গতকাল আকাশ ছিল মলিন,
হালকা হালকা বৃষ্টির ছোঁয়া,
বৃষ্টির ফোঁটায় যেন আকাশের মনখারাপ,
আমার মনও ভারী, তবুও হালকা করতে চেয়েছিলাম।
রিমঝিম বৃষ্টিতে পথ চলা শুরু,
চট্টগ্রামের নতুন পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিপ্রায়ে,
বৃষ্টির হাত ধরে, আমি যেন খুঁজছিলাম সান্ত্বনা,
আমার সঙ্গী সাংবাদিক জিয়াউর রহমান আর আশিফ,
একটি অদ্ভুত পথে,
বৃষ্টি আর মনের খেলা যেন চলছিল পাশাপাশি।
এসপি রায়হান উদ্দিন খানের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের একদিন আগে আমি তার অফিসে গিয়েছিলাম। তখন তিনি অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন এবং জরুরি ভিত্তিতে হাটহাজারী থানার পরিদর্শনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ব্যস্ততার কারণে তিনি আমাকে সময় দিতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সন্ধ্যায় ফোন করে দেখা করার অনুরোধ জানান। আমি অবশ্য তাকে পরদিন সাক্ষাৎ করার প্রস্তাব দিলে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
সাক্ষাৎ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ সম্পর্কে আমার লেখা, যা ‘দৈনিক ভোরের আওয়াজ’ ও ইংরেজি ‘The Daily Banner’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো পড়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিশেষ করে, চট্টগ্রামের রাউজানের অঘোষিত সম্রাট ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমার তথ্যসমৃদ্ধ লেখাগুলো দেখে তিনি আমাকে সাহসী লেখার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বললেন, "ফজলে করিমের অস্ত্র সন্ধান কীভাবে পাওয়া যায়, সেটি আমাদের জানাতে হবে।" তখন খুলশীর বাসায় ফজলে করিমের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি চলছিল। আমার লেখায় উল্লেখ ছিল, কার কার কাছে তার অস্ত্র মজুদ রয়েছে এবং এর একটি বিস্তারিত পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছিল।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে এসপি রায়হান উদ্দিন খান বললেন, "ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরু হত্যার মামলাটি যদি চকবাজার থানার পরিবর্তে রাউজান থানায় হতো, তবে আমি এর সঠিক রহস্য উদঘাটনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারতাম।" তিনি আরও আশ্বাস দিয়ে বললেন, "আপনি লিখতে থাকুন, আমার প্রশাসনিক সহযোগিতা আপনার সঙ্গে থাকবে।"
এই স্বল্প সময়ে সাহসী পুলিশ অফিসার রায়হান উদ্দিন খানের কিছু কথা এবং অনুভূতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পুলিশের হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম আরও শক্তিশালী হবে—এমনটিই আমার বিশ্বাস।
চট্টগ্রামের সাহসী এস পি রায়হান উদ্দিন খান পুলিশের হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুরু করেন, তা নিয়ে কিছু কথা-
চট্টগ্রামে সদ্য নিয়োজিত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, এক সাহসী এবং মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর,শত ব্যস্ততার মাঝেও আমি তার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাই। রায়হান উদ্দিন খানকে দেখে মনে হলো, তারুণ্যের শক্তি ও প্রতিবাদী মনোভাব এখনো অটুট আছে। তিনি তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে চলেছেন, যদিও বিগত সময়ে তাকে উপেক্ষার শিকার হতে হয়েছে।
রায়হান উদ্দিন খান অকপটে জানান, পুলিশ বাহিনীর হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে তিনি এবং তার সহকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে দেয়া হয়নি। বরং একটি স্বৈরাচারী সরকার তাদের অপব্যবহার করেছে, পুলিশকে জনগণের জন্য নয়, ক্ষমতা ধরে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই প্রক্রিয়ায় পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা এবং মর্যাদা ধ্বংস হয়েছে। তিনি গভীর দুঃখের সাথে বলেন, "আমরা এমন এক পুলিশ সমাজ গড়তে চাই, যেখানে মানবিকতা থাকবে, বৈষম্য থাকবে না। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।" রায়হান উদ্দিনের এই সাহসী উচ্চারণ থেকে বোঝা যায়, তিনি পুলিশের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
পুলিশ বাহিনীকে অতীতে জনগণের সেবক না হয়ে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। রায়হান উদ্দিন খান স্বীকার করেন যে, এই ব্যবহারের ফলে পুলিশ আজ এক প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অথচ পুলিশের আদর্শিক দিকটি ছিল জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা, অপরাধ দমন করা, এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, "আমরা পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে পুনরায় পরিচিত করতে চাই, তাদের আস্থা ফেরাতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, পুলিশের মধ্যে একটি ইতিবাচক সংস্কৃতির প্রয়োজন, যেখানে সেবার মানসিকতা থাকবে, লোভ-লালসার জায়গা থাকবে না। তিনি স্বীকার করেন, গত সময়ে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির কারণে পুরো বাহিনী কলঙ্কিত হয়েছে, কিন্তু সেই কলঙ্ক মুছে ফেলার সময় এসেছে। তার অভিমত, পুলিশকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত করা উচিত। এটি শুধুমাত্র বাহিনীর আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা উন্নয়নে নয়, বরং জনগণের বিশ্বাস এবং সহযোগিতাও ফিরিয়ে আনবে। পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা এবং মানবিকতা পুনর্গঠনে প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক সংলাপের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।রায়হান উদ্দিন খান একজন তরুণ পুলিশঅফিসার হিসেবে তার সততা, দক্ষতা এবং দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতো ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি নবযাত্রার সূচনা হতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক দিকনির্দেশনা ও সমর্থন পেলে একটি ন্যায়সঙ্গত, দক্ষ এবং মানবিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব।
এখন সময় এসেছে পুলিশ বাহিনীর সেই হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার, এবং রায়হান উদ্দিন খান সেই যাত্রার একজন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। তার এই উদ্যম এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে পুলিশের প্রতিটি সদস্য একটি স্বচ্ছ, মানবিক, এবং উন্নত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে।চট্টগ্রাম অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এবং চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক সাহসী ও সময়োপযোগী উদ্যোগে। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা জনগণের নিরাপত্তা ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠায় যে দৃঢ়তা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিগত সময়ের চট্টগ্রামে লুটপাট, দুর্নীতি, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি নিরপেক্ষ, সাহসী এবং প্রতিশ্রুতিশীল পুলিশ বাহিনী, যা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়ের পথ ধরে চলে। ডিআইজি আহসান হাবিব ও এসপি রায়হান উদ্দিন খান সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তারা চট্টগ্রামের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের মূলোৎপাটন করতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন। ডিআইজি
আহসান হাবিব পলাশ এবং রায়হান উদ্দিন খানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের পুলিশ বিভাগ এখন একটি সক্রিয় এবং সাহসী অবস্থান গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জনের জন্য এই দুই কর্মকর্তা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন। বিশেষ করে, যারা বিগত সময়ে লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, তাদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়ের শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।এই দুই নেতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তারা রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে কাজ করছেন, যা একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর পুলিশ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য। অতীতে, রাজনৈতিক চাপের কারণে পুলিশকে অনেক সময় নিজেদের আদর্শের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে। কিন্তু ডিআইজি আহসান হাবিব এবং এসপি রায়হান উদ্দিনের মতো নেতাদের উদ্যোগে চট্টগ্রামের পুলিশ এখন সেই বাধা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছে। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ শুধু আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতেই নয়, বরং পুরো দেশের পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
ডিআইজি পলাশ এবং এসপি রায়হানের এই নেতৃত্ব সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। তাদের নেতৃত্বে পুলিশ এখন যে কোনো ধরনের বৈষম্য এবং অন্যায় আচরণ মোকাবিলা করে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। শুধু অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা নয়, তারা পুলিশ বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা এবং সেবামূলক মানসিকতা গড়ে তোলার প্রতি সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তারা বিশ্বাস করেন, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং চট্টগ্রামের আইন শৃঙ্খলার টেকসই উন্নতির জন্য একটি শক্তিশালী, মানবিক, এবং সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী অপরিহার্য। এই পরিবর্তন আসার জন্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অর্থে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে, ক্ষমতার হাতিয়ার নয়।চট্টগ্রামের এই সাহসী এবং ন্যায়নিষ্ঠ পুলিশ নেতৃত্ব সমাজে শান্তি এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যেভাবে কাজ করছেন, তা একটি নতুন পথ দেখাচ্ছে।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com