আব্দুল মুনতাকিন জুয়েলগাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া মৌজায় পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে ১০০ শতাংশ আবাদি জমিতে পানি না দেওয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও মেলেনি সুষ্ঠ কোনো সমাধান। কৃষি প্রধান বাংলাদেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জায়গা অনাবাদি না রাখার বিষয়ে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এবং কৃষকদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধাসহ কৃষির উপরে দিচ্ছেন নানান ভর্তুকি।
অথচ সেখানে ১০০ শতাংশ আবাদি জমিতে ফসলের চাষাবাদ করতে না দেওয়ায় মহা উৎকন্ঠায় বিপাকে পরেছে একটি নিরীহ পরিবার। বিজ্ঞ আদালত, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, অফিসার ইনচার্জ সাদুল্লাপুর থানা ও উপজেলা কৃষি অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এবং এমনকি জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিলেও চলতি বোরো মৌসুম চলে যাওয়ার পরেও মোঃ আব্দুল গোফফার মিয়া অজ্ঞাত কারণে আজও পাননি এর সুষ্ঠ কোনো সমাধান। এবং উপজেলা বরেন্দ্র কর্মকর্তা সেচমালিকের বিরুদ্ধে নেননি আইনি কোনো প্রকার পদক্ষেপ। উপজেলা কৃষি অফিসার ও নেননি কোনো প্রকার পদক্ষেপ। যার ফলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ১০০ শতাংশ আবাদি জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া মৌজার তফশীল জমি ঃ জেএল নং ১৮, খতিয়ান নং -৪৬২, দাগ নং -১১৩১ জমি -২৮ শতক, দাগ -১১৪০ জমি- ৫২শতক, দাগ- ১২০২, জমি ২০শতক। মোঃ আব্দুল গোফফার মিয়া জানান যে দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে মোঃ মিঠু মিয়া (৪৬) মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভিজা মিয়া (৫৫) মোঃ রঞ্জু মিয়া (৫৩) মোঃ মিজানুর রহমান (৪২) গংদের পরিবার আমাদের সহিত দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা পোষণ করে আসছে।এরই জের ধরে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকিসহ প্রাণনাশের ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি তাদের জমির পাশে আমাদের জমি থাকায় সেই জমিতে দীর্ঘদিন থেকে চাষাবাদ করতেও দিচ্ছেনা। এমনকি সেচ পাম্প মালিক মোঃ নান্নু মিয়ার সহিত যোগসাজশ করে আমার জমিতে পানি দিতে বাঁধা প্রদান করে।তিনি আরো বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক, সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরেন্দ্র কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিসার ও সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুষ্ঠ সমাধান পাইনি; যে কারণে এখন পর্যন্ত আমার ১০০ শতাংশ জমি অনাবাদিই রয়েছে।এই জমিটি আমার পরিবারের আহার যোগাত। জমিটিতে ফসল উৎপাদন করতে না পারায় আমার পরিবারের সকলকে অনাহারে দিনাতিপাত করতে হবে।এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (এমপি) ও মাননীয় কৃষি মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবং সুষ্ঠ সমাধানের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।