মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, এসব অনেকেই জোরসে বলে ফেলে। বাস্তবিক অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি? প্রশ্নটা হলো নিজেদের আখের গোছানো, লুটপাট,ভোটাধিকার, গণতন্ত্র হত্যা, গণহত্যা, খুন,গুম,ধর্ষণ, নাগরিক অধিকার হরণ এমন কি দেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব বিক্রি করা মানুষেরা তাদের অপকর্মে জায়েজ করতে অহর্নিশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চেতনা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। চেতনার শ্লোগান ধরা মানুষদের উদ্দেশ্যে দেশের মানুুষকে অন্যায়ভাবে শাসন,, শোষন করে সীমানার ওপারে দেশ বিক্রী করে দেয়া।মুক্তযুদ্ধের চেতনার মৌলনীতি ৪টি : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল নীতি এর মাঝেই বিদ্যমান। কোন ব্যক্তি দল কিংবা গোষ্ঠীর চর্চার মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিদ্যমান নয়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তির সোপান তলে চিৎকার করে আপন অধিকার আদায়ের সংগ্রামই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।মুক্তবুদ্ধি'র চর্চা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামের নাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। লাল সবুজের পতাকা,একটি মানচিত্র, বা্ঙ্গালী কিংবা বাংলাদেশী জাতিসত্বার প্রকাশ একটি সশস্ত্র যুদ্ধ, মুক্তির সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ইস্পাত দৃঢ় লৌহ কঠিন শপথের বাণী, মা মাটি মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ছিল চেতনায় অবিনশ্বর। অশুভ ক্ষমতার অন্ধ মোহে মানুষ -মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না!স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা, শোষণ, বঞ্চনা, নির্যাতন , হামলা, মামলা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সত্য কে মিথ্যার আবরণে ঢেকে দেওয়া কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়। ত্রিশ লক্ষ শহীদের শহীদের পবিত্র রক্ত রাঙা , দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত, স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। সেই পবিত্র আলোর মশালে কলঙ্কের কালিমা লেপন করতে করতে ওরা কারা? সমাজের সচেতন অংশের নেতৃত্বের জায়গায় বসে, ব্যাক্তি, দল,গোষ্ঠীর চাটুকারিতা করছেন! শোষণ, নির্যাতন, অপশাসন কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালানোর অপচষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। কি অবলীলায় বলে দিলেন,আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ! তার পক্ষে যুক্তি হলো আপনারা একজন অনির্বাচিত স্বৈরশাসকের অনুসারী, আপনারা ব্যাক্তি, দল ও গোষ্ঠীর দোহাই দিয়ে চেতনা বাজ।চমৎকার দেশ,জাতি, সমাজের বিবেকের নেতৃত্বে বসে পুরো জাতিকে বিভৎস অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া একদল নষ্ট মানুষের প্রতিচ্ছবি। সাংবাদিক যদি সমাজের আয়না হয় তাহলে সেই আয়নায় কি দেখা যায়? সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দেওয়া মানুষদের মুখে,মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাখ্যা শুনে বেহুশ হওয়ার অবস্থা! যে সময়ে দেশে সাংবাদিকদের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের বুকে মুখে পেরেকঠোকা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী আইন দিয়ে পেশাকে ধ্বংসের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে! পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিদিন প্রতিদিন, সন্ত্রাসী,হামলা, মামলা, গ্রেফতার হচ্ছে সাংবাদিক। প্রকাশ্যে গুলি হত্যা করা হচ্ছে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুন, অপহরণ, হামলা,মামলার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার বিচার দুরের কথা আজও তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি, তদন্তে নিয়োজিত সংস্থা। যুগযুগ ধরে সাংবাদিকদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। কর্মসংস্থান নেই, চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে তারা। বেতন ভাতা নেই, কথায় কথায় অন্যায় ভাবে চাকুরী চ্যুত করা হয়। সাংবাদিক দের দের জন্য রেশন নেই, নেই কোন দায়িত্ব। ওনারা সাংবাদিক নেতা হয়ে, ভুয়া চেতনার দোহাই দিয়ে হালুয়া রুটি খায়। অবৈধ ক্ষমতার ভাগ নিয়ে বাড়ি গাড়ি করে। তারা অনেকেই হাজার কোটি টাকার মালিক। ওরা দলবাজ,এরা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে। সাংবাদিকতা পেশাকে তারা সরকার ও বিরোধী দলের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত করেছে। যে কারণে পেশা আজ ধ্বংসের মুখে। অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে এই পেশার মানুষেরা। অনেকেই করোনা ও ঘৃণার চোখে তাকায় সাংবাদিকদের দিকে। যেই সাংবাদিক সমাজ খেয়ে না খেয়ে, জীবন বাজী রেখে সংসারের মায়া ত্যাগ করে মানুষ ও মানবতার সেবায় কাজ করে।
তারা অপরাজনীতির শিকার হয়ে রাষ্ট্রের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। সাংবাদিকতাকে সংবিধানে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। এটা শুধু সংবিধানের পাতায় সীমাবদ্ধ। স্বাধীনতার অর্ধশতক পার হলে আইনি কাঠামোর আওতায় পেশাকে তার অধিকার মর্যাদা দেওয়া হয়নি! এই পেশার নেই কোন সীমারেখা। নেই কোন অধিকার। বিরোধীদল তাদের অধিকার আদায়ের সময় খুঁজে সাংবাদিক দের। প্রশ্ন তোলে নীতি নৈতিকতা, পেশাদারিত্বের।ক্ষমতায় এসেই দমন-পীড়ন চালায়। অধিকার কেড়ে নেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়। যুগযুগ ধরে অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দেয় কার?এই সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরল অর্থ জানেন কি? দেশ জাতি র ক্রান্তিলগ্নে সাংবাদিক সমাজের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবতা,মানবাধিকার, সৌহার্দ্দ, সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অতন্দ্র প্রহরী সাংবাদিক। আইনের শাসন, আইনশৃঙ্খলা, ন্যায় বিচার, নাগরিক অধিকার, সামাজিক ন্যায্যের পক্ষে, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘোষ,খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, মাদক সিন্ডিকেট, অবৈধ অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের অবস্থান।
তাই মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তবুদ্ধি'র চর্চার কথা বলতে হলে জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, মূলনীতিও তার অবস্থান :
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে এই উপমহাদেশের মুক্তিলাভ হলেও বাঙালি জাতির প্রকৃত মুক্তি আসেনি। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের শােষণ ও শৃঙ্খলের জটিল জালে বন্দি হয় বাঙালি জাতি । ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতি শােষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি উদার-অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ একত্রিত হয় দেশমাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বিজয় লাভ করে বাঙালি জাতি । এরপর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির আলােকে গড়ে ওঠে বাঙালির সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপট। বাঙালির রক্তে রঞ্জিত উর্বর ভূমি বাঙালিকে লালন করছে সগৌরবে । ফলে বাঙালি গড়ে তুলেছে নতুন গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। মূলত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আমাদের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছিল তার মূলে ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা । কিন্তু স্বাধীনতাবিরােধী চক্রের চক্রান্তে সে চেতনা বারবার ব্যাহত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বরূপ কি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মীয় কুসংস্কার ভুলে গিয়ে বাঙালি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একই পতাকাতলে। সমবেত হয়। বাঙালির আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নতুন প্রেরণা দান করে মুক্তিযুদ্ধ । আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালি জাতি আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ করে বিশ্বের দরবারে নিজেদের স্বতন্ত্র সত্তাকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে বাঙালি এগিয়ে চলেছে তার গতি সুস্থিত নয় । মাঝে মাঝে জাতীয় মতানৈক্যের অভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা অস্থিরতা দেখা দেয়। অন্যদিকে, কিছু গােষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক চেতনা ও কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত করছে মূল চেতনা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। লাল-সবুজ পতাকাতলে মানুষ কোনাে ধর্মীয় চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়নি বরং সকল ধর্মীয় কুসংস্কার ও বিভেদ ভুলে গিয়ে মানবতাবােধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছিল । সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত হয়ে আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের আবশ্যিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম : মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে বাঙালির দেশপ্রেম । ঐক্যবদ্ধ জাতি দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এমনকি অতীতের সকল সংগ্রামেও দেশপ্রেমই ছিল অন্যতম চালিকা শক্তি। স্বদেশ, স্বভাষা ও স্বজাতির প্রতি ভালােবাসার চূড়ান্ত অভিব্যক্তি হলাে ১৯৭১ সালের মুক্তি সংগ্রাম । এ সময় বাঙালি জাতি নতুন করে জেগে ওঠে। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল এই দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী তিলে তিলে নিঃশেষিত করেছে বাঙালি জাতিকে । কেড়ে নিতে চেয়েছে মুখের ভাষা, বঞ্চিত করেছে ন্যায্য অধিকার থেকে। শত বছরের শােষণ-বঞ্চনা থেকেই বাঙালির দেশাত্মবােধ তার অস্থিমজ্জায় শক্তপােক্তভাবে, গেড়ে বসেছে । বাঙালির সাহিত্য চর্চায়ও আমরা পাই মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনা। গল্পে, কবিতায়, গানে, নাটকে, উপন্যাসে প্রকাশিত হয়ে আসছে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনা।
স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি প্রেমহীন মানুষ বিবেকবর্জিত। সকল মানুষের অন্তরে সুপ্ত থাকে স্বদেশপ্রেমের চেতনা । আত্মসম্মান, পরিশুদ্ধ। ভাবাবেগ ইত্যাদি থেকে স্বদেশপ্রেমের উদ্ভব হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ স্বদেশপ্রেমের পরিচয় মিলে ।। স্বদেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত মানুষের মন-মানসিকতায় সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতা স্থান পায় না। স্বদেশপ্রেম মানুষকে উদার হতে। সহযােগিতা করে। রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী সবাই তাদের আপন কর্মের মাধ্যমে স্বদেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। তাদের প্রদীপ্ত চেতনাবােধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে প্রেরণা পায় ।
শােষণ-বঞ্চনাহীন স্বাধীন-সার্বভৌম পবিত্র ভূমিতে বেঁচে থাকার দৃঢ় অভিপ্রায়ে মানুষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সকল শ্রেণির মানুষের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার আদায়ের চেতনা হলাে মুক্তিসংগ্রাম। কষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে । পরিকল্পিত কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে। আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। এই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মােৎসর্গকারী বীর মুক্তিযােদ্ধারাই আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান । জাতি শ্রদ্ধার সাথে চিরদিন তাদের অবদানকে মূল্যায়ন করবে ।
বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা : মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি মুক্ত-স্বদেশ ভূমি । কিন্তু কতটুকু রক্ষা। করতে পেরেছি এই চেতনা তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সমাজ জীবনে চরম অবক্ষয় আজ জাতিকে দিশেহারা করে তুলেছে। নানা অনিয়মদুনীতি আজ মহামারির মতাে জাতীয় জীবনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে । আমাদের যুবসমাজও আক্রান্ত এই অবক্ষয়ের করাল গ্রাসে ।এছাড়া রাজনৈতীক অস্থিতিশীলতা ও অনৈক্য দেশকে দ্বন্দ্ব, কলহ, দুর্দশা ও নৈরাজ্যের পথে নিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে মানুষের বিবেক আর বাধা দেয় না। এ অবস্থায় আমাদের প্রয়ােজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিমুক্ত ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা। আমাদের প্রকৃত গৌরবগাথার ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বেশিমাত্রায় উপস্থাপন করা উচিত। যে আদর্শ, লক্ষ্য ও চেতনা ধারণ করে জীবন আত্মেসর্গ করেছে বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, সেই আদর্শ ও চেতনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আমাদের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রথম শর্ত।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে সেই সব আকাঙ্ক্ষা যার জন্য বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘ সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com