গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোল আনী গ্রামের আবাসনবাসীদের বসবাস করা,পানিয় পানির অভাব,টয়লেট ব্যবস্থা সরকারি সহযোগিতা ইত্যাদি দুঃখ দুর্দশার ভোগান্তির শেষ নেই । ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় এ আবাসন প্রকল্পটি । আবাসনে ১০০টি পরিবারের কক্ষ রয়েছ। প্রতিটি পরিবারের জন্য বারান্দা রানঘর সহ ১ টি কক্ষে ১ শতক জায়গা রয়েছে । ২০০৭ সালে ইমামপুর ইউনিয়নের অসহায়, নিঃস্ব, ভিটাহীন ১০০ পরিবার আবাসনে ঠাঁই নেন। প্রতি কক্ষ টিন শেডের ছাউনির তৈরি । দীর্ঘ ১৭ বছর অতিক্রম হলে টিন শেডের উপরের ও বেড়া জরাজীর্ণ হয়ে অব্যবহৃত হয়ে পড়ছে।
বৃষ্টি এলেই ঝড় ঝড় করে পানি নিচে পড়ে ভিজে যায় আসবাবপত্র। চালের উপর পলিথিন ও বেড়ায় পুরাতন কাপড়, ছালা দিয়ে কোন রকম দিন কাটছে আবাসনবাসী। ঝড়-বৃষ্টির আর তুফান হলে আশেপাশের মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা। ষোল আনী গ্রামের হাবিব উল্লাহ বলেন, তারা খুবই কষ্টে অাছে।ঝড়- তুফানের সময় আমার ঘরে ঠাঁই দেই। আবাসন প্রকল্পে আশ্রিত নার্গিস,খালেদা আক্তার ও জীবন নেসা জানান,ভাঙ্গাঘর বৃষ্টির পানি টপটপ পড়ে,কাপড়চোপড়সহ সব ভিজে যায়। রাতে ঘুমাতে খুব কষ্ট হয়। অনেক কক্ষের ছাউনির টিন একেবারে খসে পড়ে উম্মুক্ত হয়ে আছে। বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ৩০-৪০ টি পরিবার অন্যত্র চলে যায় বলে আবাসনবাসী জানান। আবাসনে পানীয়জলের অভাব রয়েছে। আবাসন নির্মাণের সময় ১০ টি সাধারণ নলকূপ স্থাপন করে পানিয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আবাসনের সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, আগের ১০ টি নলকূপের মধ্যে সব কয়টিই ব্যবহারের অনুপযোগী। ২ বছর আগে উপজেলা হতে ২৮০০০ টাকা দিয়ে ৪ টি নলকূপের স্থাপন করি। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে কমদামি নলকূপ স্থাপন করে পানিয় পানির চাহিদা পুরোন করে। এ রকম নলকূপ রয়েছে ৬/৭ টি। আবাসনের টয়লেট গুলোর অবস্থা ভালো না। পুরাতন টয়লেটগুলো জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকম ব্যবহার চলছে। সরকারি ত্রাণ সাহায্যের কোনো ব্যবস্থা নেই। রমজান মাসে ১০ কেজি দেয়া হত। এখন আর দেয়া হয় না। এ ব্যাপারে ইমামপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোলাইমান বলেন,সরকার হতে যা আসে সব সুবিধা তারা পায় । উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার বলেন, ঘরগুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি এ বিষয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করছি।
আবাসনের সমবায় সমিতির সভাপতি আমির হোসেন বলেন, আবাসনের দুরবস্থা লাগবের জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি ভুমি বরাবর লিখিত আবেদন করি । আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে চলে যায়। কোন কাজ হচ্ছে বলে আবাসনবাসী জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আবাসন প্রকল্পের সভাপতি কোহিনূর আক্তার বলেন, এ বিষয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং পরিদর্শনের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক হতে প্রস্তাব এসেছে যে, ক্ষতিগ্রস্ত আবাসন গুলো প্রকল্প- ২ এ একক ঘরের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কয়েক দিনের মধ্যেই পরিদর্শন করে তালিকা প্রস্তুত করা হবে। যদি আবাসনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে, তবে প্রকল্প ২ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যদি জায়গা না থাকে, তখন ঘরে যারা থাকে সনাক্ত করে তাদের ঘরগুলো মেরামত বা সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করার ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com