1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

ওসি গোলাম সারোয়ার: বোয়ালখালীতে জনবান্ধব পুলিশিংয়ের প্রতীক

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২০০ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ বাহিনীর ভূমিকায় জাতির সামনে যখন বড় ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন উঠেছে, তখন পুলিশের একটি সাহসী অংশ জনতার সেবার জন্য তাদের কাজের মাধ্যমে হারানো সম্মান পুনরুদ্ধার করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসছে। এ ধরনের দেশপ্রেমিক, সাহসী ও সৎ অফিসারদের মধ্যে বোয়ালখালী থানার নবনিযুক্ত ওসি গোলাম সারোয়ার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি তার সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বোয়ালখালীর জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশের যে ক্ষমতার বাহন নয় বরং জনসেবার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করা উচিত—সে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি অবিচল।

গোলাম সারোয়ার ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় বাহিনীতে যোগদান করেন এবং শুরু থেকেই তিনি তার নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে ভিন্ন একটি অবস্থান তৈরি করেছেন। বোয়ালখালী থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা পুলিশে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার সাহসী ও জনবান্ধব পদক্ষেপগুলো দিয়ে জনগণের মন জয় করেছেন।

পুলিশের ভাবমূর্তির পুনর্গঠন

বর্তমানে সমাজের নানা অসঙ্গতি, দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দস্যুতা, এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পুলিশের একটি সাহসী অংশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। গোলাম সারোয়ার সেই সাহসী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অন্যতম, যিনি তার সততা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বোয়ালখালীতে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কর্মকাণ্ডে বোঝা যায়, পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে নয়, বরং জনতার সেবক হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এই রূপান্তর পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি নতুন করে গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। গোলাম সারোয়ারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো তিনি তার কাজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি মাদক, ভূমিদস্যুতা, এবং সমাজের অন্যান্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তার ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বোয়ালখালীতে অপরাধমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, জনতার সেবা করতে হলে সকল ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে এবং এতে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না।

জনগণের আস্থা ও সম্মান পুনরুদ্ধার

গোলাম সারোয়ারের মতো নিবেদিত ও সৎ পুলিশ অফিসাররা সমাজে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা কেবল আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বাহিনী হিসেবেই কাজ করেন না, বরং জনতার সাথে মিলে সমাজের সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজেন। তিনি তার দায়িত্ব পালনের সময় দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান আচরণ করছেন এবং তার জনসেবার দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যেই বোয়ালখালীর সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ প্রশাসনের মনোভাব পরিবর্তন

গোলাম সারোয়ারের মতো অফিসারদের নিয়োগের মাধ্যমে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, পুলিশ বাহিনীর আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে হলে সৎ, সাহসী, এবং জনমুখী অফিসারদের প্রয়োজন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ সাহেব ও চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খানের নেতৃত্বে বোয়ালখালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ থানায় গোলাম সারোয়ারের নিয়োগ একটি যথাযথ পদক্ষেপ। বোয়ালখালীর জনগণ বিশেষ করে সংবাদকর্মীরা গোলাম সারোয়ারের দায়িত্ব গ্রহণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, এবং তারা বিশ্বাস করেন যে তার নেতৃত্বে বোয়ালখালী অপরাধমুক্ত একটি মডেল থানায় রূপান্তরিত হবে। ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ সাহেবের সাথে আমার ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে জনসেবার জন্য সৎ পুলিশ অফিসারদের নিয়োগের প্রতি তার অঙ্গীকার রয়েছে। তিনি বলেছেন, “কামাল সাহেব, আমি জনবান্ধব পুলিশকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে কোনোরূপ তদবির শোনার মতো অবস্থানে আমি নেই। আমি চাই সৎ এবং দায়িত্বশীল অফিসাররা আমার দরজায় আসুক, এবং আমি তাদেরকে সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিয়োগ দেব।”

গোলাম সারোয়ারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বোয়ালখালী থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য। তার সাহসী পদক্ষেপ ও জনসেবার মনোভাবের কারণে বোয়ালখালীর মানুষ এখন নতুনভাবে পুলিশকে দেখছে। মাদক, ভূমিদস্যুতা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি যেমন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, তেমনি জনসাধারণের ন্যায্য সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতেও তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

অভিনন্দন ও প্রত্যাশা

বোয়ালখালী থানায় ওসি হিসেবে গোলাম সারোয়ারের দায়িত্বগ্রহণে বোয়ালখালীর মানুষ নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। তার নেতৃত্বে থানাটি অপরাধমুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ একটি এলাকায় পরিণত হবে বলে সকলেই বিশ্বাস করেন। গোলাম সারোয়ারের মতো পুলিশ অফিসারদের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর হারানো সম্মান ও আস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব, এবং তার নিষ্ঠা ও সেবামূলক মনোভাব বোয়ালখালী থানাকে মডেল থানায় রূপান্তরিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

লেখকঃসাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক,

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট