জীবনযুদ্ধে যিনি হন আলোর দিশারি, মানবতার মর্মে আছেন যিনি সদা সংগ্রামী, জাবেদ আবছার চৌধুরী, সেবার অমল চরিত্র, চট্টগ্রামের প্রাণে, তিনি এক সমাজের হিরা। সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন, যাঁদের নিঃস্বার্থ কাজ এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা একটি আলোকিত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। তাঁদের কর্ম এবং আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী তেমনই একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। প্রকৌশল জগতে সাফল্য অর্জন করেও তিনি নিজের অর্জনকে শুধু পেশাগত সীমানায় আটকে রাখেননি; বরং সমাজের কল্যাণে নিবেদিত করেছেন। তাঁর কর্ম, মানবিকতা, এবং সেবার স্পৃহা চট্টগ্রামের সমাজে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
পারিবারিক ঐতিহ্য: মানবতার শেকড় ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরীর সমাজসেবার প্রতি নিবেদন এসেছে তার পারিবারিক শেকড় থেকে। তাঁর পিতা নুরুল আবসার চৌধুরী ছিলেন একজন মানবিক রাজনীতিক, যিনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। নুরুল আবসার চৌধুরী তৎকালীন সফল মেয়র মীর নাছির উদ্দীনের উন্নয়ন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তার এই সেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই জাবেদ আবছার চৌধুরী অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
মা ও শিশু হাসপাতালের সঙ্গে অঙ্গীকার ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। একজন ডোনার সদস্য হিসেবে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজের অর্থ এবং সময় ব্যয় করেছেন। হাসপাতালের দুঃস্থ রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। হাসপাতালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এতটাই গভীর যে, তিনি এর সেবা কার্যক্রমকে এবাদত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। দিনরাত পরিশ্রম করে তিনি নিশ্চিত করেছেন যাতে গরিব, দুঃস্থ এবং অসহায় রোগীরা এখানে সর্বোচ্চ সেবা পায়। হাসপাতালের উন্নয়নে ভূমিকা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য, তাঁদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী অন্যতম। তিনি হাসপাতালের পরিচালনা কমিটিতে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে উন্নতি সাধিত হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে অবকাঠামো উন্নয়ন—সব ক্ষেত্রেই তাঁর আন্তরিক ভূমিকা প্রশংসিত।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আগামী ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নির্বাচনে ডোনার সদস্যদের কোটা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী। তিনি নির্বাচিত হলে হাসপাতালের সেবার মান উন্নত করা এবং নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করা তাঁর অঙ্গীকার। ডোনার সদস্যদের প্রতি তাঁর অনুরোধ, তাঁকে পুনরায় নির্বাচিত করে এই মহৎ কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। একটি সমাজসেবকের প্রতিশ্রুতি ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরীর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়—মানবতার জন্য কাজ করাই জীবনের আসল উদ্দেশ্য। তাঁর উদ্যম, সততা, এবং কর্মপ্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে একজন মানুষের একার প্রচেষ্টাও একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। চট্টগ্রামের মানুষের জন্য তিনি একজন আলোকবর্তিকা, যিনি তার পিতা নুরুল আবসার চৌধুরীর সেবার আদর্শকে বহন করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছেন। তাঁর মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষকে আমরা
মা ও শিশু হাসপাতালের ডোনার কোটায় নির্বাচিত করতে পারলে তাতে একজন সমাজসেবকে প্রতি সম্মান জানালে হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি পাবে- ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী তাঁর কর্ম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজসেবার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নে তাঁর অবদান, অসহায় মানুষের সেবায় তাঁর আন্তরিকতা এবং পারিবারিক মানবিক ঐতিহ্য থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা তাঁকে সমাজের একজন আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আগামী ২১ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ডোনার সদস্যদের সমর্থন তাঁর এই মানবিক যাত্রাকে আরও গতিশীল করতে পারে। তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবককে নির্বাচিত করা শুধু একটি দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপন ও মহাসচিব চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com