চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সাহেবের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুরক্ষিত রাখতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণপণ কাজ করছেন, তাদের মধ্যে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান অন্যতম। দক্ষতার সঙ্গে অপরাধ দমন এবং জনসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তিনি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। সোলাইমানের কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং আগ্রহ তাকে এ অঞ্চলের জনগণের কাছে একজন বিশ্বাসযোগ্য পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
যদিও সোলাইমানের ছিল সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, কিন্তু তিনি সাংবাদিকতার বদলে নিজের জীবনকে দান করেছেন পুলিশ বাহিনীতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে তিনি পুলিশের ইউনিফর্ম পরিধান করেছেন। একদা কলমের শক্তিতে বিশ্বাসী, আজ তিনি পুলিশের পোশাকে সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। তার রয়েছে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিষয়ে গভীর জ্ঞান, যা তার কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়ক। তিনি জানেন যে, পুলিশি কার্যক্রমে যেমন শক্তির প্রয়োগ দরকার, তেমনি সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলমের শক্তিও অপরিহার্য।
মোহাম্মদ সোলাইমানের নেতৃত্বে পাঁচলাইশ থানার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করছেন। তার উদ্যোগ এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে পুলিশি সেবা প্রাপ্তি এখন অনেক সাধারণ মানুষের কাছে সহজ হয়ে উঠেছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, পুলিশ কেবল অপরাধ দমনই নয়, সমাজের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা ও স্বস্তির খোঁজে সদা সচেষ্ট থাকে।
সোলাইমানের মতো মেধাবী ও কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ কর্মকর্তা শুধুমাত্র অপরাধ দমন নয়, বরং পুলিশ বাহিনীর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা পালন করছেন। তার নেতৃত্বে পাঁচলাইশ থানার সফলতার গল্প আজ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা পুরো চট্টগ্রাম শহরেই প্রশংসিত হচ্ছে।
পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলাইমান ২০২৪ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর
মাসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)-এর পাঁচলাইশ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি পাঁচলাইশ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও সুদৃঢ় করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং পুলিশের কর্মকাণ্ডে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন। সোলাইমানের নেতৃত্বে পাঁচলাইশ থানা আজ একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং জনগণের আস্থা অর্জনকারী স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে।
সোলাইমান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রথমেই পাঁচলাইশ থানার পুলিশ কার্যক্রমের মান উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে থানায় সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসনিক দক্ষতা আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পুলিশের কার্যক্রমকে আরও জনমুখী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যাতে সাধারণ জনগণের প্রতি পুলিশের সেবা এবং আস্থা বৃদ্ধি পায়। সোলাইমানের নেতৃত্বে পুলিশের কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল অপরাধ দমন, মাদক চোরাচালান রোধ এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ।
অপরাধ দমন ও
অপরাধীদের গ্রেফতার: পুলিশ পরিদর্শক সোলাইমানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পাঁচলাইশ থানার এলাকায় অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি এক ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি বিশেষ করে মাদকদ্রব্য ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। এর ফলে এলাকার অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। তার সঠিক নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেন, যা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যান্য থানার মধ্যে নজিরবিহীন হয়ে ওঠে। তিনি নিয়মিত থানায় অভিযানের মাধ্যমে এলাকার অপরাধীদের শনাক্ত করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন।
পাঁচলাইশ থানার ২নং গেট এলাকায় একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পুলিশ পরিদর্শক সোলাইমান দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তার নেতৃত্বে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুত উদঘাটিত হয় এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ জনগণের মাঝে আরও বেশি আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়, কারণ তারা দেখেছিল যে সোলাইমানের নেতৃত্বে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন: পুলিশ পরিদর্শক সোলাইমান সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন করেন।পাঁচলাইশ থানায় একটি জনসচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যেখানে জনগণ তাদের অপরাধী শনাক্তকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, মাদক চোরাচালান, এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি পুলিশকে অবহিত করতে পারেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণ পুলিশকে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি শক্তিশালী সহায়কের মতো দেখতে শুরু করে এবং পুলিশি সেবা সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ: পুলিশ পরিদর্শক সোলাইমানের নেতৃত্বে পাঁচলাইশ থানায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সোলাইমানের দিকনির্দেশনায় পুলিশ সড়কে নিয়মিত পেট্রোলিং চালায়, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করে এবং দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই উদ্যোগগুলো সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যার ফলে দুর্ঘটনা কমেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ অভিযান ও বড় অপরাধী চক্রের গ্রেফতার: এছাড়া, পাঁচলাইশ থানার মক্কি ভবনে একটি ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার পর সোলাইমান পুলিশকে দ্রুত অভিযান চালাতে নির্দেশ দেন। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এবং পুরো ডাকাতি চক্রটি ধ্বংস করে দেয়। এই ঘটনা থেকে পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয় যে সোলাইমানের নেতৃত্বে পুলিশ অপরাধীদের শনাক্তকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা: পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলাইমান তার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীকে এক নতুন গতিতে পরিচালিত করেছেন। তিনি শুধুমাত্র কঠোর অপরাধ দমনই করেননি, বরং পুলিশের কর্মকাণ্ডকে আরও দক্ষ, জনমুখী এবং সুশৃঙ্খল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার কঠোর পরিশ্রম, নেতৃত্ব এবং প্রজ্ঞা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)-এর আরও উন্নতির দিকে নিয়ে গেছে। তার অধীনে, পাঁচলাইশ থানায় পুলিশের সেবা আরও নিবিড় এবং জনগণের জন্য একটি আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। মোহাম্মদ সোলাইমান তার কর্মজীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। তার কঠোর পরিশ্রম, সৎ মনোভাব এবং নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে আজ পাঁচলাইশ থানার জনগণ পুলিশকে তাদের বন্ধু ও সহায়ক হিসেবে দেখে।
নিম্নলিখিত অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হলো: অপরাধ ১: মুরাদপুরে ছাত্রদের উপর হামলা
তারিখ: ১৬ জুলাই ২০২৪ ঘটনা: ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী মোঃ সেলিম রহমান (হাজী সেলিম) এবং তার সহযোগীরা ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ও লাঠি-সোটা ব্যবহার করে। ফলে: হামলার ঘটনায় ছাত্রদলকর্মী ওয়াসিম আকরাম, শিবিরকর্মী ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং ফার্ণিচার মিস্ত্রী মোঃ ফারুক নিহত হন। এছাড়া, ৪০-৫০ জন সাধারণ ছাত্র গুরুতর আহত হন। এই হামলা ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় এবং এটি ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। অপরাধের গুরুত্ব: এই ঘটনায় পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করে।
অপরাধ ২: ডাকাতি ও জিম্মি ঘটনা তারিখ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঘটনা: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন ও আর নিজাম রোডে অবস্থিত আল হিদায়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সংলগ্ন ডুপ্লেক্স মক্কি ভবনে ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকের ছোট মেয়ে মাজেদা বেগম পারভীন (৫৮) ও তার স্বামী মীর মোঃ লোকমান হোসেন (৬২) কে তাদের বাসায় জিম্মি করে রাখে।
শপুলিশের অভিযান: সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে সিএমপি বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট, ডিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ডাকাত দলকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার অভিযান শেষে ভিকটিম মীর মোঃ লোকমান হোসেনকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় এবং মাজেদা বেগম পারভীনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ফলে: ডাকাত দলের সদস্যদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সফল উদ্ধার অভিযান দেশব্যাপী গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অপরাধের গুরুত্ব: পুলিশ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করা এবং ডাকাতদের গ্রেফতার করা জনগণের নিরাপত্তার প্রতি পুলিশের বিশ্বাস বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ ৩: চাঁদাবাজি ও অস্ত্রধারী অপরাধী গ্রেফতার তারিখ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ঘটনা: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ফেনী মডেল থানাধীন সুলতানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাঁচলাইশ মডেল থানার কাতালগঞ্জ ও চকবাজার এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী এবং সরকারি জমির অবৈধ দখলদার, মিঠুন চক্রবর্তী (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। অপরাধ: মিঠুন চক্রবর্তী ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মুরাদপুর এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সরাসরি ছাত্রদের উপর গুলি চালায়, যার ফলে ৩ জন ছাত্র নিহত হয় এবং একাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়।
ফলে: মিঠুন চক্রবর্তীর গ্রেফতারের ফলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের গুরুত্ব পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে। এই অপরাধগুলির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন যে সফল অভিযান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করেছে।
নিম্নলিখিত অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করা হলো: অপরাধ ১: মুরাদপুরে ছাত্রদের উপর হামলা
তারিখ: ১৬ জুলাই ২০২৪ ঘটনা: ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী মোঃ সেলিম রহমান (হাজী সেলিম) এবং তার সহযোগীরা ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ও লাঠি-সোটা ব্যবহার করে।
ফলে: হামলার ঘটনায় ছাত্রদলকর্মী ওয়াসিম আকরাম, শিবিরকর্মী ফয়সাল আহমেদ শান্ত এবং ফার্ণিচার মিস্ত্রী মোঃ ফারুক নিহত হন। এছাড়া, ৪০-৫০ জন সাধারণ ছাত্র গুরুতর আহত হন। এই হামলা ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় এবং এটি ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। অপরাধের গুরুত্ব: এই ঘটনায় পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করে।
অপরাধ ২: ডাকাতি ও জিম্মি ঘটনা
তারিখ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ঘটনা: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন ও আর নিজাম রোডে অবস্থিত আল হিদায়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সংলগ্ন ডুপ্লেক্স মক্কি ভবনে ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকের ছোট মেয়ে মাজেদা বেগম পারভীন (৫৮) ও তার স্বামী মীর মোঃ লোকমান হোসেন (৬২) কে তাদের বাসায় জিম্মি করে রাখে।
পুলিশের অভিযান: সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে সিএমপি বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট, ডিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ডাকাত দলকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার অভিযান শেষে ভিকটিম মীর মোঃ লোকমান হোসেনকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় এবং মাজেদা বেগম পারভীনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ফলে: ডাকাত দলের সদস্যদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সফল উদ্ধার অভিযান দেশব্যাপী গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
অপরাধের গুরুত্ব: পুলিশ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করা এবং ডাকাতদের গ্রেফতার করা জনগণের নিরাপত্তার প্রতি পুলিশের বিশ্বাস বৃদ্ধি করেছে।
অপরাধ ৩: চাঁদাবাজি ও অস্ত্রধারী অপরাধী গ্রেফতার
তারিখ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘটনা: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ফেনী মডেল থানাধীন সুলতানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাঁচলাইশ মডেল থানার কাতালগঞ্জ ও চকবাজার এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী এবং সরকারি জমির অবৈধ দখলদার, মিঠুন চক্রবর্তী (৩৫)
কে গ্রেফতার করা হয়।
অপরাধ: মিঠুন চক্রবর্তী ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মুরাদপুর এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সরাসরি ছাত্রদের উপর গুলি চালায়, যার ফলে ৩ জন ছাত্র নিহত হয় এবং একাধিক ছাত্রজনতা আহত হয়।
ফলে: মিঠুন চক্রবর্তীর গ্রেফতারের ফলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের গুরুত্ব পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে।
এই অপরাধগুলির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন যে সফল অভিযান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com