1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস: প্রেমের ফাঁদে কে কোথায় ধরা পড়ে !

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

“যার সঙ্গে তুমি আছো, তাকেই তুমি ভালোবাসো”—এই শ্লোগান নিয়ে প্রতিবছরের মতো অনেকেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করেছে। তবে এটি কোনো জাতীয় দিবস নয়, বরং আমাদের দেশে প্রেমিক-প্রেমিকাদের একটি নিজস্ব দিন হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। “সেন্ট ভ্যালেনটাইনস ডে” মূলত প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পালনের রীতি, তবে আমাদের দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি এখন ব্যাপকভাবে এবং ব্যাপক পরিসরে পালন করা হয়। কিন্তু, এক প্রশ্ন মনে আসে—প্রেমের ফাঁদে কে কোথায় ধরা পড়ছে? যদিও এই বিষয়টির সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে নেই, তবে ‘মনচুরা’ থানার বেরসিক প্রেম কর্মকর্তাদের কাছে নিশ্চয়ই এর তথ্য রয়েছে!

কবি বলেছিলেন, “প্রেমের ফাঁদে কে কোথায় যে ধরা পড়ে, সেটা কে জানে?” আমি কবির সাথে একমত নই। যদি কেউ প্রেমের ফাঁদে ধরা পড়ে, তার কারণ বা কারণগুলো জানা খুবই সহজ—শুধু ওই লোকটির মুখের দিকে তাকালেই যথেষ্ট! প্রেমের লক্ষণ কী কী, তা নিয়ে কবিরা যুগে যুগে বহু লেখা লিখেছেন। বৈষ্ণব কবিতায় ভরতচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে এর বিশদ বর্ণনা পাওয়া যায়। “আমি বামন হয়ে চাঁদে হাত দিতে যাব না”,—কাব্যিক বিশ্লেষণ আপাতত বন্ধ রেখে হাস্যরসের দিকে চলে আসি।
বুক ধড়ফড় করা, চোখ লাল হওয়া, অনবরত অশরীরী খেদাক্ত ও রোমাঞ্চিত হওয়া, রাতে ঘুম না হওয়া—এ সবই প্রেমের স্বাভাবিক লক্ষণ। হালজামানার প্রেমিক-প্রেমিকার অধিকাংশই মোবাইল প্রেমে নেশাগ্রস্ত হয়ে সারারাত ঘুম না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে মোবাইল কোম্পানিরা এই সুযোগে অতিরিক্ত লাভবান হয়ে বসে রয়েছে, এমনটাই অনেক হতাশাগ্রস্ত প্রেমিক-প্রেমিকার অভিমত।

এখন, একটি কাহিনী মনে পড়ে। এক যুবক এক ফ্যাক্টরি মালিকের কন্যার প্রেমে পড়েছিল। আর তারপর যা হওয়া দরকার ছিল, তা-ই হলো। অবশেষে তার ঘুম না হওয়ার সমস্যা দেখা দিল। প্রেমিকা তাকে পরামর্শ দিলো, তার বাবার সঙ্গে দেখা করে সব কথা জানাতে, বিশেষ করে রাতে ঘুম না হওয়ার বিষয়টি। পরের দিন, প্রেমিকটি মুখ শুকনো হয়ে আসলো। প্রেমিকা জিজ্ঞেস করল, “কি হলো, বাবার সঙ্গে কথা বললে?” প্রেমিকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “হ্যাঁ, বলেছিলাম।” প্রেমিকা আরো জিজ্ঞেস করল, “বাবা কি বললেন?” প্রেমিকটি বলল, “তিনি বললেন, কারখানার নাইট গার্ড পালিয়ে গেছে। আমি চাইলে ওই নাইট গার্ডের চাকরি নিতে পারি!”

প্রেমিকাদের মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয়, তারা নিজেরাই কী বলতে চায়, সেটা বুঝতে পারে না। তাদের মুখের ভাষাও হারিয়ে যায়। এক প্রেমিক আমাকে তার প্রেমিকার রূপ বর্ণনা করছিল। “বাঁশির মতো নাক, অন্ধকার চুল, পাকা গমের মতো গায়ের রঙ…”—এভাবে বর্ণনা করতে করতে এক সময় সে বলল, “তার চোখ দুটি দেখতে, দেখতে…” এরপর গলা বন্ধ হয়ে গেল, আর কিছুই বলতে পারল না। শেষে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “কি হলো, চোখ দুটি দেখতে ঠিক…?” সে বলল, “তার চোখ দুটি হলো আসলে ঠিক আরেকটার মতো। হুবহু আরেকটার মতো।”

সে দিনের পর, সেই প্রেমিকটির জীবনে আর কখনোও বিয়ে হয়নি। প্রেমিকার সাথে সম্পর্কটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের পেছনে হাজারো কারণ থাকতে পারে। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিও কখনো প্রেমে পড়েননি, বা প্রেমের কারণে বিয়ে করেননি। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজ লেখক চার্লস ল্যাম্ব, ভল্টেয়ার, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো—এরা সবাই চিরকাল অবিবাহিত ছিলেন। এমনকি আমাদের প্রখ্যাত সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী এবং বিভূতিভূষণ মুখ্যোপাধ্যায়ও চিরকুমার ছিলেন।
তবে বিয়ে ও প্রেম এক জিনিস নয়। অনেক প্রেমই শেষ পর্যন্ত বিয়েতে পরিণত হয় না। আবার, অনেক সময় আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীরা প্রেমের সম্পর্ককে বাধ্যতামূলকভাবে বিয়েতে পরিণত করে। যেমন, এক ডাক্তার রোগী দেখতে গিয়েছিলেন। রোগীটির শরীরে নির্দয় প্রহারের চিহ্ন ছিল, এবং ডাক্তার তাকে জিজ্ঞেস করেন, “কোথায় ব্যাপারটা ঘটলো?” গৃহকর্তা উত্তরে বললেন, “এই বাড়িতে!” তবে, এরপর এক অবাক কাণ্ড ঘটে—গৃহকর্তা জানান, “তাকে পিটিয়েছি।” ডাক্তার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কেন নিজের জামাইকে এমন পিটালেন?” গৃহকর্তা বললেন, “কিন্তু ডাক্তার বাবু, ও তখনো আমার জামাই ছিল না।”শেষে, প্রশ্ন আসে—সুন্দরী মেয়েরা কেন নির্বোধ হয়? এর উত্তর খুব সহজ—এটি পরমেশ্বরের কৌশল। সুন্দরী মেয়েরা পুরুষদের প্রেমে পড়েন, এবং নির্বোধ হওয়াই তাদের জন্য এক প্রকার সৌন্দর্য! সাবধান, গোপন প্রেমে মগ্ন হতে হলে, এক দিন তা প্রকাশ পেতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট