লাল পাঞ্জাবির ভাঁজে ভাঁজে যে ব্যক্তিত্বের উষ্ণতা, তাতে আভাস মেলে এক দৃঢ় বন্ধুর, এক অকৃত্রিম মানুষের। গভীর চোখ দুটি যেন যুগের পর যুগ বন্ধুদের স্মৃতি ধরে রেখেছে, অনন্ত আড্ডার আলো-ছায়া প্রতিফলিত হয় সেখানে। কপালের ভাঁজে চিন্তার রেখা, তবু ঠোঁটের কোণে এক চিরচেনা হাসির ছাপ—যেন বলতে চায়, “বন্ধুত্ব কখনো ম্লান হয় না, বরং কালের সাথে সাথে আরও দীপ্তি ছড়ায়।”
এই মানুষটি সেলিমউল্লাহ চৌধুরী—একজন বন্ধুবাজ, বন্ধুরাজ, বন্ধুত্বের এক জীবন্ত প্রতীক। যিনি বন্ধুত্বকে রূপ দিয়েছেন এক জাদুকরী শিল্পে। অনেকেই সংগঠন করেন, বন্ধুর নাম ব্যবহার করেন, কিন্তু বন্ধুত্বকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করতে পারেন কজন? তিনি পারেন। কারণ তিনি শুধু বন্ধুত্ব করেন না, বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রাখেন, লালন করেন, গভীর মমতায় আগলে রাখেন।
সেলিমউল্লাহ চৌধুরী এমনই এক মানুষ, যাঁর বন্ধুত্বের যাদুতে কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে না। কেউ দূরে যেতে চাইলেও তিনি টেনে আনেন আন্তরিকতার পরশে। বন্ধুত্বের এই নিবিড় বাঁধনই তাকে অনন্য করেছে, স্মরণীয় করে রেখেছে প্রতিটি বন্ধুর হৃদয়ে।
বন্ধুত্ব এক রহস্যময় সম্পর্ক। যা রক্তের বাঁধনের চেয়েও দৃঢ়, আত্মার টান যেখানে সবচেয়ে গভীর। অনেকেই বন্ধুত্বের সংগঠন করেন, কিন্তু প্রকৃত বন্ধুবাজ হওয়া—এ এক বিরল গুণ। বন্ধুর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা, বন্ধুত্বকে ভালোবাসার সর্বোচ্চ আসনে বসানো—এ কাজটি পারেন কেবল বন্ধুরাজ, সেলিমউল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বন্ধু সংগ্রহের এক জাদুঘর। তার যাদুর টানে কোনো বন্ধু পালিয়ে থাকতে পারে না। তার বন্ধুত্বের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে আড্ডার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রতিটি সম্পর্ক। এমনকি কেউ যদি বন্ধুত্বের আবেশ থেকে দূরে সরে যেতে চায়, তিনি সেই দূরত্ব মুছে আনেন এক নিখাদ আন্তরিকতায়।
পৃথিবীতে বন্ধুত্বই একমাত্র সম্পর্ক, যা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও গভীর হতে পারে। ভাইয়ের সাথে হয়তো সব অনুভূতি ভাগ করা যায় না, কিন্তু বন্ধুর সাথে? সেখানে কোনো দেয়াল থাকে না। বন্ধুত্ব মানে মনের খোরাক, প্রাণের খোরাক, জ্ঞানের খোরাক। বন্ধুত্ব বিপদের ওয়ারিশ, এক অবিচ্ছেদ্য আশ্রয়। কেউ কেউ বলেন, বন্ধুত্ব স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চেয়েও গভীর হতে পারে—এমনই এক নিবিড় অনুভব।
সেলিমউল্লাহ চৌধুরী শুধু বন্ধুর বন্ধু নন, তিনি এক বন্ধুত্বের আলোকবর্তিকা। তার সান্নিধ্যে এলে কেউ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। হাস্যরস আর হৃদ্যতার এমন সম্মিলন খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়। তার কথা শুনলে মনে হয়, যেন মৌমধুর এক প্রবাহ, যা বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। তার রয়েছে এক অদ্ভুত ক্ষমতা—মানুষকে নিজের করে নেওয়ার, আপন করে রাখার।
শুধু তাই নয়, অনেকে বলে, তার বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকার উপায় নেই—কবরেও লুকিয়ে থাকা যাবে না! বন্ধুত্বের এমন অদ্ভুত এক সম্মোহনী শক্তি নিয়ে সেলিমউল্লাহ চৌধুরী সত্যিই এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি কথা বলেন হৃদয়ের গভীর থেকে, তার প্রতিটি বাক্যে থাকে মধুর এক টান, যা মানুষকে তার কাছাকাছি টেনে নেয়।
এমন বন্ধুর কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি সত্যিকারের এক বন্ধুবাজ, বন্ধুরাজ, বন্ধুত্বের চিরসবুজ বৃক্ষ। তার সান্নিধ্য পাওয়া মানে বন্ধুত্বের এক দুর্লভ রত্নের সন্ধান পাওয়া।
বন্ধুত্বের এমন এক অনন্য প্রতীক, সেলিমউল্লাহ চৌধুরীকে জানাই অন্তরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা!
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com