বন্ধু মাসুদের পরিবারের হাতে। ওমানে প্রতিষ্ঠিত সফল ব্যবসায়ী হয়েও নাছিম তার এলাকা ও শিকড় ভুলে যাননি। বরং তিনি সবসময় এলাকার উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সত্যের পথে থাকা মানুষকে কখনোই সহজ জীবন দেওয়া হয় না। নাছিমও সেই নির্মম বাস্তবতার শিকার। ব্যবসায় সফলতা, সততা, এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি কিছু কুচক্রী মহলের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই—নাছিমের সাহসী অবস্থানঃ
আজাদী বাজার শুধু ব্যবসার কেন্দ্র নয়, এটি ক্ষমতার একটি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রও। কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্ত ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী চায় এই বাজারের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে। কিন্তু নাছিমের মতো সৎ, সাহসী এবং প্রতিবাদী ব্যবসায়ীরা তাদের এই অপচেষ্টা প্রতিহত করেছেন। তিনি সবসময় সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেছেন, কোনো অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেননি।
এটাই তার ‘অপরাধ’।
ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত হামলা-
গত ১৬ই মার্চ, পরিকল্পিতভাবে একদল দুর্বৃত্ত নাছিম ও তার বন্ধু মাসুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তাদের নতুন উদ্যোগ, "বাইক মেলা" নামে মোটরসাইকেল শোরুম খোলার কথা ছিল। কিন্তু শো-রুম উদ্বোধনের আগেই দুর্বৃত্তরা তাদের ব্যবসা ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
মাসুদের পরিবারের বাড়িতে হামলা হয়।
১০ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় এই আক্রমণে।
এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার উদ্দেশ্য নাছিম ও মাসুদের মতো সৎ ব্যবসায়ীদের দমন করা। প্রশাসনের ভূমিকা: পুলিশ কেন দুর্বৃত্তদের পক্ষ নিল?
এমন বর্বরোচিত হামলার পর সাধারণ জনগণ প্রত্যাশা করেছিল ফটিকছড়ি থানা প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল পুলিশ দুর্বৃত্তদের পক্ষ নিয়েছে!
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নাছিম ও মাসুদের একটি মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের এই আচরণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
সাধারণ জনগণের প্রশ্ন— নাছিমের দোষ কী? কেন তাকে নিশানা করা হলো?
নাছিম: অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এক সাহসী যোদ্ধা--
এই হামলার পরও নাছিম ভেঙে পড়েননি। তিনি জানেন, সত্যের পথে চলতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু তিনি কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, বরং আরও দৃঢ় প্রত্যয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন--
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—
"আমি কোনো অন্যায় করিনি, তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে। আমার ব্যবসা, আমার এলাকা, আমার ন্যায়বোধ—এগুলোকে আমি বিক্রি করব না।"
এলাকাবাসীর প্রতিবাদ ও নাছিমের প্রতি ভালোবাসা-
ফটিকছড়ি থানার আজাদী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা, যারা নাছিমকে নিজেদের নেতা ও অভিভাবক মনে করে, তারা তার পাশে দাঁড়িয়েছে।
তাদের দাবি—
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
নাছিম ও মাসুদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
পুলিশ কেন দুর্বৃত্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
একটি আন্দোলনের সূচনা?
নাছিমের লড়াই কি শুধু তার নিজের? নাকি এটি একটি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা, যেখানে সৎ, নীতিবান, এবং প্রতিবাদী ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে?
এই প্রশ্নের উত্তরই ঠিক করবে—
ফটিকছড়ি আজাদী বাজার সত্যের পক্ষে থাকবে, নাকি দুর্বৃত্তদের হাতে জিম্মি হবে?
নাছিম একাই নন, তার পাশে আছে সাধারণ জনগণ। এবং যখন জনগণ জেগে ওঠে, তখন কোনো অন্যায়ই টিকে থাকতে পারে না।
চলবে----
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com