অলিয়ার রহমান,
যশোরের কেশবপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় দোকানঘর ভাংচুর ও ভূক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত কয়েকজন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামে। ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে বহিরাগত উপজেলার ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩০) একই গ্রামের আবু সাঈদ (২৪) ও তরিকুল ইসলামের (২৬) নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামের কাসেম আলী গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ ২০০২ সালে একই গ্রামের মৃত দাউদ আলী সরদারের কাছ থেকে লক্ষীনাথকাটি ৬৪ নং মৌজার সাবেক ৫৬২ দাগ ও হাল ১০২৩ দাগের ৭ শতক জমির মধ্যে ১.৫০ শতক জমি পাশ উল্লেখ করে ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর থেকে সে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছে। জমির উপরে ব্যবসার জন্য চারপাশে সিমেন্টের পিলার, বাঁশ ও কাঠ দ্বারা বেষ্ঠিত একটি দোকানঘর নির্মাণ করেন। সেই ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার সকালে ব্রহ্মকাটি গ্রামের হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আবু সাঈদ, তরিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন বহিরাগত লোকজন রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আজিজের দোকানঘরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন দোকানঘরের সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ওইসময় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা তাদের উপর চড়াও হন এবং আজিজের নাম ধরে অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজিজ ওইদিন রাতেই বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাপস কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ক্রয় সূত্রে দেড় শতক জমির মালিক। জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমার দখলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বহিরাগত হাফিজুর রহমান জমিটি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে। তারই জের ধরে গতকাল সকালে আমি বাড়িতে না থাকার সুবাদে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্ব বহিরাগত আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার জমি দখল নেওয়ার জন্য দোকানঘরটি ভাংচুর করে। বহিরাগত দূধর্ষদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রত্যক্ষ সাক্ষী গৌরিপুর গ্রামের রেজাউল শেখ বলেন, বৃষ্টির মধ্যে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ লোক হাতে দা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে দোকানঘর ভাংচুর করে। আমি বাঁধা দিলে আমার দিকে চাপাতি নিয়ে তারা তেড়ে আসে। এ বিষয়ে ভাংচুরকারীর প্রধান হাফিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর কাছে স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে তিনি জানেনা বলে সাংবাদিকের জানান। যার জন্য হাফিজুরের বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, দোকানঘর ভাংচুর করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ শাহজালাল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যুগ্ম-সম্পাদক :মো. কামাল উদ্দিন,
নির্বাহী সম্পাদক : রাবেয়া সিরাজী
বার্তা ও বাণিজ্য বিভাগ : মোতালেব ম্যানশন, ২ আর কে মিশন রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১২০৩।
মোবাইল : 01796-777753,01711-057321
ই-মেইল : bhorerawajbd@gmail.com