সেনা কর্মকর্তা হিসেবে চিকিৎসা সেবা: দেশ সেবার এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
চিকিৎসা সেবা, ত্যাগের পথে, যেমন সেনা, যুদ্ধে হাতে অস্ত্র, তেমনি চিকিৎসক, মানুষে হৃদয়ে,অভিযান করে সেবা, একমাত্র দেশ-প্রেমে। যুদ্ধের মাঠে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়েন, স্বার্থহীন, নিঃস্বার্থ, কখনো পিছু হটেন,তেমনি চিকিৎসক, রোগী যখন কাঁপে,
হাসপাতালে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে, মৃত্যুকে হারিয়ে নতুন জীবন দেয়। চিকিৎসা তার কাছে শুধু পেশা নয়,দেশ সেবার এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি,সে জানে, দেশের জন্য যে আদর্শে মানুষের সুস্থতা—এটাই চূড়ান্ত জয়। শৃঙ্খলার চেতনা, নিষ্ঠার কাজ,অভিযান তার প্রতিদিনের পাঠ, সেনার হৃদয়ে থাকে সেবা ভরা, দিল্লি থেকে চট্টগ্রাম—একই চেতনা। দেশের প্রতি দায়িত্ব, তার হৃদয়ের কাছে,
এক সেনা কর্মকর্তা, যেন সর্বত্র সেবা পৌঁছে, প্রতিটি প্রহরে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, সে জানে, এই পৃথিবী তার জন্য এক যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে প্রতিটি জীবন—দেশের অমূল্য রত্ন।
আজকের দিনটি আমার জন্য বিশেষ ছিল, কারণ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের বিশদ আলোচনা হয়েছে। উনার অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা সবসময়ই অনুপ্রেরণার উৎস।
আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম যে, তার ওপর আমার লেখা দুটি নিবন্ধ—দৈনিক ভোরের আওয়াজ এবং The Daily Banner-এ প্রকাশিত হয়েছিল। এই লেখাগুলো তার পেশাগত জীবন ও সমাজের প্রতি অবদানের প্রশংসাসূচক ছিল। তিনি সেগুলো পড়েছেন এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একই সাথে তিনি পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যা আমাকে আরও উৎসাহিত করেছে।
সাক্ষাৎ শেষে আমি তাকে আমাদের চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সাহসী নেতা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের উপর রচিত "অদম্য মনোয়ার" বইটি উপহার দিলাম। তিনি বইটি গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজের প্রশংসা করেন। তার কর্মের সফলতার জন্য আন্তরিক শুভকামনা ব্যক্ত করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে থাকা একজন ব্যক্তিত্বের সাথে এই সাক্ষাৎ ও আলোচনা আমার কাজের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দীপনা জুগিয়েছে। আজকের দিনটি এর জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্ব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। এই হাসপাতালের কার্যক্রম এবং সেবার মান নিশ্চিত করতে যেসব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তিত্ব কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন অন্যতম। তার নেতৃত্বে হাসপাতালটি এখন এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্ব: উদাহরণ সৃষ্টি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিনের প্রধান লক্ষ্য হাসপাতালটিকে একটি সম্পূর্ণ রোগীবান্ধব ও শতভাগ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা। তার কার্যক্রমে যে মনমানসিকতা প্রতিফলিত হয়, তা কেবল একজন দক্ষ প্রশাসকের নয়, বরং একজন নিবেদিত সমাজসেবকের। সেবার মান বৃদ্ধি: তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ও ব্যবস্থাপনায় একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন আনেন। রোগীদের জন্য মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন। নতুন উদ্যোগ: তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের আধুনিকীকরণে পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশেষ করে জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ কমাতে নতুন চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজন এবং শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রশংসনীয়। পরিবেশ উন্নয়ন: হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তার নেওয়া ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই সুফল বয়ে আনছে। চলমান সমস্যাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ যদিও ব্রিগেডিয়ার তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে হাসপাতালটি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তবুও কিছু দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা এখনও রয়ে গেছে।
অপর্যাপ্ত বাজেট: হাসপাতালের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এখনো অপর্যাপ্ত। আধুনিক সরঞ্জামের অভাব এবং বর্ধিত চাহিদা মেটাতে বাজেট বৃদ্ধি অপরিহার্য। মানবসম্পদ সংকট: পর্যাপ্ত নার্স, চিকিৎসক এবং টেকনিশিয়ানের অভাবে অনেক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার নেতৃত্বে সহযোগিতার প্রয়োজন একজন সেনাকর্মকর্তার শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন হাসপাতালের জন্য যে উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছেন, তা সফল করতে সর্বস্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ভূমিকা: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সরাসরি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ: চট্টগ্রামের উন্নয়নমুখী সুশীল সমাজ, চিকিৎসা সংগঠন এবং অন্যান্য আন্দোলনের পক্ষ থেকে তার উদ্যোগগুলোতে সমর্থন জানানো উচিত।
সাংবাদিক হিসেবে আমার প্রতিশ্রুতি চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলনের একজন কলমযোদ্ধা হিসেবে আমি বরাবরই এই হাসপাতালের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে লিখে আসছি। ব্রিগেডিয়ার তসলিম উদ্দিনের মতো মানুষের দূরদর্শী নেতৃত্বকে আরও এগিয়ে নিতে আমি আমার লেখনির মাধ্যমে জনমত গঠন করে যাব। হাসপাতালের যেসব সমস্যা এখনও সমাধান হয়নি, তা প্রকাশ্যে তুলে ধরে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানাব। একইসাথে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিনের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোকেও জনসাধারণের সামনে তুলে ধরব, যেন তার নেতৃত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নে যে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন, তা শুধু এই হাসপাতালের নয়, পুরো চট্টগ্রামবাসীর গর্ব। তার সেবামূলক মনমানসিকতা এবং উদ্ভাবনী নেতৃত্বের সার্থকতা নির্ভর করে আমাদের সবার সহযোগিতার ওপর। হাসপাতালের উন্নয়ন এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে তার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমার বিশ্বাস, তার নেতৃত্বে হাসপাতালটি শিগগিরই দেশের একটি মডেল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com