এজাহার দায়ের ,আসামি বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা
১৯ অক্টোবর: চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভূমি দখল এবং চাঁদাবাজির শিকার এক পরিবার থানায় এজাহার দায়ের ১ নং আসামি বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানাযায়, চাঁদাবাজির অভিযোগের ১ নং আসামি বিদেশ থেকে দেশে এসেছে এই নিরীহ অসহায় গরীব পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার জন্য, কাতার থেকে দেশে চলে আসেছিল, এসেই শুরু করেন তাদের তান্ডব, ঘটনার বিবরণে জানাযায়, মো. আবুল কালাম (৪৭), স্থানীয় বাসিন্দা, তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে এই এজাহার করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী আনোয়ার নাজমুল সজিবসহ নয়জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের জন্য নিয়মিত হুমকি, চাঁদাবাজি এবং হামলা চালাচ্ছে। মো. আবুল কালামের অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিবাদীরা বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানি করে আসছে। তারা তাদের পৈতৃক বসতভিটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং এই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে মো. আবুল কালাম আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু বিবাদীরা মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও তাদের অত্যাচার বন্ধ করেনি। এজাহারে মো. আবুল কালাম আরও উল্লেখ করেন, তাদের ঘরবাড়ি একেবারে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ১৯ অক্টোবর সকালে তারা ঘরের সংস্কার কাজ শুরু করেন। কিন্তু বিবাদীরা সংবদ্ধ হয়ে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং কাজের লোকজনকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, বিবাদীরা ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দাবি না মানলে তাদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়া, তাদেরকে জায়গায় থাকতে হলে চাঁদা পরিশোধ করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ১ থেকে ৫ নম্বর আসামিরা আবুল কালাম ও তার পরিবারকে বারবার হামলার জন্য এগিয়ে আসে, এবং পুরুষ আসামিরা তাদের বাড়ির নারীদের উসকানি দিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মামলা করার হুমকি দিতে থাকে। এর ফলে, তারা ঘরের মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি, যার ফলে তাদের প্রায় ৫ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আবুল কালাম আগেও চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন (জিডি নং ৭৪৬, তাং ১৩/৫/২০২৪), কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এবার সরাসরি এজাহার দায়ের করে তিনি চান্দগাঁও থানা পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগী পরিবারটির মতে, তারা অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। পুলিশ জানায়, এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলের অভিযোগের ব্যাপারে স্থানীয়দেরও মতামত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। চান্দগাঁও মহোরা মওলানা নুর আহমেদ সাহেবের পুরাতন বাড়ীর এই বাসিন্দারা এই ঘটনার পর বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তাদের দাবি, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে নিরীহ মানুষের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই ধরনের ঘটনায় হামলায় শিকার হওয়া নিয়ে বিগত সময় একটি চান্দ গাঁও থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছিল, মামলা নং ৭-তাং ৭/২/২০২৪ই ঘটনাটি ঘটেছিল বিগত ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ঘটনার সময় উল্লেখিত এলাকার ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদীগণ, যারা একে অপরের প্রতিবেশী, সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আরও অভিযুক্ত হয়ে জাবেদের পুরাতন বসতঘরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে নির্মাণকাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন। জাবেদ জানিয়েছেন, তিনি জানুয়ারি ২০২৪ মাসের শুরু থেকে পৈত্রিক পুরাতন ভিটায় তার বসতঘরের সংস্কারের কাজ করার চেষ্টা করেও এখনও করতে পারেনি। বিবাদীগণ অহেতুক ভাবে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে তাদের মেরামতের কাজ বাধাগ্রস্ত করছে। হামলার সময় বিবাদীগণ নির্মাণকাজে বাধা দেয় এবং জাবেদসহ তার পরিবারের উপর হামলার করে তাতে জাবেদ গুরুতর আহত হোন, সেই ঘটনার বিষয়ে জাবেদ বলেন, “আমার অধিকার আদায়ের জন্য আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। আমি এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চাই।”এখন দেখা যাক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়। মামলায় আসামি হিসেবে দায়ী করা হয়েছল চারজন প্রতিবেশীকে, তারা হলেন: ১. আলী হাসান (৪৭), পিতা- মৃত মতিউর রহমান ২. আলী হায়দায় (৫৫), পিতা- দূত ঘড়িটৎ বহমান, মাতা- মৃত সাহিলা খাতুন ৩. আলী আকতার (৫৮), পিতা- মৃত মতিউর রহমান, মাতা- মৃত লাহিলা খাতুন ৪. আলী আকবর (৬৫), পিতা- মৃত মতিউর রহমান, মাতা- মৃত লাইলা খাতুন এছাড়া, মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন জানান, এই বিবাদীরা তার নিকটতম প্রতিবেশী। জানুয়ারী ২০২৪ মাসের শুরু থেকেই তারা তার পুরাতন ভিটায় হামলার চেষ্টা করছে এবং পুনরায় ১০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবি করছে। জাবেদ হোসেনের দাবি, এই হামলার মাধ্যমে তার শান্তিপূর্ণ বসবাসের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং তার অধিকার রক্ষা করবে। এজাহারের বিষয়বস্তু অনুযায়ী, এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং বিষয়টি এখন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মামলার পরবর্তী তদন্তে কী ঘটবে, তা এখন দেখার বিষয়।চাঁদাবাজির মামলার রুজু ও আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিএমপির পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সাহেব এর সাথে ভুক্তভোগীরা সরাসরি সাক্ষাৎকরে মামলা বিষয় অবগত করলে পুলিশ কমিশনার চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আফতার উদ্দিনকে নির্দেশ দিলেও ওসি আফতাব উদ্দিন এখনো কোন ধরনের ব্যবস্হা নেননি। এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com