একজন সাংবাদিকের জীবন যেন এক নিরন্তর সংগ্রাম, যেখানে প্রতিটি শব্দের পেছনে লুকিয়ে থাকে একেকটি ধ্বংসের হুমকি, প্রতিটি লেখার আড়ালে জেগে ওঠে এক অপরিচিত শত্রুর মুখ। সৎ সাংবাদিকতা মানেই এখানে নিজেকে উৎসর্গ করা এক অন্ধকার গলির শেষ আলোতে, যে আলোর তীব্রতায় অনেকের চোখ পুড়ে যায়। যে সমাজের জন্য সত্য উচ্চারণে কলম ধরে আছি, সেই সমাজই যেন আমাকে আঘাত করতে প্রস্তুত। কেউ বলে "সাংবাদিক" আবার কেউ মনে করে "চাঁদাবাজ" কিংবা "ধান্দাবাজ"। তাদের কাছে আমি এক বেয়াদব, বেয়াদব কেননা আমি প্রশ্ন করেছি, তুলে ধরেছি তাদের অপকর্ম। সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে যে সাংবাদিকের নিজের জীবনকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিতে হয়, তার এই দুঃসাহসী পথচলা যেন অসংখ্য প্রতিকূলতার ছায়ায় আবৃত। যখন শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলি, দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ করি, তখন আমি সমাজের চোখে হয়ে যাই শত্রু। তারা বলে, আমি হলুদ সাংবাদিক, অপদস্থ করার জন্য তারা আমাকে নিয়ে মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে। যেন সত্যকথা বললেই কলঙ্ক ছুঁড়ে দেওয়া তাদের এক অধিকার। কিন্তু ভয় পাই না। একজন সাংবাদিকের কাছে ভয় শব্দটির কোনো স্থান নেই। হয়তো মনে মনে জানি, সমাজ আমার পক্ষে না, আমার সহকর্মীরাও হয়তো পাশে নেই। তবে, এই নিঃসঙ্গতার মাঝেও আমি জানি, সত্যের পথে হাঁটতে গিয়ে অনেক বাধা আসবে, এমনকি যাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা তাদের কেউ কেউ শাসকের পাশে দাঁড়ায়। তারা মনে করে, এটাই তাদের জন্য নিরাপদ। তবুও আমি থেমে থাকি না। শত হুমকি, শত অপবাদ সত্ত্বেও আমি কলমের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এগিয়ে যাই, কারণ জানি, এই কলমই সমাজের জন্য শেষ আশ্রয়স্থল। কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলার এই চিরন্তন দায়িত্বটুকু পালন করতে আমাকে সাহসী হতে হবে। এমনকি যদি আমার জীবনে ঝড় নেমে আসে, কিংবা আমি হয়ে যাই একা। এই সমাজে সত্য বলতে গেলে আমাকে নায়ক বানানো হবে না; বরং আমাকে বলা হবে এক ছদ্মবেশী অপরাধী। আর যদি শাসকের পা চাটি, যদি আমার লেখায় তাদের অপরাধ ঢাকা পড়ে, তখনই হয়তো সমাজ আমাকে লৌহমানবের মর্যাদা দেবে। এর মাঝে যে দ্বন্দ্ব, যে অসংগতি—সেই যন্ত্রণা নিয়েই আজও আমি কলম ধরছি। জানি, হয়তো এ পথে আঘাত পাবো। মামলার ভয়, হামলার ভয় নিয়েও নির্ভয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সত্যের শক্তি কি এত সহজে বিলীন হয়ে যেতে পারে? আমি আমার নিজের কথা দিয়ে বলি আমি রাজনৈতিক দলের লেবাসপরা একজন ডাকাতের বিরুদ্ধে কিছু তার অপকর্মের কথা তুলে ধরেছি--বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড: অস্ত্র সরবরাহকারী আকতার ডাকাতের ভূমিকা"-
ডিজি বিপ্লব চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
বৈষম্যের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনের বিস্তৃত পরিসরে ছাত্র ও যুবলীগের একটি সন্ত্রাসী চক্র হামলা চালিয়েছে, যাদের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত আকতার ডাকাত। অভিযোগ উঠেছে, আকতার হোসাইন নামে চাঁদাবাজ এই ছিন্নমূল লীগ ক্যাডার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রদের উপর গুলি চালানো এবং হামলা পরিচালনার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করেছেন। ছাত্রদের ওপর সহিংস আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২নং গেইট এবং কাজী দেউরী মোড়। সূত্র জানায়, আকতার হোসাইন চট্টগ্রামের বাস্তহারার নিরীহ মানুষ ও ছিন্নমূল শিশুদের ব্যবহার করে সংগঠনের ক্যাডারদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের কাজটি পরিচালনা করতেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্র-যুব লীগের নেতা কর্মীদের দখলে থাকা এলাকায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করতেন। এই ডাকাত চট্টগ্রাম শহরের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিতে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পরিচয় দিয়ে কাজ করতেন। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সহযোগী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ
আকতার ডাকাতের পরিচিতি শুধু অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি একজন কুখ্যাত ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। বাবরের নির্দেশনায় তিনি চট্টগ্রাম শহরে হত্যাকাণ্ড, রাহাজানি, এবং অবৈধ জুয়া খেলার আড্ডা বসাতেন। রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন এবং বাবরের পর্যটন বারে মদ সরবরাহের মাধ্যমেও তার অপকর্মের বিস্তৃতি ছিল। তবে আকতারের মূল আয়ের উৎস ছিল রিয়াজুদ্দিন বাজারের আবাসিক হোটেলগুলোতে পতিতা সরবরাহ।
বিশেষজ্ঞরা জানান, আকতার কৌশলে বিভিন্ন পর্যায়ে টোকাই এবং পথশিশুদের ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টি করতেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সরকার পতনের আগমুহূর্তে সরকারি ভবন এবং অফিসে ভাঙচুরের পরিকল্পনা করতেন। নিজেরা নাশকতা সৃষ্টি করে জামাত-শিবিরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অরাজকতা করেছে মর্মে প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন এবং রিয়াজুদ্দিন বাজারে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকার চাঁদাবাজি করেন। চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্হানে পুলিশ বক্সে আগুন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগর কথা জানাগেছে, কোতোয়ালি থানা ও নিউ মার্কেট মোড়ে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে আকতার সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তিনি সুপরিকল্পিত ভাবে এই কর্ম কাণ্ডগুলো পরিচালনা করেন যাতে আন্দোলন কারীদের ওপর দোষ চাপানো যায়। আকতার বাহিনীর এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রমকে বিতর্কিত করে গণসমর্থন কমিয়ে আনা। আকতার ডাকাতের পরিচয় ও সন্ত্রাসী ইতিহাস সাতকানিয়ার দক্ষিণ কাঞ্চনা ইউনিয়নের চৌধুরীর বাড়ীর
বাসিন্দা, আকতার ডাকাতের বাবার নাম আহমেদ হোসাইন। শৈশব থেকেই দুর্বৃত্ত আচরণের মানুষ হিসেবে আকতার পরিচিত। প্রথমদিকে ডাকাতি কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তার সন্ত্রাসী ক্যারিয়ার শুরু করেন। সাতকানিয়ার জামাত-শিবির নেতারা একসময় তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ এবং তথাকথিত
যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করে চট্টগ্রামে স্থায়ী হন এবং বাবর গ্রুপের হয়ে রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত হন। বিশেষ করে বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, এবং ২ নম্বর গেইট এলাকায় ছাত্রলীগের রণি বাহিনীর সাথে মিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর গুলিবর্ষণের অভিযোগে আকতার সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি রণি বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা পরিচালনা করেন এবং এভাবে ছাত্র-যুব লীগের সন্ত্রাসী তৎপরতায় নেতৃত্ব দেন। চট্টগ্রাম শহরের শান্তিপ্রিয় জনগণের কাছে আকতার ডাকাত একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাগাম টানার জন্য প্রশাসনের সুষ্ঠু পদক্ষেপ দাবি জানিয়ে অনেকে বলেন-ডাকাত আকতার হোসাইন মুজিব কোট পরে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন চট্টগ্রামের তথাকথিত বাস্তাহারা লীগের সভাপতি আকতার হোসাইন। আইনগত ও নৈতিকতার লঙ্ঘন করে এই ব্যক্তি শুধু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেই থেমে থাকেননি, বরং বিভিন্ন দুর্বৃত্ত চক্রের নেতৃত্বও দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী রিকশা চোর সিন্ডিকেট পরিচালনার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ রিকশাচালকদের রক্ত, ঘাম, ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত টাকা আকতার হোসাইনের পকেটে চলে যায়, যা তার মুনাফার একটি প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে তার অপরাধের মাত্রা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। অভিযোগ রয়েছে যে, আকতার হোসাইন একটি শক্তিশালী গরুচোর সিন্ডিকেটের নেতা ছিল বলে জানাযায়। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এলাকার নিরীহ মানুষের জীবনযাত্রায় সংকট সৃষ্টি করে চলেছেন তিনি।বিভিন্ন সংকট তৈরি এবং সাধারণ মানুষকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে তোলার জন্য তিনি নানাভাবে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গরিব মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আকতার হোসাইন তার নিজের স্বার্থে সমাজের ক্ষতি করছেন। শ্রমিক লীগের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার দাবি করলেও, বাস্তবে তিনি তাদের দুর্দশা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক লাভের পথ বেছে নিয়েছেন। প্রতারণা ও মুজিব কোটের আড়ালে দুর্নীতি আকতার হোসাইনের মুজিব কোট পরা চেহারার আড়ালে রয়েছে দুর্নীতি ও প্রতারণার গভীর চক্র। তিনি তার নিজের স্বার্থে এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গরিব ও অসহায় মানুষের সান্ত্বনা ও আস্থাকে ভেঙে দিয়েছেন, আর্তমানবতার নামে প্রতারণা চালিয়ে গেছেন। প্রতিবাদ ও জনসচেতনতার আহ্বান আকতার হোসাইনের এই সমস্ত কার্যকলাপ নিয়ে সাতকানিয়াতে অসন্তোষ চরমে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতারণার ঘটনা প্রমাণ হলে এটি সমাজের জন্য বিপদজনক হতে পারে। জনসাধারণের অভিযোগ, আকতার ডাকাত মুজিবের আদর্শকে অপব্যবহার করে প্রতারণা করছেন। তাই জনগণকে আকতার হোসাইনের মতো প্রতারকদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের দাবি উঠছে।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আকতার হোসাইনের অসৎ কার্যকলাপ তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। এলাকার সাধারণ মানুষকে তার প্রতারণার বিষয়ে সচেতন করতে এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আকতার ডাকাত এখন পলাতক রয়েছে। সেই লেখার কোন প্রতিবাদ না দিয়ে, "সেই আমার নামে কি কি লিখেছে দেখেন--- ১৬ বছর আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগকে ব্যবহার করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়ে ৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টিয়ে বঙ্গবন্ধু , শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা গাল গল্প রচনাকারী কথিত সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ " কামাল " কে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিরোধ করবেন..........
সাংবাদিকতা এবং লেখালেখি আমার কাছে কোনো সাধারণ কাজ নয়; এটি এক ধরনের সাধনা, এক নৈতিক দায়িত্ব। এই পথে প্রত্যেকটি শব্দ যেন একটি প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি বাক্য একটি সত্যের শপথ। তবে বাস্তবতার এই পথে হেঁটে আমি বুঝেছি, সত্য লেখার কাজটি সহজ নয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের কল্পিত রংয়ে আমাকে আবৃত করতে কিছু মানুষ ও ষড়যন্ত্রকারী প্রতিনিয়ত আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তবু আমি জানি, কলমে যখন সত্যের খোঁজে যাত্রা শুরু করেছি, তখন কোনো অপবাদের ভয়ে থামা আমার স্বভাব নয়। আমাকে বলা হয়েছিল—আমি নাকি দীর্ঘ ষোল বছর ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছি। এ অভিযোগ শুনে মনে হলো, এরা কীভাবে তাদের মতো করে মিথ্যার জাল বুনে ফেলে! বাস্তবতা হলো, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের একটি সম্মেলন আয়োজনের জন্য মাত্র তিন মাসের সাময়িক দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় কেন্দ্রীয় দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের সেই দায়িত্বও বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না; বরং আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রেরণা পেয়ে তার উপর লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছি। আদর্শের প্রতি আমার এই নীরব কিন্তু অটুট সমর্থন যেন অনেকের কাছে আমার নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে ধরে, তবে আমি জানি, ইতিহাসের পথে এগিয়ে যেতেই আমার এই দায়িত্বশীলতা। আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে অপরাধের প্রতি বিরোধিতা আমার প্রধান আদর্শ। আমি দেখেছি, কতজন রাজনৈতিক ক্ষমতার আড়ালে অপরাধ ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। কিছু তথাকথিত সাংবাদিকও এই অপকর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করে; তারা দলীয় তোষামোদের মাধ্যমে অপরাধীদের সুরক্ষা দিতে চায়। আমার কলম যখন তাদের অপকর্ম উন্মোচন করতে থাকে, তখনই আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুৎসা রটানো শুরু হয়। বিশেষ করে সম্প্রতি নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের কাছে আমার বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়েছিল, যেখানে বলা হয় আমি নাকি তারেক জিয়ার পক্ষাবলম্বন করছি। কিন্তু সত্য হলো, আমি একজন লেখক হিসেবে সাহসী এবং সত্যনিষ্ঠ নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলি, সেখানে তারেক জিয়া হোক বা অন্য কেউ, সত্যের পক্ষে লিখতে আমার দ্বিধা নেই। আর তাতেই তথাকথিত কিছু সাংবাদিকের কাছে আমি যেনো এক প্রকার "শত্রু"। তারা আমাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে বলে, আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াবে এবং আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবে। চট্টগ্রামের প্রভাবশালী অপরাধীদের ব্যাপারে কলম ধরেছি, যারা নিজেদের ক্ষমতা ও অর্থের প্রভাবে বহু অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছে। আমার এই নির্ভীক লেখালেখি তাদের জন্য একপ্রকার শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু এ হুমকির ভয়ে আমি থামব না। বরং আরও সাহসের সঙ্গে সত্যকে তুলে ধরব। নিজের নিরাপত্তার জন্য কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি, যার নম্বর ১২০৫ এবং তারিখ ১২/১০/২০২৪। আমার কাছে এ ডায়েরি শুধু সুরক্ষার প্রতীক নয়, বরং এটি আমার সত্যনিষ্ঠার একটি প্রমাণ।
যখন এই অন্ধকার সময়ে আমি সত্যের পথে এগিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ, তখন জানি অনেক কাঁটাবনে হেঁটে যেতে হবে। হয়তো সামনে আরো কঠিন পথ আছে, হয়তো আরও অনেক ষড়যন্ত্রে আমাকে জড়ানো হবে। তবু আল্লাহর ইচ্ছায়, আমি নির্ভীকভাবে এই যাত্রা অব্যাহত রাখব। আমার লেখনী থাকবে সততার পক্ষে, সত্যের পক্ষে। আমার বিশ্বাস, এই সংগ্রামে আমি একা নই; ইতিহাসও আমার সঙ্গী।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com