-হোক প্রতিবাদী লেখা:
আজ ১১ই ফেব্রুয়ারী জামাল খান,
চেরাগি পাহাড়স্হ - চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অফিসের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের ওপর মারাত্মক হুমকি। গাড়ি ভিড়িয়ে মানুষ এনে সংবাদপত্রের অফিসে জমায়েত করাটা কেবল অমানবিকই নয়, এটি একটি ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। এমন কর্মকাণ্ড সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সংবাদপত্র হলো গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, যা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে, সরকার ও ক্ষমতাবানদের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরতে এক অমূল্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যখন এই মুক্ত ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করা হয়, তখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা অঙ্কুরেই নিঃশেষ হয়ে যায়। এই ধরনের জমায়েতের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর চাপ সৃষ্টি করা নয়, বরং এটি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা এবং তাদের দায়িত্ব পালনে বাঁধা সৃষ্টি করার জন্য একটি চক্রান্তও হতে পারে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সকলেই একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় সকল সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠন ও গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় রাখতে, এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রক্ষা করতে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানানো অত্যন্ত জরুরি।
এমন অপরাধমূলক ও ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রতিবাদ গড়ে তোলা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অটুট থাকলে দেশ ও সমাজ সত্যিকার অর্থে মুক্ত হবে, এবং আমরা সকলেই পাবো সঠিক তথ্য, নিরপেক্ষ সংবাদ এবং সংবাদপত্রের আসল ভূমিকায় অবিচল থাকার নিশ্চয়তা।
এখনই সময়, একসঙ্গে প্রতিবাদ করার!
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com